সাজিদ রাজু, ঢাকা: মানুষের প্রয়োজনকে সবার আগে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। বিশেষ অবদান রাখা দলীয় সদস্যদের সম্মানিত করতে আয়োজিত ‘১ জুলাই পদক’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ বার্তা দেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল সিপিসি’র এই জেনারেল সেক্রেটারি।
মঙ্গলবার সকালে লাল গালিচা বিছানো পথে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ায় স্কুলের শিশুরা। তাদের কণ্ঠে স্লোগান আর করতালি। প্রসংশায় ভাসেন আগতরা।
ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য তাঁরা। জীবনের নানা ঘটনার বাক প্রবাহেও যারা মানুষের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ধারণ করেছেন দলীয় আদর্শ, এগিয়ে নিয়ে গেছেন দেশ গঠনের কাজ, তাদেরই স্বাগত জানাচ্ছে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা।
পিপল’স লিবারেশন আর্মির চৌকশ সদস্যরা অতিথিদের নিয়ে প্রবেশ করেন প্রধান ফটকে।
এরপরই শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। গ্রেট হল অব পিপলে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় মুহুর্মুহু করতালি। সিপিসি’র ১০০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারা দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ অবদান রাখা ২৯জন দলীয় সদস্যের সম্মানে ‘১ জুলাই পদক’ তুলে দেন প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বলেন, “১ জুলাই পদক পাওয়া সদস্যরা সিপিসি’র বিভিন্ন পর্যায়ের অনন্য প্রতিনিধি। তারাই সিপিসি’র মহানুভবতা ও দলের প্রতি আনুগত্যের প্রাণবন্ত উদাহরণ। দলের প্রতি তাদের আস্থা, বিশ্বাস যেমন বাস্তবধর্মী তেমনি কঠোর প্ররিশ্রমের মধ্যদিয়ে নিজের দায়িত্ববোধও তারা প্রমাণ করেছেন।”
স্কুল শিক্ষক, সমরবিদ, কূটনীতিক, দারিদ্র্য বিমোচনসহ নানা খাতে অবদান রাখা এই গুণীজনদের সম্মান জানিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, মানুষের স্বার্থই প্রাধান্য পাবে সবার আগে।
“ক্ষমতার লক্ষ্য হওয়া উচিত মানুষ ও মানুষের জন্য। সিপিসি’র সদস্যরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, মানুষকে স্থান দিয়েছে সবার উপরে, রক্ষ-মাংসের সম্পর্কও গড়েছে মানুষের সাথে।“
দলীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ের সংগঠকদের উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো এবারই এমন উদ্যোগ নিলো সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি।