আগস্ট ৩০: বর্তমানে করোনার ডেল্টা প্রজাতি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ায় ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। তবে এমন প্রেক্ষাপটেও চীনের অর্থনীতি সুষ্ঠু ধারা বজায় রেখেছে। তা অব্যাহতভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।
ইতালি ও চীন ফাউন্ডেশনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র সম্প্রতি “চীনা প্রতিবেদন ২০২১” প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, ২০২০ ও ২০২১ সালের প্রথম কয়েক মাসে বৈশ্বিক অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চীন অন্যতম্য একটি নেতৃত্বশালী শক্তির ভূমিকা পালন করেছে।
গবেষণা কেন্দ্রটির এ প্রতিবেদনে চীনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়, ২০২০ সালে করোনার প্রভাব সত্ত্বেও চীন বিশ্বের একমাত্র বড় দেশ হিসেবে উত্পাদন পুনরুদ্ধার করেছে। বিদেশি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির প্রবণতা বজায় রেখেছে। তা চীন ও ইতালির বাণিজ্যের উন্নতিকে এগিয়ে নিয়েছে। ফলে দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৫,৫১০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছায়।
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে চীনে ইতালির রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তা ৫৫.৩শতাংশ বেশি। ফলে ইতালির রপ্তানির সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির দেশে পরিণত হয় চীন।
গবেষণা কেন্দ্রটির পরিচালক ফিলিপো ফাসুলো মনে করেন, চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা উন্নয়নে কৌশলী ভূমিকা পালন করে, তাই এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, “এখন রপ্তানি ও পুজিঁ বিনিয়োগের চেয়ে চীন ভোগ ও উদ্ভাবনের উপর আরো বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সম্প্রতি চীনে ভোগের অনেক উন্নতি হয়েছে।”
ইতালির এলপি অ্যাটিটুড কনসাল্টিং কোম্পানির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পিয়ারগিউরজিও ডাল সান্তো বলেন, চীনা বাজারের প্রতি ইতালির শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ কৌশল সৃষ্টি করা উচিত।
তিনি বলেন, “২০২০ সালে ইতালির অনেক ব্র্যান্ড চীনে বিক্রির পরিমাণ ৫০ শতাংশ বা আরো বেশি পরিমাণের বেড়েছে। চীনে সফল হতে চাইলে, ভোক্তাদের আরো সেবা প্রদান করতে হবে।”
চীনের কাস্টমস প্রকাশিত উপাত্ত মতে, এ বছরের প্রথমার্ধে চীন ও ইতালির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪,০০০ কোটি মার্কিন ডলার, তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি। গোটা বছরে এ পরিমাণ ৬,০০০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তা হবে একটি নতুন রেকর্ড। সুষ্ঠু উন্নয়ন পরিস্থিতিতে চীনে নিযুক্ত ইতালির দূতাবাস দু’দেশের বাণিজ্যের আদানপ্রদানে সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছে। ইতালির দুতাবাসের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য কাউনসিলর ইমানুয়েল মাইগ্রেট বলেন, “এ বছরের প্রথমার্ধে চীনের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ১২.৭ শতাংশে পৌঁছায়। তা একটি অনুপ্রেরণামূলক সংখ্যা। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পূর্বাভাস মতে, চলতি বছরে চীনের বৃদ্ধি ৮.৪ শতাংশে পৌঁছাবে। তাও একটি অনুপ্রেরণামূলক সংখ্যা। আমরা দুতাবাস এখন ইতিবাচকভাবে ইতালির শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে সহায্য করছি। তারা যেন চীনের আমন্ত্রণ পেতে পারেন এবং চীনে এসে বাণিজ্য করতে পারেন- তা নিশ্চিত করছে।”
চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে আকাশ