আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪
2021-08-12 15:22:16

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪

বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন

কী থাকছে এবারের পর্বে

১. বঙ্গমাতা পুরস্কার

২.বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন-নিবেদিতা দাস

৩.আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

৪.শিল্পী উ লান থুইয়ার কণ্ঠে গান

৫.  ১৭৭ জনের মা

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠান থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।

গেল ৮ আগস্ট ছিল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা পুরো পরিবারের সঙ্গে তাকেও হত্যা করে।

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক’ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ পদক দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন

 

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv3

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv4.jpg

 

নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সব আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণার অন্যতম উৎস তিনি।  তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা  এবং একজন  বিচক্ষণ নারী।

গত ৮ আগস্ট  ছিল এই মহিয়সী নারী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী।

গেল রোববার প্রথমবারের মতো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বিশিষ্ট এই ৫ নারীকে অভিনন্দন জানান। 

এদিন, রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিনন্দন জানান।  এসময় প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।  

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পদক প্রাপ্ত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। 

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম, রাজনীতিতে মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয়া পতি মরণোত্তর এ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষি উদ্যোক্তা মোছা. নুরুন্নাহার বেগম এবং গবেষণা ক্ষেত্রে নেত্রকোনা জেলার লেখক ও গবেষক নাদিরা জাহান পেয়েছেন বঙ্গমাতা পদক।এখন থেকে প্রতিবছর ৮ অগাস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই পদক দেওয়া হবে, যা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে বলে জানানো হয়।

 

‘বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন’- নিবেদিতা দাস

 

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv9

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv11

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv10

আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আমরা সবসময় কথা বলি সেইসব নারীর সঙ্গে যারা সাফল্যের আকাশ স্পর্শ করেছেন অথবা স্পর্শ করতে চান। আমাদের আজকের অতিথি নিবেদিতা দাস। তিনি বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিকাল এডুকেশন বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর। সদ্য সমাপ্ত টোকিও অলিম্পিকে তিনি বাংলাদেশ দলের সাঁতারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের অনুষ্ঠানে তাকে স্বাগত জানাই।

সাক্ষাৎকার

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv12.jpg

বাংলাদেশের কৃতী সাঁতারু নিবেদিতা দাস সদ্য সমাপ্ত টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশ দলের সাঁতারের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মনে করেন অলিম্পিকে সাফল্য পেতে হলে অনেক বছরের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গড়ে তুলতে হবে। প্রাথমিক স্কুল পর্যায় থেকেই ক্রীড়াবিদ তৈরির বিষয়টিকে মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ প্রশিক্ষণ ও শরীর গঠনেরও বিষয় রয়েছে। তিনি নিজে কৃতী সাঁতারু। জীবনে বিভিন্ন পর্যায়ে সর্বমোট ৭৮টি পদক জয় করেছেন। তিনি জাতীয় পর্যায়ে একাধিক স্বর্ণ পদকজয়ী কৃতী সাঁতারু।

নিবেদিতা মনে করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার বাধ্যতামূলক বিষয় হওয়া উচিত। সাঁতার শুধু ক্রীড়া হিসেবে নয়, জীবন বাঁচানোর একটি প্রয়োজনীয় শিক্ষা হিসেবেও গ্রহণ করা উচিত। তিনি মনে করেন যদি সাঁতার প্রতিটি স্কুলে বিষয়ভিত্তিক ভাবে থাকে, সেখানে নম্বর প্রদানের নিয়ম থাকে তাহলে প্রতিটি ছেলেমেয়েই সাঁতার শিখবে। এজন্য সুইমিং পুলগুলোকে কয়েকটি স্কুল সমন্বয় করে ব্যবহার করতে পারে। নারীদের ক্রীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে আসার জন্য সামাজিক প্রতিবন্ধকতাগুলোকে দূর করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন আরও বেশি কৃতি ক্রীড়াবিদ ছাত্র ছাত্রী পাওয়া যায় সেজন্য ভর্তির সময় ক্রীড়া কোটা থাকা দরকার বলেও তিনি মনে করেন।  অলিম্পিকে সাফল্যের জন্য ক্রীড়াক্ষেত্রে আরও মনোযোগী হতে হবে সরকার থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে। ছোটবেলা থেকেই সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে ফুটে উঠেছে নারীর জীবন সংগ্রামের গল্প। বিস্তারিত প্রতিবেদনে।

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা

তরুণ প্রতিভা অন্বেষণের জন্য শ্রেষ্ঠ একটি চলচ্চিত্র ইভেন্ট হচ্ছে আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভাল।সম্প্রতি উত্তর-পশ্চিম চীনের ছিংহাই প্রদেশের রাজধানী সিনিংয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব । এই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ফার্স্ট ফ্রেম বিভাগে ছয়জন চীনা তরুণ নির্মাতার সিনেমা। যেগুলো নির্মিত হয়েছে নারীর দৃষ্টিভঙ্গি ও নারীর জীবনসংগ্রামের গল্প নিয়ে। সিনেমা গুলো হচ্ছে পরিচালক ওয়াং সিদের “এ চ্যাট”, কাও সি শেং এর “রিভার অফ স্যালভেশন”, উ সার “লেডি বাগ” এবং মা ওয়ে চিয়ার অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম “স্টেপ ইন দ্য রিভার”। এই উৎসবের একটি অধিবেশনে নির্মাতারা শেয়ার করেন তাদের সিনেমার বাইরের গল্প এবং নির্মাণের অনুপ্রেরণার উৎস। উৎসবের প্রধান আয়োজক তুয়ান লিয়ান উৎসবের এই সিনেমাগুলো নিয়ে বলেন, নারীদের ইতিবাচক গল্প তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাগুলোতে। আমরা আশা করি এই আয়োজনের ফলে নারীদের জীবন নিয়ে সিনেমা নির্মাণে তরুণ মেধাবী নির্মাতারা উৎসাহিত হবেন ।

সুপ্রিয় শ্রোতা, চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়ার লোকজ সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ। শুনুন এই অঞ্চলের একটি জনপ্রিয় লোকগীতি। গানটির শিরোনাম হলো, তৃণভূমি থেকে বেইজিংয়ের দিকে। পরিবেশন করছেন বিখ্যাত শিল্পী উ লান থুইয়া।

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv13

আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪_fororder_nv14

চীনের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী চাং কুইমেইকে বলা হয় ১৭৭ জন শিশুর মা। তিনি জুলাই ১ মেডেলেও ভূষিত হয়েছেন। তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন।

১৭৭ জনের মা

১৭৭ জনের মা

১৭৭ জনের মা

লেই ছিউফাং একজন তরুণী। তিনি বেশ দূর থেকে এসেছেন তার মাকে দেখতে। এই মা কিন্তু তার জন্মদাত্রী নন। জন্মের পরপরই পরিত্যক্ত হয়েছিলেন লেই। কিন্তু নিজের সন্তানের মতো তাকে পালন করেছেন যে মা তার নাম চাং কুইমেই। এমন আরও অনেক সন্তান রয়েছে চাং কুইমেইয়ের।

চীনের একজন শিক্ষাবিদ চাং কুইমেই। তিনি ১৭৭ জন শিশুর মা হিসেবে পরিচিত। চলতি বছর তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়নার সর্বোচ্চ সম্মাননা জুলাই ১ মেডেলে ভূষিত হয়েছেন।

তিনি এতিম, শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন আশ্রয় কেন্দ্র। ইউননান প্রদেশের হুয়াফিং কাউন্টিতে এই শিশুকেন্দ্র স্থাপিত হয় সুবিধাবঞ্চিত, অভিভাবকহীন শিশুদের জন্য।

চাং কুইমেইয়ের জন্ম চীনের উত্তরের প্রদেশ হেইলংচিয়ানে। ১৯৭৪ সালে ১৭ বছর বয়সী চাং আসেন দক্ষিণ চীনের ইউননান প্রদেশে স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে। ১৯৯৫ সালে স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর নিঃসন্তান চাং প্রত্যন্ত অঞ্চল হুয়াফিং কাউন্টিতে একটি মিডল স্কুলে চাকরি নেন। সেখানে পিতৃমাতৃহীন কয়েকজন শিশুকে দেখে তার এত করুণা হয় যে তিনি নিজের সন্তান হিসেবে তাদের প্রতিপালন শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি একটি গার্লস মিডল স্কুল স্থাপন করেন।

সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের জন্য একটি শিশুকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন চাং। সেখানে স্কুলের পর শিশুরা আশ্রয় পায়, ঘর পায়। তারা তাকে মা বলে ডাকে। তিনি এই শিশুদের সব রকম যত্ন নেন। স্কুল ছুটির পর তাদের হোম ওয়ার্ক তৈরিতে সাহায্য করেন। তাদের সঙ্গে খেলাতেও অংশ নেন।

চাং কুইমেই এখন বৃদ্ধ। বহু বছরের কঠোর শ্রমের ফলে তার স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছে। তবু তিনি নিজের চেয়ে অনাথ শিশুদের কথাই ভাবেন। তার সন্তানরাও মায়ের জন্য ব্যাকুল। তার সেবা যত্নের কোন ত্রুটি তারা হতে দেয় না। এইভাবে বায়োলজিকালি মা না হয়েও ১৭৭ জনের মা বলে পরিচিতি পেয়েছেন চাং কুইমেই। পেয়েছেন সিপিসির সর্বোচ্চ সম্মাননা।

প্রিয় শ্রোতা আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি আমরা। অনুষ্ঠানটি কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন, ঢাকায় এফ এম ১০২ এবং চট্টগ্রামে এফ এম ৯০ মেগাহার্টজে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবংআমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.

আজ এ পর্যন্তই। সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।

সার্বিক  সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া

বঙ্গমাতা পুরস্কার বিষয়ক প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী

আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা  : প্রতিবেদন হোসনে মোবারক সৌরভ

১৭৭ জনের মা: প্রতিবেদন শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা:  রওজায়ে জাবিদা ঐশী