জুলাই ৩১: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্রে গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫০০,৩৩২ জন। তা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩১.১৭ শতাংশ বেশি। ফলে সারা বিশ্বে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ স্থানে ছিল। আক্রান্ত মৃতের মোট সংখ্যার দিক দিয়েও বিশ্বের বৃহত্তম দেশের অবস্থান ধরে রাখে যুক্তরাষ্ট্র।তারপরেও কিছু কিছু মার্কিন তথ্যমাধ্যমের প্রবন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে “বিশ্বের এক নম্বর মহামারী প্রতিরোধক দেশ” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এসব পরিসংখ্যান তাদের এমন আচরণকে হাস্যকর হিসেবে প্রমাণ করে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতি সারা বিশ্বে বিপদজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। মানবজাতি করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে নেতৃত্বদানের কথা বলে আসছে। তবে, তাদের কর্মকাণ্ড ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়ায় “সাহায্য” করছে ।
যুক্তরাষ্ট্র এখনও তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তারা মার্কিনীদের জন্য মজবুত মহমারী প্রতিরোধ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত ৪ জুলাইয়ের আগে ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে অন্তত এক ডোজ টিকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের প্রতিরোধ পরিস্থিতি ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তারা কীভাবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে? যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকার আগের সরকারের মতই নিজেদের ব্যর্থতার জন্য অন্য দেশকে দায়ি করছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের মহামারী প্রতিরোধের ব্যর্থতার দায়ভার চীনের উপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে।
রাজনীতি করে ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।এটি বৈশ্বিক মহমারী প্রতিরোধ সহযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। মার্কিন জনগণসহ বিশ্ববাসীকে আরো বিপদজনক অবস্থায় ফেলবে। বিশ্ব এখন “দু ধরনের ভাইরাস” মোকাবিলা করছে—রাজনৈতিক এবং করোনাভাইরাস। (আকাশ/এনাম/রুবি)