বিশেষ প্রতিবেদন: চীনে রবীন্দ্রচর্চা
2021-08-06 19:00:21

বিশেষ প্রতিবেদন: চীনে রবীন্দ্রচর্চা_fororder_wen2

ছবি: ১৯২৪ সালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে চীনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

প্রাচীনকাল থেকে চীনের সঙ্গে বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠির যোগাযোগ থাকলেও আধুনিক যুগে বাংলা ভাষা ও চীনাভাষার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনের অন্যতম প্রধান স্থপতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ দু’বার চীন সফর করেন। ১৯২৪ সালে প্রথম চীন সফরের সময় তিনি কয়েক মাস সেখানে অবস্থান করেন। ১৯২৮ সালে চীন সফরে তিনি কিছু বক্তৃতা করেন।

রবীন্দ্রনাথের চীন সফরের সময় থেকেই চীনে রবীন্দ্রনাথ জনপ্রিয়তা পান এবং সেখানে রবীন্দ্রচর্চা শুরু হয়। চীনে রবীন্দ্রনাথ থাইকার বা ঠাকুর নামে বেশি পরিচিত।

চীনা ভাষায় রবীন্দ্রনাথের অনেক লেখা অনুবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তবে প্রথমদিকের অনুবাদগুলো বেশিরভাগ সময়ই হয়েছে ইংরেজি থেকে চীনাভাষায়। বাংলা থেকে সরাসরি চীনাভাষায় রবীন্দ্র রচনাবলী অনুবাদ হয়ে প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ, সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং সেন্ট্রাল কমিউনিস্ট পার্টি স্কুলের সম্মিলিত উদ্যোগে এই বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে পাঁচ বছর ধরে।

প্রোফেসর দং ইউচেন, প্রোফেসর পাই খাই ইউয়ানসহ নবীণ প্রবীণ সদস্যদের সমন্বয়ে এক দল চীনাভাষী এবং সিআর আইয়ের বাঙালি কর্মীদের পরিশ্রমের ফসল চীনাভাষায় অনুদিত রবীন্দ্র রচনাবলী।

চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রচর্চা হয়। বিশেষ করে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগ রয়েছে সেখানে রবীন্দ্র চর্চা চলছে।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি দল রবীন্দ্রনাথের রাজারাণী, বসন্ত, চিত্রাঙ্গদাসহ বিভিন্ন নাটক মঞ্চস্থ করেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এই নাটকগুলো মঞ্চস্থ হয়েছে। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক প্রোফেসর ওয়েই লিমিংয়ের উদ্যোগে রবীন্দ্র রিসার্চ একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠানও বেইজিংয়ে স্থাপিত হয়েছে।

-শান্তা মারিয়া