জুলাই ১৬: গতকাল (বৃহস্পতিবার)একটি মার্কিন পরিবহন বিমান তাইওয়ানে অবতরণ করেছে। একে একটি গুরুতর উস্কানিমূলক তত্পরতা হিসেবে দেখছে চীন। প্রকাশ্যে তাইওয়ান নিয়ে চীনের অঙ্কিত লাল রেখা অতিক্রম হিসেবে দেখছে বেইজিং। চীন-মার্কিন সম্পর্কের সূচনায় ঘোষিত তিনটি ইশতাহারের সুস্পষ্ট এবং গুরুতর লঙ্ঘন বলে মনে করছে চীন। মার্কিন বিমানের অবতরণের পরক্ষণেই চীন এর তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। চীন সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চীনা গণমুক্তি ফৌজ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে দৃঢ়ভাবে ‘তাইওয়ান স্বাধীনতা’-বিষয়ক যে কোনো ষড়যন্ত্র বানচালে সর্বাত্নকভাবে প্রস্তুত রয়েছে চীনের বাহিনী। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে আজ (শুক্রবার) এসব বলা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, তাইওয়ান বিষয় হচ্ছে চীনের মৌলিক কল্যাণ, এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের সবচেয়ে সংবেদনশীল ইস্যু। বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকেই, মুখে তারা ‘এক চীন নীতি’ মেনে চলার কথা বলে আসছে। কিন্তু আসলে তারা সবসময় তাইওয়ানের বিছিন্নতাবাদীদের উত্সাহিত করে চলছে। তাইওয়ানকে তারা চীনকে প্রতিহত করার একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে। মার্কিনীদের এহেন ভুল তত্পরতা তাইওয়ান প্রণালীর পরিস্থিত আরো খারাপ করছে। সেসঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককেও আরো নাজুক করছে এবং করবে।
সম্পাদকীয়তে আরো বলা হয়, তাইওয়ান হচ্ছে চীনা ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তা আন্তর্জাতিক সমাজও ব্যাপকভাবে স্বীকার করেছে। ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী চীনা জনগণের সামনে চীনকে বিচ্ছিন্ন করার যে কোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হতে বাধ্য।
চীন কখনো অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেনি, চীনও অন্য দেশকে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে দিবে না। চীন মনে করে, কোন ব্যক্তি বা শক্তি চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় চীনা জনগণ, ও গণমুক্তি ফৌজের দৃঢ় সংকল্প ও শক্তিশালি সক্ষমতাকে হেয় প্রতিপন্ন করার দুঃসাহস দেখাবে না।
চীন অবশ্যই একত্রীত হবে। এতে বিন্দুমাত্র সংশয়ের অবকাশ নেই। এটি ঐতিহাসিক বাস্তবতা। এতে কেউ বাধা দিতে পারবে না বলে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
(আকাশ/এনাম/রুবি)