আগস্ট ০৩: সম্প্রতি চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল সিজিটিএনের থিংক ট্যাঙ্ক চীনা, ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবি ও রাশিয়ান ভাষায় সারা বিশ্বের নেটিজেনদের জন্য একটি প্রশ্ন প্রচার করেছে। তাতে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানকে আপনি সমর্থন করেন কি? সারা বিশ্বের নেটিজেনদের থেকে তার উত্তরদানকারীদের ৮৩.১ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে উত্স অনুসন্ধানকে সমর্থন করেন। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের উত্স অনুসন্ধান চালানো উচিত হু’র। এ থেকে বুঝা যায়, বিশ্বের নেটিজেনরা যুক্তরাষ্ট্রের মহামারী প্রতিরোধের নানা সমস্যার উপর নজর রাখছেন। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র নিজের মহামারী প্রতিরোধের ব্যর্থতা চীনের ঘাড়ে চাপানোর ব্যর্থ প্রয়াসে লিপ্ত। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে আজ (মঙ্গলবার) এসব বলা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে চীনে চিহ্নিত হওয়ার এক মাস আগেই জানে যে উহানে সংক্রামক রোগ দেখা দেবে? ইসরাইলের তথ্যমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে, মার্কিন বাহিনী ইসরাইল ও ন্যাটোর সাথে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার করেছে । তাতে বলা হয়, করোনা মহামারী শীগগিরই ছড়িয়ে পড়বে। তাতে চীনের উহানের নামও উল্লেখ করা হয়। ফলে রাশিয়ার তথ্যমাধ্যম মনে করে, মার্কিন বাহিনীর শেয়ার করা এ তথ্য করোনাভাইরাসের আরেকটি সম্ভাব্য উত্সের প্রতি বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। এটি ২০১৯ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত উহান সামারিক গেমসে মার্কিন বাহিনীর প্রতিনিধি দলের অংশগ্রহণ করার সময় তারা ভাইরাস উহানে নিয়ে এসেছেন- এ দাবিকে সত্য প্রমাণিত করেছে।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, সিজিটিএনের প্রশ্নের উত্তরের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিশ্বের নেটিজেনরা ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জনগণের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অপকর্ম আড়াল করে তার দায় চীনের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত উন্মুক্ততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে তাদের দরজা খুলে দেওয়া। যাতে আন্তর্জাতিক তদন্ত চলতে পারে।
(আকাশ/এনাম/রুবি)