আজকের ‘ঊর্মির বৈঠকখানা’-য় আমার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন ড. জাহাঙ্গীর আলম। ২০১৪ সালের ১৩ জুন বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় “সিয়ামেন ইউনিভার্সিটি” থেকে তিনি মেকাট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি (ডক্টর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং) ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি একজন সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে চীনের সাউথ চায়না ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (হুয়া নান লি কুং বিশ্ববিদ্যালয়) স্কুল অফ মেকানিক্যাল অ্যান্ড অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা করছেন। পাশাপাশি, ২০১৮ সাল থেকে তিনি কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। ২০১৩-২০১৪ সালে তিনি চীনে রোবটিক্স ও অটোমেশন ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিষয়ে বিশেষজ্ঞের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সেসের (ইউআইটিএস) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করেছেন। ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন। ড. জাহাঙ্গীর আলমের ছয়টি অনুমোদিত পেটেন্ট রয়েছে। আন্তর্জাতিক পিয়ার-রিভিউড জার্নালে তাঁর ৩০টিরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে ১৬টি গবেষণাপত্র এসসিআই এবং ইআই সূচিভুক্ত। প্রধান গবেষণা তদন্তকারী (পিআই) এবং অংশগ্রহণকারী হিসেবে তিনি ইতোমধ্যে ১৯টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি গবেষণা প্রকল্প সম্পন্ন করেছেন, যা বাংলাদেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছিল। তা ছাড়া, স্নাতক প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের জন্য এমওওসি প্ল্যাটফর্মে তাঁর একটি প্রকল্প রয়েছে, যেখানে তিনি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং তত্ত্বের উপর অনলাইন শিক্ষকতা করেন।
তাঁর বর্তমান গবেষণা এবং শিক্ষণ ক্ষেত্রগুলি হল: রোবটিক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অফ থিংস, অটোমেশন অ্যান্ড মেশিন ভিশন, ইমেজ প্রসেসিং, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রসেসিং, টাইম সিরিজ এবং রিগ্রেশন মডেলিং, মেশিন লার্নিং, বায়ো-সিগন্যাল প্রসেসিং, বায়োমেটরিয়াল, ইত্যাদি। তো চলুন, কথা বলি তাঁর সঙ্গে!