‘আমাদের স্বপ্ন’
2021-08-05 13:37:08

‘আমাদের স্বপ্ন’_fororder_汪峰

প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে প্রচারিত চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান । এখন শুরু করতে যাচ্ছি ‘আমাদের সুরের ভূবন’ অনুষ্ঠান। পরিবেশন করছি আমি লিলি ।

 

বন্ধুরা, প্রথমে আপনাদের জন্য রয়েছে সুন্দরী কুই লুন মেইয়ের গাওয়া ‘সাগরের স্বর্গ’ শিরোনামের গানটি। এটি হলো ‘সাগরের স্বর্গ’ শিরোনামের চলচ্চিত্রের মূল সংগীত। এ চলচ্চিত্রে অসুস্থ সন্তানের যত্ন নিতে এক বাবার একাকী পুরো জীবন অতিবাহিত করার কাহিনী বিধৃত হয়েছে। ‘সাগরের স্বর্গ’ গানে অর্কেস্ট্রা ও পিয়ানোর সুরে সাগরের গভীরতা ও বিস্তীর্ণতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কুই লুন মেইয়ের সহজ-সরল কন্ঠের মাধ্যমে সাগরের স্বর্গের উষ্ণতার অনুভূতি বর্ণনা করা হয়েছে।

 

গানের কথায় রয়েছে, “নদনদী পার হয়ে সাগরে পৌঁছে, সাগর পার হয়ে দূরস্থানে পৌঁছে। মনের দিকে দাঁড়িয়ে ভালোবাসার শাখা বাড়ায়। আকাশে তারকার আলো ছড়িয়ে পড়ুক। রাত আর দুঃখ, বা আতঙ্ক হবে না। আমার মন তোমার সঙ্গে রওয়ানা দেবে। তোমার হাত বারবার আমাকে নিয়ে সামনে এগুচ্ছে। পথের কোনো সীমা না থাকলেও আমরা থামবো না।”

 

বন্ধুরা, এখন আপনাদের শুনাবো ‘তু লালার পদোন্নতি’ শিরোনামের টিভি নাটকের সংগীত ‘সম্ভাবনা বেশি’। তাইওয়ানের সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রুপ ‘এসএইচই’ এ গানটি গেয়েছে। এ টিভি নাটকে তু লালার একজন সাধারণ কর্মী থেকে নিজের প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের একজন নেতা হওয়ার গল্প বর্ণনা করা হয়েছে। ‘সম্ভাবনা বেশি’ গানটি এ টিভি নাটকের পুরো কাহিনীকে ঘিরে লেখা হয়েছে। নারীরা আত্মবিশ্বাসী হলে ভবিষ্যতে অসীম সম্ভাবনা থাকবে - এমন ধারণা দেয়া হয়েছে এ গানে।

 

গানের কথায় রয়েছে, “কে বলে আমি খুব দুর্বল, আমি কখনো মাথা নত করি না। দু’চোখে জল ভরে গেলেও সাহস রাখি। সাহসী নারীদের জন্য সব কিছুই সম্ভব।”

 

সিঙ্গাপুরের গায়ক আতুর জনপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করলে সবার মনে পড়বে, একজন সাধারণ মানুষের ‘রাজপূত্র’ হওয়ার গল্প। আতু এক সময় নির্মাণকর্মী ছিলেন। তিনি তাঁর বিশেষ কন্ঠের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তাঁর ‘তোমাকে তিনি অবশ্যই ভালোবাসেন’, ‘শেষ পর্যন্ত থাকবে’, ‘কালো সন্ধ্যা’সহ বিভিন্ন প্রেমের গান জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। হঠাত্ সাফল্য অর্জনের সঙ্গেসঙ্গে ২০০৩ সালে আতুর সংগীত পুরোপুরি উত্তাল জোয়ার বইয়ে দেয়। এ সময় আতু মনস্তাত্ত্বিক সংকটের সম্মুখীন হন। সংবাদমাধ্যম ও শুটিং ক্যামেরার সামনে আতু নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। তাঁর স্পর্শকাতর মন এক সময় গভীর দ্বন্দ্বের কবলে পড়ে। নিজের বাইরের জগতের ভয়ে এক সময় তিনি কাজ পর্যন্ত করতে পারেন না। বর্তমানে আতু আতঙ্ক থেকে বের হয়ে নতুন এ্যালবাম ‘কোনো ভয় নেই’ নিয়ে সংগীত জগতে পুনরায় ফিরে এসেছেন। তিনি সবাইকে জানাতে চান, আপনার যদি একটা সাহসী মন এবং জীবনের ওপর আস্থা থাকে তাহলে কোনো ভয় নেই - অবশ্যই সংকট থেকে বেরিয়ে আসবেন। এখন সবাই মিলে আতু’র গাওয়া ‘সেই সাগর’ শিরোনামে গানটি উপভোগ করুন।

 

গানের কথায় রয়েছে, “কতদিন তুমি সাগর দেখো না? তুমি মনের কথা বুঝতে পারো? কখনও ব্যর্থতা গ্রহণ করতে চাও না। তোমার সামনে যে ভবিষ্যত অপেক্ষা করবে তা তোমার চাওয়া কিনা? তবে মানুষ হিসেবে অস্থায়ীভাবে সাহস হারানোর সম্ভাবনা আছে। আশা করি, তোমার পাশে বন্ধু থাকবে এবং চিরদিন তোমাকে সমর্থন করবে।”

শ্রোতাবন্ধুরা, এখন আপনাদেরকে শুনাবো আতুর একই এলবামের ‘গুরুর কান্না শুনেছো’ শিরোনামের গানটি। এ গানে আতু গভীর দরদী কন্ঠ দিয়ে প্রেমের কষ্ট ও নিরুপায় হওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।

 

গানের কথায় রয়েছে, “নির্বিচারে সুখের পিছু নিলে আরও একা লাগে। পরাজয় স্বীকার করো, সহজ-সরলভাবে দিতে থাকো। তার জন্য হাসির সঙ্গে কান্না, বারবার রাস্তা হারাই, ভোরের কুয়াশায় শেষ স্থান দেখতে পাই না।”

 

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের শেষে মালয়েশিয়ার একজন গায়িকা তাই পেই নির গাওয়া ‘একজনের লাগেজ’ শিরোনামের গানটি শুনাবো আপনাদেরকে। এ গানে আধুনিক নারীর স্বাধীন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কোমল ও মধুর সুর আপনাদেরকে প্রশান্তি দেবে।

 

গানের কথায় রয়েছে, “আমি একা একা টোকিওর লোহর টাওয়ারে সান্ধ্যদৃশ্য দেখতে যাবো, আমি একা একা ভেনিসে চলচ্চিত্র দেখতে যাবো। আমি একা একা নিউইয়র্কে বরফের দৃশ্য দেখতে যাবো। আমি একা একা প্যারিসে কফি খেতে ও চিঠি লিখতে যাবো। আমি একা ভ্রমণ করতে চাই এবং একা সতেজ নিঃশ্বাস নিতে চাই।”

 

প্রিয় বন্ধুরা, সবাই জানেন, টোকিও অলিম্পিক গেমস এখন চলছে। বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা অলিম্পিকের স্টেডিয়ামে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ এবং দেশ ও জাতির মর্যাদা অর্জনের জন্য পরিশ্রম করছেন। এখন আমি চীনা কন্ঠশিল্প ওয়াং ফোংয়ের গাওয়া ‘আমাদের স্বপ্ন’ নামে একটি গান শোনাবো।

 

গানের কথা এমন: এটি এক ধরনের ভালোবাসা, যেন আমাদের জীবনের মতো। এক মুহুর্তে শত শত ভাষা, হাজার হাজার কন্ঠ, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকের প্রত্যেক মনের সংযোগ করুন। এটাই আমাদের অভিন্ন স্বপ্ন।

 

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শেষে সবাই মিলে ‘একই বিশ্ব একই স্বপ্ন’ শিরোনামে একটি গান শুনবো। গানের নাম থেকে সহজেই এর অর্থ বোঝা যায়। এই গানটি বর্তমানের বিশ্বের জন্য অতি সঙ্গতিপূর্ণ। কোভিড-১৯ মহামারী এখন ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা একই বিশ্বে বাস করছি। একটি দেশ নিরাপদ না হলে সারা বিশ্ব বিপজ্জনক হবে। তাই আমাদের অভিন্ন স্বপ্ন হলো সহযোগিতা করে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করা।

শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। শোনার জন্য অসংখ্য ধন্যাবাদ। (লিলি/এনাম/শুয়ে)