চীনের মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে একইভাবে এবং একই রীতিতে কোরবানি দেন এবং ঈদ পালন করেন। প্রতিবছর চীন থেকে অনেক মুসলিম হজ পালন করতে মক্কায় যান। তবে মহামারীর কারণে গত বছর এবং এ বছর তারা হজ করতে যেতে পারেননি। চীনের ৫৬টি জাতির মধ্যে ১০ জাতির মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন।
চীনের যে দশটি জাতি ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন তারা হলেন হুই, উইগুর, কাজাখ, তাজিক, কিরগিজ, উজবেক, তুংসিয়াং, পাও’আন, সালার, তাতার। এরা প্রত্যেকেই কোরবানি ঈদে কোরবানি করেন। আবার যারা হয়তো কোরবানি করছেন না তারা হালাল মাংসের দোকান থেকে মাংস কিনে আনেন।
বেইজিংয়ের একটি বিশাল এলাকা হলো নিয়োচিয়ে। নিয়োচিয়ে শব্দের অর্থ হলো গরুর রাস্তা। তার মানে এইখানে গরু জবাই হয় এবং এখানে হালাল মাংসের দোকান রয়েছে। এই এলাকায় বেইজিংয়ের সবচেয়ে পুরনো মসজিদ ‘নিয়োচিয়ে মস্ক’ অবস্থিত। মসজিদটি হাজার বছরের প্রাচীন। নিয়োচিয়ে এলাকায় বাস
করেন দশ-পনেরো হাজার মুসলিম। এরা বেশিরভাগ হুই জাতির। নিয়োচিয়ে এলাকায় বেইজিংয়ের প্রধান ঈদের জামাতও অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজের পরপরই কোরবানি দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এখানে কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
চীনের বিভিন্ন প্রদেশে যেখানেই মুসলিম বসতি রয়েছে সেখানেই একই নিয়ম। ঈদের নামাজের পর কোরবানি করা হয়। চীনে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, উট কোরবানি বেশি প্রচলিত। তবে অধিকাংশ পরিবার ভেড়া কোরবানি দিয়ে থাকে।
ঈদের দিনে উইগুররা সাধারণত রান্না করেন ‘সিনচিয়াং রাইস পোলাও’, ‘সিনচিয়াং নুডুলস’। ভেড়ার মাংসের বিশেষ ডিশ। হুই, তাজিক জাতিরও রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। যার মধ্যে ভেড়ার মাংসের পুর দেয়া পিঠা এবং শিক কাবাব খুবই উল্লেখযোগ্য।
-শান্তা মারিয়া