ঊর্মির বৈঠকখানার’আজকের আসরে আমার সাথে যোগ দিচ্ছেন ড. মো. আশরাফুল আলম। তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশে। চীনের দালিয়ান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে ২০১৫ সালে তিনি পিএইচডি গবেষণা সম্পন্ন করেন। চাকরি জীবন শুরু করেন গবেষক হিসেবে চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সে। বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক পদে চীনের জেংচৌ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষণা করছেন।
ড. আলম এর দুইটি মেধাসত্ত (পেটেন্ট), ৬০টিরও বেশি গবেষণাপত্র কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নালে ও দুইটি বই প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা প্রকল্পের পাশাপাশি তিনি জার্নাল অব চাইনিজ সাইন্স, প্লাস ওয়ানসহ পাঁচটি জার্নাল ও স্প্রিঞ্জার প্রকাশনীর বইয়ের সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি চায়না ন্যাশনাল ন্যাচারাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড (গবেষণা ফান্ড) পেয়েছেন। শেওলা থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়া উদ্ভাবনের জন্য তিনি এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। ড. আলম শেওলা থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় বায়োফ্লকিউলেইশন নামে একটি নতুন ধারণা নিয়ে আসেন, যা অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে এই শিল্পের জন্য অনেক ভালো আবিষ্কার বলে সমাদৃত হচ্ছে।
তা ছাড়া, তিনি গবেষণার জন্য জার্মান সরকারের ফ্রেডরিক এবার্ট স্টিফটাং ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড, ছাত্র জীবনে চীনের সরকারি বৃত্তিসহ বিভিন্ন মেধা বৃত্তি পেয়েছেন। তিনি অনেকগুলো গবেষণা প্রকল্পের প্রধান (পি,আই) ও সহকারি (কো-পি, আই)হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশে ১৭টি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সম্মেলনে তাঁর গবেষনার বিষয় ও ফলাফল উপস্থাপন করেছেন।
ড. আশরাফুল আলম ২০১৮ সালে এলজভিয়ার সাময়িকীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রিভিউয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশি বায়োটেকনোলোজিস্টের নির্বাহী সদস্য এবং এশিয়ান ফেডারেশন অব বায়োটেকনোলোজি, আমেরিকান এসোসিয়েশন অব অ্যাডভান্সমেন্ট অব সাইন্সের একজন সদস্য।
তিনি চীন, চীনা জাতি, চীনের সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভালবাসেন। গত ১১ বছর ধরে তিনি চীনের বিজ্ঞান, গবেষণা ও শিক্ষাখাতে অবধান রাখছেন। তো চলুন, তাঁর কথা শোনা যাক।