আপন আলোয় ২৬
2021-07-23 18:45:51

আপন আলোয় ২৬

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আবৃত্তি করি: ডালিয়া আহমেদ

আপন আলোয় ২৬_fororder_a1

এ পর্বে থাকছে

১. প্রতিবেদন: চীনে ঈদুল আজহার বিশেষ সংস্কৃতি

২. অন্তরঙ্গ আলাপন: ডালিয়া আহমেদ, আবৃত্তিশিল্পী, উপস্থাপক ও প্রশিক্ষক

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

      চীনের সংস্কৃতি-চীনের ঐতিহ্য

চীনে ঈদুল আজহার বিশেষ সংস্কৃতি

আপন আলোয় ২৬_fororder_a2

চীনের মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে একইভাবে এবং একই রীতিতে  কোরবানি দেন এবং ঈদ পালন করেন। প্রতিবছর চীন থেকে অনেক মুসলিম হজ পালন করতে মক্কায় যান। তবে মহামারীর কারণে গত বছর এবং এ বছর তারা হজ করতে যেতে পারেননি। চীনের ৫৬টি জাতির মধ্যে ১০ জাতির মানুষ ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন।

চীনের যে দশটি জাতি ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করেন তারা হলেন হুই, উইগুর, কাজাখ, তাজিক, কিরগিজ, উজবেক, তুংসিয়াং, পাও’আন, সালার, তাতার। এরা প্রত্যেকেই কোরবানি ঈদে কোরবানি করেন। আবার যারা হয়তো কোরবানি করছেন না তারা হালাল মাংসের দোকান থেকে মাংস কিনে আনেন।

বেইজিংয়ের একটি বিশাল এলাকা হলো নিয়োচিয়ে। নিয়োচিয়ে শব্দের অর্থ হলো গরুর রাস্তা। তার মানে এইখানে গরু জবাই হয় এবং এখানে হালাল মাংসের দোকান রয়েছে। এই এলাকায় বেইজিংয়ের সবচেয়ে পুরনো মসজিদ ‘নিয়োচিয়ে মস্ক’ অবস্থিত। মসজিদটি হাজার বছরের প্রাচীন। নিয়োচিয়ে এলাকায় বাস

আপন আলোয় ২৬_fororder_a3.jpg

করেন দশ-পনেরো হাজার মুসলিম। এরা বেশিরভাগ হুই জাতির। নিয়োচিয়ে এলাকায় বেইজিংয়ের প্রধান ঈদের জামাতও অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের নামাজের পরপরই কোরবানি দেয়া হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও এখানে কোরবানি দিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। চীনের বিভিন্ন প্রদেশে যেখানেই মুসলিম বসতি রয়েছে সেখানেই একই নিয়ম। ঈদের নামাজের পর কোরবানি করা হয়। চীনে ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, উট কোরবানি বেশি প্রচলিত। তবে অধিকাংশ পরিবার ভেড়া কোরবানি দিয়ে থাকে।

ঈদের দিনে উইগুররা সাধারণত রান্না করেন ‘সিনচিয়াং রাইস পোলাও’, ‘সিনচিয়াং নুডুলস’। ভেড়ার মাংসের বিশেষ ডিশ। হুই, তাজিক জাতিরও রয়েছে বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার। যার মধ্যে ভেড়ার মাংসের পুর দেয়া পিঠা এবং শিক কাবাব খুবই উল্লেখযোগ্য।

-শান্তা মারিয়া

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

 

অন্তরঙ্গ আলাপন 

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আবৃত্তি করি: ডালিয়া আহমেদ

আপন আলোয় ২৬_fororder_a4

কেন কবিতা আবৃত্তি করি…

আবৃত্তি করতে ভালো লাগে, আনন্দ পাই। কোনো একটা কবিতা যখন আমার মনটা ছুঁয়ে যায়, আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে, তখন সেটা আমি অন্যদের মাঝে সঞ্চারিত করাকে কর্তব্য বলে মনে করি।

সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি আবৃত্তি করি। যখন ধর্মনিরপেক্ষতা কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত আসে, তখন আবৃত্তি নিয়ে আমার কণ্ঠ সোচ্চার হয়। কবিতা আমার একটা আশ্রয়স্থলও। যখন আমি কষ্ট পাই আবৃত্তি করি; যখন আনন্দ পাই তখনও আবৃত্তি করি।

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের আবৃত্তিভাবনা নিয়ে বললেন ২০২০ সালের শিল্পকলা পদকের জন্য মনোনীত বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, উপস্থাপক ও প্রশিক্ষক; বীর মুক্তিযোদ্ধা ডালিয়া আহমেদ।

শুনিয়েছেন কিছু হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কবিতা।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাহমুদ হাশিম।

 

-    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -    -

প্রিয় বন্ধুরা, আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ আমাদের সমৃদ্ধ করবে। চীন আন্তর্জাতিক বেতার-সিআরই বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla আপনার মন্তব্য করতে পারেন। সিএমজি বাংলা’র ফেসবুক পাতা facebook.com/cmgbangla এবং ইউটিউব লিঙ্ক youtube.com/cmgbangla তে গিয়েও আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্ক জানাতে পারেন আপনার মূল্যায়ন।

 

পরবর্তী অনুষ্ঠানে আমরা বাংলাদেশ-চীনের সংস্কৃতিক অঙ্গনের আরো কিছু খবর এবং গুণিজনের অন্তরঙ্গ আলাপন নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন।

 

 

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

 

ছবি ও অডিও সম্পাদনা: তানজিদ বসুনিয়া

 

সাক্ষাৎকার গ্রহণ, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম।