সুন্দরী থিয়ান থিয়ান হলেন চীনে নিযুক্ত বিদেশী কূটনীতিকদের ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের একজন শিক্ষিকা। তিনি ফরাসি ভাষার মাধ্যমে বিদেশী কূটনীতিকদের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেন। আজ আমি আপনাদেরকে তাঁর গল্প শোনাবো।
ক্লাসে থিয়ান থিয়ান ও বিদেশী কূটনীতিকরা হলেন শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী। তবে ক্লাসের বাইরে তাঁরা একে অপরের বন্ধু। ভাষা হলো তাঁদের বিনিময়ের টুল এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সেতু। থিয়ান থিয়ান তাঁদেরকে চীনা সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনিও কূটনীতিকদের কাছ থেকে বিদেশী সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেন।
থিয়ান থিয়ান একসময় ফ্রান্সের স্ট্রাসবার্গে চীনের কূটনৈতিক মিশনে কাজ করতেন। তখন তিনি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেন। তিনি লক্ষ করেন, চীনা সংস্কৃতিতে তাঁদের অনেক বেশি আগ্রহ রয়েছে। সেজন্য চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি তাঁদের কাছে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তিনি।
অবসর সময়ে তিনি শরীরচর্চা করতে পছন্দ করেন। তিনি মনে করেন, শরীরচর্চার মাধ্যমে তিনি আরো শক্তিশালী এবং আত্মাবিশ্বাসী হতে পারবেন।
চীনে বিদেশী কূটনীতিকদের ভাষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে নিয়মিত সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। তাতে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সম্প্রীতিময় যোগাযোগ অনুভব করা যায়।
জনগণের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের মৈত্রী বাড়াতে হয়। ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ে। ভাষার বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক জানাশোনা বৃদ্ধা পায়। তাই চীন ও বিদেশের সঙ্গে সংস্কৃতির যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় আরো বেশি অবদান রাখতে চান থিয়ান থিয়ান। (ছাই/এনাম)