মহামারীর সংকটে নারী শ্রমিকরা
2021-07-08 18:58:15

যে কারণে ৯ বার প্রত্যাখ্যান করা হয় সি চিনপিং এর সিপিসি’র সদস্য হওয়ার আবেদন?_fororder_nv

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে বরাবরই নারীরা অনেকটা পিছিয়ে। আর চলমান করোনা সংকটে নারী-পুরুষ উভয়েই কাজ হারালেও পুরুষের চাইতে নারী কর্মজীবীরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বিশ্ব জুড়েই চাকরির বাজারে মন্দা অবস্থানে রয়েছে নারী ।

মহামারী করোনার এ ক্রান্তিকালে কাজ হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কর্মজীবী নারী। বিশেষ করে স্বাক্ষরতায় যারা পিছিয়ে রয়েছেন সেই শ্রমজীবীদের বেঁচে থাকার চাপ নিয়ে ছুটতে হচ্ছে এদিক ওদিক।

প্রাতিষ্ঠানিক খাতের চেয়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত নারীরা কাজ হারিয়েছেন বেশি। মহামারিতে এসব খাতে কর্মরত নারীরাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে পোশাক খাত এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক, প্রবাসী নারী শ্রমিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, কৃষি ও গৃহকর্মে জড়িত নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

চাকরি হারানোর পাশাপাশি নারীরা সহিংসতারও শিকার হচ্ছেন। নারীদের প্রতি অর্থনৈতিক চাপ ও পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে ব্যাপক মাত্রায়।বেসরকারি বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার এ পরিস্থিতিতে নারী নেতৃত্বাধীন পরিবারের আয় কমেছে ৮০ শতাংশ। এমনকি করোনায় নারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।

গবেষণা বলছে, পোশাক খাতের কর্মীরা সবচেয়ে বেশি ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন। কারও কারও বেতন কমানো হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা পুঁজি হারিয়েছেন। এ অবস্থায় অনেক গৃহকর্মী ভিক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে যেসব নারী সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী তারা গোটা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই শহর ছেড়েছেন, ফিরে গেছেন গ্রামে।কোভিডকালে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। স্থবির হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। 

তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ সমস্যা নিরসন করা সম্ভব। সরকারি-বেসরকারি প্রণোদনা নারীর কাজে ফেরার গতিকে ত্বরান্বিত করবে বলেও মনে করেন তারা।

রওজায়ে জাবিদা ঐশী