সাজিদ রাজু, ঢাকা: ই-কমার্সের প্রসারে বদলে গেছে চীনের প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষি কিংবা শিল্পের বাজার। বিশেষ করে লাইভ-স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের কল্যাণে কৃষকের খামার অথবা উৎপাদকের কাছ থেকেই দেখে-শুনে বাছাই করা পণ্য কিনতে পারছেন গ্রাহক। এতেই বদলে গেছে চীনের কেনা-বেচার ডিজিটাল বাজার।
চীনের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবুজ গ্রামের ফলের বাগান। পাতার ফাঁকে থরে থরে ঝুলে থাকা চায়নিজ বরই। হালকা লাল আর সবুজের মিশ্রনে এক অসাধারণ ফল।
প্রযুক্তির কল্যাণে বাগান থেকেই দেখতে পাচ্ছেন আলো ঝলমলে শহরের বাসিন্দারাও। বাম্পার ফলন হওয়ায় এখানে এ বছর সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে এ ফলের চাষ হয়েছে। ছোট-বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আবার আকর্ষণীয় প্যাকেটে করে পৌছে দিচ্ছে গ্রাহকের দরজায়।
এখানকারই এক বরই চাষী ছ্যাং পিংচিন। তিনি বলছিলেন, এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ার বেশ লাভবান হয়েছেন তিনি।
ছ্যাং পিংচিন, বরই চাষী
“গেল ৩দিন ধরে বরই তুলে বিক্রি করছি। আমাদের যে পরিমাণ বরই গাছ আছে তাতে আরো ১০ দিন বিক্রি করতে পারবো। আশা করি এবার ৩০ হাজার ইউয়ানের মতো আয় করা সম্ভব হবে।”
পণ্যের লাইভ স্ট্রিমিং এমনই পাল্টে দিয়েছে পণ্যের বাজার। পরিসংখ্যান বলছে, পুরো চীন জুড়ে এখন নানা পণ্য বিক্রি হয় লাইভ-স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে।
চীনের একজন উদ্যোক্তা ওয়াং চিয়াওলং। লাইভ-স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে খুব দ্রুত তিনি পণ্য পৌছাতে পারেন ক্রেতাদের কাছে। তিনি জানান, এ পদ্ধতিতে অভাবনীয় সাড়া মিলছে গ্রাহকদের কাছে থেকে।
ওয়াং চিয়াওলং, উদ্যোক্তা
“লাইভ-স্ট্রিমিং এর প্রথম ঘণ্টাতেই আমরা ১০ হাজারের বেশি অর্ডার পেয়েছি। এরই মধ্যে ২৫ টন বিক্রি শেষ, আয় হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ইউয়ান।”
শুধু কৃষিপণ্য নয়, প্রসাধনী থেকে প্রযুক্তি পণ্য এমন কিছু নেই যা অনলাইনে পাওয়া যায়না।
চীনের ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক ইনফরমেশন সেন্টার বলছে, ২০২০ সালে লাইভ-স্ট্রিমিং ই-কমার্স এর মাধ্যমে অন্তত ৩৮ কোটি ৮০ লাখ মানুষ কেনাকাটা করেছে। সে বছর কেবল মার্চ মাসেই এ সংখ্যা ছিলো ২৫ কোটি ৬০ লাখ।