আগস্ট ২১: বর্তমানে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ডেল্টা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া অব্যাহত রেখেছে। তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। এমন প্রেক্ষাপটে চীন সরকার দেশের নতুন ও সর্বশেষ অর্থনৈতিক উপাত্ত প্রকাশ করেছে। উপাত্ত মতে, চীনের মৌলিক অর্থনৈতিক সূচকসমূহ স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে, এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীল পুনরুদ্ধারে অব্যাহত অবদান রাখছে চীন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে আজ (শনিবার)এসব বলা হয়।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপাত্ত মতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত, চীনে মোট ৬৭,২১৯ কোটি ইউয়ানের বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগ হয়। তা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫.৫ শতাংশ বেশি, আর ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে ২৬.১ শতাংশ বেশি।
এতে দেখা যায়, বৈশ্বিক পুঁজি বিনিয়োগের জন্য চীন এখনও একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। মহমারীর প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে চীনের বাজার নানা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বতর্মানে বৈশ্বিক অর্থনীতি অনিশ্চিয়তায় ভরপুর। এজন্য চীনের অর্থনীতির স্থিতিশীল পুনরুদ্ধার প্রবণতা বজায় রাখা অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ।
তা ছাড়া, চীন বরাবরই তার দেশের দরজা খুলে দেয় এবং অব্যাহতভাবে আরো উন্মুক্ত হয়। তা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সহজ করছে। যেমন, বর্তমানে ৫তম চীন-আরব মেলা চলছে। এতে মোট ২৭৭টি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। মেলার মাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ১৫,৬৬৭ কোটি ইউয়ানে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চীন ইতোমধ্যে বৈশ্বিক অভিন্ন উন্মুক্তকরণের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণশক্তিতে পরিণত হয়েছে। যাতে আরো বেশি উন্মুক্ত, সহনশীল, ভারসাম্যপূর্ণ, ও কল্যাণের অংশীদের অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে সিআরআইয়ের সম্পাকীয়তে বলা হয়। (আকাশ/এনাম/রুবি)