অগাস্ট ২০: বিশ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসদমনের অজুহাতে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়ন করেছিল। বিশ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট আফগান সরকার ভেঙ্গে পড়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে তালিবান পুনরায় ক্ষমতায় ফিরেছে। এ অবস্থায় আফগান ভূখণ্ডে মার্কিন ধাঁচের গণতান্ত্রের ব্যর্থতার কারণ জানিয়েছে সিআরআই সম্পাদকীয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, আফগান রাজনীতিবিদ মতিউল্লাহ খরোতি সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত গণতান্ত্রিক সরকারের আসল উদ্দেশ্য ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের নিজের অর্থনৈতিক ও সামরিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করা।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তথাকথিত যুব উন্নয়ন পরিকল্পনা দিয়েছিল। ব্যাপক তরুণ-তরুণীকে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠিয়েছে, তারপর আফগানিস্তানে ফিরে তারা দেশশাসনে অংশ নিয়েছিল। তবে এসব যুবক আফগানিস্তানের বাস্তব অবস্থা জানে না, তারা তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে বোঝে না। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের কিছু রাজনৈতিক দল ও যুদ্ধবাজ নেতাকে ব্যাপক অর্থ দিয়ে তাদের প্রভাব জোরদার করেছিল। তবে, এতে করে বিভিন্ন দলের মধ্যে মতভেদ বেড়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের বিখ্যাত্ প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল তৈমুর মনে করেন, আফগানিস্তান ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর মধ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে অনেক পার্থক্য রয়েছে; তাই মার্কিন গণতন্ত্র অবধারিতভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজ আলাদা। দেশটি নিজের প্রতিশ্রুতি মানে না।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দুই দশকের অনুশীলন প্রমাণ করেছে যে, পাশ্চাত্য দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সব দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় এবং গণতন্ত্রের অজুহাতে আধিপত্যবাদ অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
(ছাই/তৌহিদ/স্বর্ণা)