জুলাই ১২: যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে গত শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হংকংয়ের অ্যাপল ডেইলি বন্ধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের এক সম্পাদকীয়তে এটি উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদকীয় মতে, বিবৃতিতে বলা হয়, হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলের সরকার বাক স্বাধীনতাকে দমন করছে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ বাক স্বাধীনতার অজুহাতে হংকং বিষয়ে আবার হস্তক্ষেপের রাজনৈতিক অপচেষ্টা করছে। তা আসলে কোনো বাস্তবসম্মত কাজ নয়।
যুক্তরাষ্ট্রসহ কতিপয় পশ্চিমা দেশ আসলে আন্তর্জাতিক সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। তারা শুধু ২১টি দেশ, তারা কোনোভাবেই বাক স্বাধীনতার একমাত্র রক্ষক হতে পারে না। বাক স্বাধীনতার সঙ্গা দেওয়ার একক অধিকারও তাদের নেই। চীনের প্রতি ‘গুরু’র মত আচরণের অধিকার বা যোগ্যতা কোনোটাই তাদের নেই। তাদের রাজনৈতিক অপচেষ্টা আন্তর্জাতিক সমাজকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না।
অ্যাপল ডেইলির বিষয়টি কোনোভাবেই বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে জড়িত নয়। এটি আসলে হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের সাথে সম্পৃক্ত। তারা সেই আইন লঙ্ঘন করেছে। তারা হংকংয়ের শৃঙ্ঘলা নষ্টের অবৈধ তত্পরতা চালাচ্ছে। তাই কোনো সভ্য সমাজ তাদের সহ্য করবে না।
আসলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে পশ্চিমাদের কথা ও কর্মকাণ্ড সব সময় এক নয়। আশি বছর আগে বৃটেনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিখ্যাত পণ্ডিত এডওয়ার্ড হলেট বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র দয়ার পোশাক পরে স্বার্থসিদ্ধি করে থাকে। এটি তাদের হীন পরিচয় আড়ালের কৌশল মাত্র।
বর্তমানে তারা বাক স্বাধীনতা নিয়ে রাজনীতি করছে। তাদের এই অপরাজনীতি বৃটিশ পণ্ডিতের কথাকে আবারও আলোচনায় নিয়ে এসেছে।
হংকংয়ের পরিস্থিতি ইতোমধ্যে স্থিতিশিল হয়েছে। তাই এ ধরনের তথাকথিত পশ্চিমা ‘গুরু’ ও ‘কপট’দের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেছে। পশ্চিমাদের নিজর দেশের বাক স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করা উচিত। তাদের রাজনৈতিক অপচেষ্টা অবশ্যই ব্যর্থ হবে।
( আকাশ/এনাম/রুবি)