জুলাই ৮: সম্প্রতি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীর সম্মেলনে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং-এর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিভিন্ন মহলের মানুষ বলেন, এই ভাষণ ব্যাপক উত্সাহব্যঞ্জক। এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনুন আজকের সংবাদ পর্যালোচনায়।
কুরবান নায়াজী হলেন সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আকসু এলাকার উসি জেলার ইমাসু থানায় অবস্থিত দেশের প্রচলিত ভাষার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান। চলতি বছর তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ সিপিসি সদস্যের’ গৌরব অর্জন করেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সি’র গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ শুনে তিনি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, যে বিষয়টি আমি সবচেয়ে বেশি ভাবছি, তা হল এই জীবনে সিপিসি’র নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি প্রেসিডেন্ট সি’র গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের চেতনা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেবো, শিশু ও জনগণের কাছে তুলে ধরব।
ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি বলেছিলেন, ‘দেশ মানে জনগণ, জনগণই হল দেশ। দেশ গঠন ও দেশ রক্ষা করা মানে- জনগণের হৃদয়কে রক্ষা করা’।
কুই চৌ প্রদেশের ইয়াং মেই এবং তাঁর পরিবার ২০১৬ সালে দারিদ্র্যবিমোচন নীতির কল্যাণে দরিদ্র খাইশাও গ্রাম থেকে খাই লি শহরের শাংমাসি কমিউনিটিতে স্থানান্তর হয়েছেন। দুই বছর পর তিনি একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। তিনি সেই কমিউনিটির ‘দারিদ্র্যবিমোচন কারখানার’ একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। চলতি বছর ইয়াং মেই দেশের শ্রেষ্ঠ কৃষক শ্রমিকের গৌরব অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, সিপিসি ও সরকারের সাহায্যে, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করে ‘দারিদ্র্যবিমোচন কারখানা’ স্থাপন করেছি, আমরা বলি- মিয়াও জাতির মানুষের হৃদয় সিপিসি’র দিকে, দারিদ্র্যমুক্ত হয়ে জীবন আরো সুখকর হচ্ছে।
চীনের ছিংহাই প্রদেশের চাওওয়েই তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানির সিপিসি শাখার সম্পাদক, কোম্পানির প্রধান ওয়াং সুয়েই লি বলেন, ভাষণে প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেছেন, ‘মানুষ ও প্রকৃতির সুষম সহাবস্থানের নীতির আলোকে জনগণের ধনী হওয়া, দেশের শক্তিশালী হওয়া এবং সুন্দর চীন গড়ে তোলার কাজ জোরদার করতে হবে।’
তিনি বলেন, আমি গত শতাব্দীর ৭০ দশকের মানুষ। জন্মের পর থেকে স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছি যে, ধীরে ধীরে আমাদের জন্মস্থানের পরিবেশ ভালো হচ্ছে, আমাদের আকাশ আরো নীল হচ্ছে, আমাদের নদনদী আরো পরিচ্ছন্ন হচ্ছে, আমাদের জীবন আরো সুখের হচ্ছে এবং জনগণের জীবনের মান অনেক বেড়েছে। আমরা মনে করি, নতুন যুগে এমন জীবনযাপন করা সত্যি খুব সুখের ব্যাপার।
চীনের ওয়েস্টার্ন রিটার্নন্ড স্কলার্স অ্যাসোশিয়েশন-এর সচিব ওয়াং ভু এ সম্পর্কে বলেন, সংস্থার সদস্যরা আরো বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন,
বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনীমূলক উন্নয়ন, বিদেশে অধ্যয়ন করা মানুষের দেশে ফিরে আসায় আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা প্রেসিডেন্ট সি’র কথা অনুযায়ী বিশ্বের সঙ্গে আরো ভালোভাবে সংযুক্ত হবো, বিনিময় বাড়াবো, সহযোগিতা করবো এবং দেশের উন্নয়নে কাজ করবো।
চীনের জেনার্টেক গ্রুপের চিকিত্সা ও স্বাস্থ্য বিভাগের ম্যানেজার লিউ খুন বলেন, প্রেসিডেন্ট সি’র ভাষণ শুনে তাঁর ব্যক্তিগত কাজের লক্ষ্য আরো স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন,
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি মহান একশ’ বছরের ইতিহাস অতিক্রম করেছে। একজন সিপিসি’র সদস্য হিসেবে আমি খুব গর্ব বোধ করছি। সিপিসি’র চেতনা হল জনসেবায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা। পরবর্তীতে আমরাও সর্বাত্মক চেষ্টার মাধ্যমে জনসেবা করবো।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)