চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে
2021-07-27 16:03:06

সংবাদ পর্যালোচনা

 

চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আর ১০০ দিন পর অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আমদানি মেলায় প্রদর্শনী এলাকার আয়তন ৩.৬ লাখ বর্গমিটার। ৫০টিরও বেশি দেশ এবারের মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে; যা প্রত্যাশিত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। বিস্তারিত শুনুন আজকের সংবাদ পর্যালোচনায়।

 

চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার প্রদর্শনী এলাকার আয়তন ৩.৬ লাখ বর্গমিটার। এবারের মেলা ব্যাপক বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। নিবন্ধিত প্রদর্শনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানি এবং নেতৃস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আগের বছরের মেলায় অংশগ্রহণকারীর চেয়ে বেড়েছে। গতবার মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এবারের মেলাতেও অংশগ্রহণ করছে। একই সময় ৩০টিরও বেশি নতুন কোম্পানি থাকবে। চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার ব্যুরোর উপ-পরিচালক সুন হাই ছেং বলেন,

 

“বিশ্বের শীর্ষ দশটি অটো শিল্পপ্রতিষ্ঠান চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ করবে, বিশ্বের শীর্ষ দশটি কসমেটিক ব্র্যান্ড এবং তাদের গ্রুপ নিবন্ধন করেছে, বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি শস্য ব্যবসা কোম্পানি প্রথমবারের এই আমদানি মেলায় হাজির হবে, বিশ্বের শীর্ষ তিনটি এক্সপ্রেস সেবা কোম্পানিও পরিষেবা বাণিজ্য প্রদর্শনী এলাকায় উপস্থিত হবে; যা চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার বৈশ্বিক প্রভাব প্রতিফলন করে।”

 

এ বছরের জাতীয় প্রদর্শনী এলাকায় প্রথমবারের মতো ডিজিটাল প্রদর্শনী হল তৈরি করা হবে। এতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও ত্রিমাত্রিক মডেলিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত উপায়ে অংশগ্রহণকারী দেশের বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করা হবে। এখন পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি দেশ এ মেলায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে।

 

প্রথম তিনটি চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার সহায়তামূলক নীতিগুলো এবার আরও উন্নত ও স্বাভাবিক করা হবে। শাংহাই কাস্টমস, বাজার তদারকি বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ নানা ক্ষেত্রে সংস্কার গভীর করবে। শাংহাই কাস্টমসের উপ-প্রশাসক ইয়ে চিয়েন বলেন, এ বছর পুরাকীর্তি প্রদর্শনের বিষয়ে বিশেষ সমর্থন দেওয়া হবে এবং বিধি অনুসারে করের সুযোগ-সুবিধার নীতি সহজ করা হবে। তিনি বলেন,

 

“জাতীয় পুরাকীর্তি ব্যুরো কর্তৃক পুরাকীর্তি হিসেবে চিহ্নিত প্রদর্শনীর জন্য অস্থায়ী প্রদর্শন বা শুল্কাধীন প্রদর্শনী ফর্মে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মেলায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিক্রি হওয়া আমদানিকৃত পণ্যের জন্য সুযোগ-সুবিধার নীতিমালা মেনে শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি করতে পারবে।”

 

চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা সফলভাবে তিনবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমদানি মেলা আন্তর্জাতিক ক্রয়, বিনিয়োগ প্রচার, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং উন্মুক্ত সহযোগিতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক গণপণ্যে পরিণত হয়েছে।

 

শাংহাই সরকারের উপ-মহাসচিব, আমদানি মেলার পরিষেবা-দলের পরিচালক কু হং হুই বলেন, এবারের আমদানি মেলার সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি আন্তর্জাতিক গ্রাহক কেন্দ্র তৈরি করা হবে।

 

(জিনিয়া/তৌহিদ/শুয়েই)