আপন আলোয় ২৯
2021-08-13 19:07:56

 

আপন আলোয় ২৯_fororder_w1

এ পর্বে থাকছে

১. বিশেষ প্রতিবেদন: বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’

২. অন্তরঙ্গ আলাপন: আহকাম উল্লাহ, আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ

 

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

 

বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’

বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখু মুজিবুর রহমান ঊনিশ শো পঞ্চাশের দশকে দুইবার চীন সফর করেন। ১৯৫২ সালের অক্টোবর মাসে পিস কনফারেন্স অব দি এশিয়ান এন্ড প্যাসিফিক রিজিওন্স-এ পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে তরুণ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো চীন সফর করেন। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর মহান কমিউনিস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে গণ প্রজাতন্ত্রী চীন তাদের নতুন যাত্রা শুরু করে। সেই নবগঠিত সমাজতান্ত্রিক দেশটির আর্থ-সামাজিক জীবনের নব জাগরণ বঙ্গবন্ধুকে বিস্মিত ও মুগ্ধ করে। তিনি অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে গভীর ভাবে নতুনভাবে যাত্রা শুরু করা রাষ্ট্রের সমাজ সংস্কার ও অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ মূলক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন। সেই সময়ের  ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে তিনি ১৯৫৪ সালে কারাগারে রাজবন্দী থাকার সময়ে রচনা করেন।

 

আপন আলোয় ২৯_fororder_w2.jpg

১৯৫৭ সালে পূর্ব বাংলার শ্রমমন্ত্রী থাকা কালে পাকিস্তান সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে তিনি আরো একবার চীন সফর করেন। বঙ্গবন্ধু তার অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতাজাত পর্যবেক্ষণ এবং বিশ্লেষণ এখানে লিপিবদ্ধ করেছেন তার সহজ সরল ও গতিশীল  ভাষায়। তিনি চীনের একেবারে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন,কৃষক-শ্রমিকের  শ্রমশক্তিতে বিস্মিত হয়েছেন এবং মুগ্ধ হয়েছেন চীনের সর্বস্তরের মানুষের দেশপ্রেমের গভীরতা দেখে। সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর রচনশৈলীর শক্তি, পর্যবেক্ষণের গভীরতাও পাঠককে মুগ্ধ করবে বৈকি।

এখানে চীন প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘নয়াচীনের উন্নতি দেখে সত্যই আমি সন্তুষ্ট হয়েছি। যদি দশ বৎসর তারা দেশকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়তে পারে তবে দেশের জনসাধারণের কোনো দুঃখ-দুর্দশা থাকবে না, অশিক্ষা কুসংস্কার মুছে যাবে। এবং দুনিয়ার যে কোনো শক্তির সাথে তারা মোকাবেলা করতে পারবে সকল দিক থেকে। কারণ জাতিকে গড়ে তোলার যে প্রধান শক্তি জনসাধারণের মনোবল তা নয়াচীনের জনগণের মধ্যে আছে।’ সেই পঞ্চাশের দশকে করা এই বাণী যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে তা বর্তমানের চীনের দিকে তাকালেই বোঝা যায়।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয় বাংলা একাডেমি থেকে। বইটি শুধু ঐতিহাসিক দলিল হিসেবেই অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ নয়, একই সঙ্গে এটি চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মাইল ফলকও।

-শান্তা মারিয়া

 

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

অন্তরঙ্গ আলাপন

আবৃত্তিশিল্পীদের অধিকার সংরক্ষণ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কাজ: আহকাম উল্লাহ

আপন আলোয় ২৯_fororder_w3

ছবি: আহকাম উল্লাহ

আবৃত্তি অনুষ্ঠান আয়োজন করা কিন্তু আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কাজ কখনোই ছিল না, সেটি হবারও কথা নয়। তবে কাজটি কী হওয়া উচিত?

আমি যে কথাটি বললাম, আজকে যে পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র- যেখানে আবৃত্তি একটি শিল্পমাধ্যম, রাষ্ট্রীয় শিল্প মাধ্যম। রাষ্ট্রীয় যে কোনো আয়োজনে আবৃত্তি থাকে, টেলিভিশন মিডিয়াগুলোতে আবৃত্তি হচ্ছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে আবৃত্তিশিল্পীদের অডিশন গ্রেডেশন হয়েছে- অর্থাৎ আবৃত্তিশিল্পীদের অধিকার সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সমান্তরাল কর্মসূচি পালন করা- এটি হচ্ছে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের কাজ। তার মানে সমাজে যখন কোনো সংকট তৈরি হবে, তখন আবৃত্তিশিল্পীরা মানুষের কাছে যাবেন এবং আবৃত্তির মধ্য দিয়ে তাদের অধিকার আদায়ে সংগঠিত করবেন।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন- বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী ও বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। মুজিবশতবর্ষ উদযাপনে সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচি ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শোনালেন বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কিছু কবিতা।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ:মাহমুদ হাশিম।

 

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

 

প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার-সিআরই বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla আপনার মন্তব্য করতে পারেন। সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

 

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।

 

 

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

 

ছবি ও অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।