জুলাই ১৪: গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন এন্ড ইমোনাইজেশন (গ্যাভি) গত সোমবার একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, সাইনোফার্ম ও সাইনোভ্যাকের সাথে গ্যাভি টিকা ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ফলে দুটি চীনা টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। এ দুটি চীনা টিকা উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান চলতি মাস থেকে কোভ্যাক্সকে টিকা সরবরাহ করবে। এসব টিকা উন্নয়নশীল দেশসমূহের মহামারী প্রতিরোধে ব্যবহৃত হবে।
একে আন্তর্জাতিক সংস্থার চীনা টিকার প্রতি আরেকটি স্বীকৃতি বলে উল্লেখ করেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়। তাতে বলা হয়, বাস্তব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চীন টিকাকে বৈশ্বিক গণপণ্যে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে। বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধের শক্তি বাড়ানোর জন্য কাজ করছে চীন।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীনের দুটি টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকরিতা অনেক বার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঠিক করা হয়। এ পর্যন্ত একশ’র বেশি দেশ চীনা টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। ত্রিশ জনেরও বেশি বিদেশি রাষ্ট্র নেতা চীনা টিকা গ্রহণ করেছেন। যাতে চীনা টিকার শক্তি প্রমাণিত হয়।
এ বছরের মে মাসে ব্রাজিলের সেরেনা শহরে চীনা টিকা প্রদান করার পর অনেক সুফল অর্জিত হয়। অধিবাসীরা চীনা সাইনোভ্যাক টিকা গ্রহণ করার পর, করোনা মহামারীতে নতুন করে মৃতের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমেছে, হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রোগীর সংখ্যা ৮৬ শতাংশ কমেছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক সংবাদে বলা হয়, সেরেনা শহরের ফলাফল সারা বিশ্বকে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জুগিয়েছে। তাতেও চীনা সাইনোভ্যাক টিকার কার্যকরিতা প্রমাণিত হয়।
উল্লেখ্য, এ দুটি চীনা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও একাধিক চীনা টিকা উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোভ্যাক্স উদ্যোগে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তার মানে, ভবিষ্যতে আরো বেশি চীনা টিকা বৈশ্বিক মহামারী প্রতিরোধে ইতিবাচক অবদান রাখবে।
টিকাকে গণপণ্যে পরিণত করা বিশ্বের প্রতি চীনের একটি প্রতিশ্রুতি। চীন এটি বাস্তবায়নে অধ্যবসায় আগামিতেও অব্যাহত রাখবে বলে সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়। (আকাশ/এনাম/রুবি)