জুলাই ২৩: সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনাভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। এতে পরীক্ষাগারের নীতিবিধি চীন লঙ্ঘন করার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনুমানের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তা মার্চ মাসের শেষের দিকে হু প্রকাশিত যৌথ গবেষণার প্রতিবেদনের ফলের সাথে অসঙ্গতীপূর্ণ বলে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করা হয়। হুর ওই প্রতিবেদনে ভাইরাসের পরীক্ষাগার থেকে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় অসম্ভব বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।
হুর নতুন পরিকল্পনার জবাবে চীন গতকাল (বৃহস্পতিবার) একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিস্তারিত তথ্য ও উদাহরণ দিয়ে একটা পর একটা পশ্চিমাদের তৈরী উহান পরীক্ষাগার সম্পর্কিত গুজবকে নস্যাৎ করেন। অবৈজ্ঞানিক উপায়ে ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের পরিকল্পনা একেবারে অগ্রহনযোগ্য বলে চীনের বক্তব্য সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, বাস্তবতা হচ্ছে সবচেয়ে ভাল প্রমাণ। এ পর্যন্ত উহানের ভাইরাস গবেষণা ইনস্টিটিউটের একজনও করোনায় আক্রান্ত হন নি। সেখানে তথাকথিত মানুষের তৈরি ভাইরাসও নেই। তাই পরীক্ষাগারের নীতিবিধি চীন লঙ্ঘন করার কারণে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার অনুমান একেবারেই অবাস্তব। হুর দ্বীতিয় পর্যায়ের ভাইরাসের উতস অনুসন্ধানের পরিকল্পনার বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি নেই। তাতে বোঝা যায়, বৈজ্ঞানিক উপায়ে ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হয়েছে।
আরো গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে, হুর বিশ্বষেজ্ঞ দল ইতোমধ্যে চীনে দু’বার সফর করেছেন। তারা উহান ভাইরাস গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন। চীনে তারা যেখানে যেতে চেয়েছেন, সেখানেই গিয়েছেন। যাদের সঙ্গে সাক্ষত করতে চেয়েছেন, করেছেন। এমন বিস্তারিত গবেষণার পর বিশেষজ্ঞ দলটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে চীনের পরীক্ষাগার থেকে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া প্রায় অসম্ভব বলে উপসংহার টেনেছে।
ভাইরাস হচ্ছে মানবজাতির অভিন্ন শত্রু। আন্তর্জাতিক সমাজ কেবল ঐক্যবদ্ধভাবে তাকে পরাজিত করতে পারবে। ভাইরাসের উত্স অনুসন্ধানের কাজ হচ্ছে বৈজ্ঞানিক ব্যাপার। তাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ একেবারেই উচিত নয়। তা অনেক নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে বলে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
(আকাশ/এনাম/রুবি)