জুলাই ১০: গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে চীন, রাশিয়া, সিরিয়া ও জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি অস্ট্রেলিয়ায় মানবিধাকারের লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তাতে অস্ট্রেলিয়া নিজকে “মানবাধিকারের রক্ষক” দাবি করলেও তাদের আসল চেহারা বেরিয়ে আসে। বিশ্ববাসী দেশটির নিজের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রক্তাক্ত নজির দেখতে পায় বলে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের (সিআরআই) এক সম্পাদকীয়তে এসব বলা হয়।
তাতে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ মানবাধিকারের অবস্থায় নজর রাখেন যারা, তারা জানেন, বিগত কয়েক শ’ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া তার নিজ দেশের আদিবাসীদের উপর নির্মম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। ১৭৮৮ সালে বৃটিশরা প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর সময়ে সেদেশে প্রায় এক মিলিয়ন আদিবাসী ছিল। কিন্তু গত শতকে তা কমে বিশ হাজারের নিচে নেমে আসে। বর্তমানে আদিবাসীদের সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার কেবল ৩.৩ শতাংশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার জেলগুলোর কয়েদীদের মোট ২৮ শতাংশ হচ্ছে অদিবাসী। তবে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন সেদেশের মানবধিকারের এহেন খারাপ দৃষ্টান্তের নিন্দা জানালেও অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও তথ্য মাধ্যম তাতে সাড়া দেয় না।
আদিবাসী জনগণের ইতিহাস হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের ইতিহাস। তবে, এখানেই শেষ নয়। এটি তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খুবই সামন্য অংশমাত্র। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সেদেশে বর্ণবাদ চরম আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সহিংস ঘটনা ঘন ঘন ঘটে চলছে। বর্ণবাদ বিরোধী এক অলাভজনক সংস্থার গবেষণায় দেখা যায়, সেদেশের মুসলিম, প্রবাসী চীনা ও অদিবাসীরা সবচেয়ে বেশি বর্নবাদী আচরণ ও হামলার শিকার। কিন্তু দেশটির রাজনীতিবিদরা এসবকে সবসময় অবহেলা করে আসছেন।
বাস্তবতা থেকে বিশ্ববাসী বুঝতে পেরেছে, তথাকথিত “মানবাধিকারের রক্ষক” আসলে মানবাধিকারের ভক্ষক। তাদের উচিত আয়নায় নিজের চেহারা দেখে আত্ন-সমালোচনা করা। মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপরে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
(আকাশ/এনাম/রুবি)