তুর্কি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
2021-08-31 18:24:57

২৪ অগাস্ট পঞ্চম ‘আমার কল্পনায় চীন’ শীর্ষক তুর্কি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  চীন-তুরস্ক কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী তুরস্কের আঙ্কারা গিল আর্ট গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ সাও বিন, তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক লেব্রেবিগ, পুরস্কারবিজয়ী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ প্রায় একশ’ জন এতে অংশ নিয়েছে।

 

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তুরস্কে চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ সাও বিন বলেন, চলতি বছর হলো চীন ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। গত ৫০ বছরে দুই দেশের সরকার ও জনগণের যৌথ প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে, যা দুই পক্ষের জন্য কল্যাণকর হয়েছে, দুই দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেড়েছে এবং মৈত্রীর বন্ধন আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। চীন ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ।

 

রাষ্ট্রদূত লিউ বলেন, “শিক্ষার্থীদের চিত্রকর্ম কেবল শৈল্পিক সৃষ্টি ও প্রতিযোগিতাই নয়, বরং এটি চীন ও তুরস্কের মৈত্রীর প্রতীক। চীন ও তুরস্কের তরুণ প্রজন্ম দুই দেশের ভবিষ্যত এবং চীন-তুরস্ক বন্ধুত্বের ভবিষ্যত্‌। আমরা আশা করি, শিক্ষার্থীদের কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দুই দেশের তরুণ প্রজন্ম চীন-তুরস্ক বন্ধুত্ব উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখবে এবং চীন-তুরস্ক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন অবদান রাখায় উত্সাহিত করবে।”

 

তুরস্কের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক লেব্রেবিগ মনে করেন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, এটি দুই দেশের নানা ক্ষেত্রের উন্নয়ন বাড়িয়েছে। লেব্রেবিগ বলেন, “ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা তুরস্ক ও চীনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়কে উত্সাহিত করে। একই সময়ে এটি বাণিজ্য ও পর্যটন ক্ষেত্রে দুই দেশের উন্নয়ন জোরদার করবে।”

 

আইডেন প্রদেশের উক্সেল চারুকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওজদেমির। তিনি চীন ও তুরস্কের মধ্যে বন্ধুত্বকে চা দিয়ে প্রকাশ করেছেন। তার তৈরি ‘বন্ধুত্বের চা’ প্রথম পুরস্কার জিতেছে। তিনি বলেন, “আমি পেইন্টিংস্ শুরু করার আগে, চীন সম্বন্ধে অনেক গবেষণা করেছি ও প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি আমার ছবিতে তা তুলে ধরার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।”

 

কোনিয়ার চকোমাকও মনে করেন যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, তিনি চীন সম্পর্কে আরও ভালো জানতে পারবেন। চকোমাক বলেন, “পেইন্টিংস প্রতিযোগিতা আমাকে চীনকে বুঝতে সহায়তা করেছে। চিত্রকর্ম তৈরি করার সময়, আমরা বিপুল সংখ্যক ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি, সংশ্লিষ্ট বই পড়েছি এবং পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে জেনেছি।”

 

এলবাস ২০১৯ সালে চতুর্থ ‘আমার কল্পনায় চীন’ তুর্কি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় বিজয়ী। প্রদর্শনী দেখার জন্য তিনি তার নিজ শহর বার্সা থেকে রাজধানী আঙ্কারায় আসেন। এলবাস সাংবাদিকদের বলেন যে, তিনি ‘চীন-তুরস্ক বন্ধুত্বের আশার তারকা’ হিসেবে চীনে সফর করেছেন। চীনের দীর্ঘ ইতিহাস ও আধুনিকীকরণ তার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তখন তিনি চীনে ভ্রমণ করার সুযোগ খুঁজছেন। এলবাস বলেন, ‘আমার কল্পনায় চীন’ তুর্কি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা তুর্কি তরুণদের চীনকে বোঝার জন্য একটি ‘মৈত্রীর জানালা’ খুলে দিয়েছে।