আগস্ট ১৮: ‘ভুয়া সংবাদ’ কথাটি সাবেক এক মার্কিন শীর্ষ নেতার মুখ-নিঃসৃত ও বহুল প্রচলিত চর্বিত চর্বণ। কোভিড-১৯ মহামারী যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হওয়ার পর, দেশটিতে এ নিয়ে মিথ্যা তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। মহামারী ঠেকাতে প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক ধারণা ও চেতনা মিথ্যা তথ্যের আড়ালে ঢাকা পড়তে থাকে। মহামারী সম্পর্কে মিথ্যাচার করা বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের চেহেরা আয়নায় দেখার পরামর্শ দিয়েছে চীন আন্তর্জাতিক বেতারেরে (সিআরআই) আজ (বুধবার) প্রকাশিত সম্পাদকীয়।
তাতে বলা হয়, মহামারীর শুরুর দিকে বিভিন্ন পক্ষের সতর্কা উপেক্ষা করে হোওয়াইট হাউস মহামারী ঠেকানোরর স্বর্ণ সময় হারিয়েছে। তখন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার চেয়ে মার্কিন রাজনীতিবিদের মিথ্যাচার আরও ভয়ঙ্কর রূপ লাভ করে । পরে, তারা চীনকে দোষারোপ করে নিজেদের মহামারী মোকাবিলায় ব্যর্থতা আড়ালের অপচেষ্টা করে। ফলে আন্তর্জাতিক সমাজের সমালোচনাও কুড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, গেল বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত, সারা বিশ্বের ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কোভিড-১৯ মহামারী সম্পর্কিত ৩ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি প্রবন্ধের মধ্যে ১১ লাখ প্রবন্ধে মিথ্যা বিষয় ছিল। উল্লেখিত প্রবন্ধসমূহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ৩ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি বার ফরওয়ার্ড হয়েছে। এর মধ্যে তিন-চতুর্থাংশ ফেসবুকের মাধ্যমে হয়েছে।
জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণস্বাস্থ্য কলেজের উপ-প্রধান বলেন, মিথ্যাচারের প্রধান কারণ হচ্ছে মহামারী ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা। (ওয়াং হাইমান/এনাম/ছাই)