জুলাই ৩: সিপিসি’র শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্যাপনী অনুষ্ঠানে, দলের সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিং ঘোষণা করেন: “সিপিসি মানবজাতির ভবিষ্যত ও ভাগ্যকে ফোকাস করে ও বিশ্বের সব ইতিবাচক শক্তির সাথে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যাবে। চীন বরাবরই বৈশ্বিক শান্তির রক্ষক, বৈশ্বিক উন্নয়নের বাহক এবং আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার ধারক।”
বস্তুত, শান্তি হচ্ছে চীনা জাতির পাঁচ সহস্রাধিক বছরের চেতনা, যার আলোকে সিপিসি তার নিজস্ব পথে সামনে এগিয়ে চলেছে।
১৯২১ সালে জন্মের পর থেকে, সিপিসি বরাবরই মহান উচ্চাকাঙ্ক্ষা পোষণ করে আসছে ও তা বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে সফলও হয়েছে। সিপিসি শুধু চীনা জনগণের সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা নয়; বরং মানবজাতির শান্তি ও অগ্রগতির জন্য নিজের অবদান রাখার প্রচেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্ববাসী স্পষ্টই দেখছে যে, সিপিসির নেতৃত্বে, চীনের জনগণ দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাওয়ার এই প্রক্রিয়া পশ্চিমা কোনো দেশের মতো নয়। পশ্চিমা দেশগুলো ‘শক্তিশালী হয়েই অন্যদেশের ওপর খবরদারি’ করার নীতিতে বিশ্বাসী। আর চীন সবসময় জয়-জয় পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য কাজ করে। সবার কল্যাণকেই চীন প্রকৃত কল্যাণ মনে করে। এটা মানবজাতির জন্য চীনের মূল্যবান অবদান।
সিপিসির সদস্যসংখ্যা হচ্ছে সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি। অথচ এ দলটি বৈশ্বিক শান্তির প্রতি হুমকি তো নয়ই, বরং বৈশ্বিক শান্তির ধারক ও বাহক। ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ মার্টিন জ্যাকস্ বলেন, চীন একটি সহযোগিতামূলক, জয়-জয়, যৌথ নির্মাণ, ও যৌথ ভোগের উন্নয়ন-পথ সৃষ্টি করেছে, যা একটি অভূতপূর্ব মহান সৃষ্টি।
বিগত শত বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, সিপিসি হচ্ছে জনগণের সুখের জন্য কাজ করা পার্টি; সিপিসি মানবজাতির অগ্রগতির জন্য প্রচেষ্টা চালানো পার্টি। ভবিষ্যতে সিপিসি’র নেতৃত্বে চীনের জনগণ শান্তি ও উন্নয়নের পথেই এগিয়ে যাবে; নিজের উন্নয়নের পাশাপাশি, চীন বৈশ্বিক উন্নয়নকেও ত্বরান্বিত করবে। (আকাশ/আলিম/মুক্তা)