সাজিদ রাজু, ৮ আগস্ট: একটি দুটি নয়, হাজারো ট্রলার আর নৌকা এক যোগে ছুটে যায় সাগরে। দেখে মনে হবে কোন যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে সারিবদ্ধ নৌবহর। দ্রুতগতি আর নৈপুন্যের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এভাবেই পূর্ব চীন সাগরে শুরু হয় মাছ ধরার মৌসুম।
সাজ সাজ রবে সারি সারি ট্রলার ছুটছে সাগরে, ক্ষিপ্র গতিতে। তবে কোন যুদ্ধ নয়, মাছ ধরার উৎসবে।
প্রতিটি ট্রলারে পতপত উড়ছে লাল নিশান। গতির সঙ্গে যেন ঠিকরে বেরোচ্ছে জেলেদের প্রাণশক্তি আর স্বপ্ন। এরই মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে এ মৌসুমের মাছ ধরা কর্মসূচি।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেইচিয়াং প্রদেশের জেলেরা টানা ৩ মাস থাকবে পূর্ব চীন সাগরে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে বের হয়েছে তারা।
এই এলাকার এক জেলে ইয়ান চাওছুন। তিনি বলছিলেন, উৎসব হলেও পরিবেশের কথাও মাথায় রাখেন তারা।
ইয়ান চাওছুন
“আশা করি পর্যাপ্ত মাছ ধরে নির্বিঘ্নে ফিরতে পারবো। মাছ ধরলেও আমরা চেষ্টা করি যেন পরিবেশের কোন ক্ষতি না হয়। কেননা, এখানকার পরিবেশ ঠিক থাকলেই কেবল আমরা পরের মৌসুমও মাছ ধরতে পারবো। আর তাতেই আমাদের জীবিকা রক্ষা পাবে।“
১ হাজারের বেশি মাছ ধরার ট্রলার ছেড়ে যায় ওয়েনলিং শহরের শিতাং বন্দর। সবচেয়ে দ্রুতগতির একেকটি ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে বন্দরে ফিরতে পারে সূর্য ডোবার আগেই।
লিনহাই শহর মেরিন অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের উপ প্রধান ওয়াং লিয়াংই জানান, এক বিশেষ ধরনের জাল দিয়ে মাছ ধরা হয় সাগরে। সাধারণত কাকড়া ও নানা রমক সামুদ্রিক জলজ প্রাণি শিকার করেন জেলেরা। আার নির্ধারিত সময়ের আগেই সবাইকে ফিরতে হয় তীরে।
ওয়াং লিয়াংই
“এ মৌসুমে সাধারণত গিলনেট দিয়ে মাছ ধরা হয়। তাই নৌকাগুলো এ সময় বন্দর ছেড়ে যায়। কাঁকড়া ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হয় এসব জাল দিয়ে।“
ঝেইচিয়াং প্রদেশের বেশ কয়েকটি বন্দর থেকে ট্রলার ও নৌকা নিয়ে এ মৌসুমে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরেন এই এলাকার জেলেরা।