দেহঘড়ি পর্ব-২৪
2021-07-02 20:13:56

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা ‘ভুলের ভূবনে বাস’ সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ এবং খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা ‘কী খাবো, কী খাবো না’।

## প্রতিবেদন

 

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_1.jpg

 

৭ দিনের ব্যবধানে বাংলাদেশে মৃত্যু বেড়েছে ৫০ শতাংশ

বাংলাদেশে এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। মৃত্যুও ঊর্ধ্বমুখী। পরিস্থিতির এমন অবনতির কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা ভারতীয় ডেলটা ভেরিয়েন্টের দ্রুত সংক্রমণ প্রবণতার কথা বলেছেন। আরও জানাচ্ছেন হাবিবুর রহমান অভি।

 

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যে সাড়ে ৯ লাখ করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৫০ হাজারই শনাক্ত হয়েছে গেল সপ্তাহে। এখন প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে প্রায় দেড় শ মানুষ। সরকারি হিসেবেই, বাংলাদেশে করোনায় মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা ১৫ হাজার ছুঁইছুঁই। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই করোনা সংক্রমণের এই উর্ধ্বমুখি প্রবণতা কেন?  ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত শনাক্তের হারের মধ্যেই এর উত্তর রয়েছে।

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_2.jpg

ছবি: অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ।

 

এমন অবস্থায় সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরামর্শক অধ্যাপক মুশতাক হোসেন। তিনি মনে করেন, এর সুফল পেতে উদ্যোগী হতে হবে জনগণকেও।

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_3.jpg

ছবি: অধ্যাপক মুশতাক হোসেন, পরামর্শক, আইইডিসিআর।

 

শারিরীক দূরত্ব প্রতিপালনের পাশাপাশি জরুরী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত রাখার কথাও বলেছেন এই দুই স্বাস্থ্যবিদ।

হাবিবুর রহমান অভি। চীন আন্তর্জাতিক বেতার। ঢাকা

##হেল্‌থ বুলেটিন

 

বাংলাদেশে ৭ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_4.jpg

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। লকডাউনে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচল এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে; চালু রয়েছে কেবল জরুরী সেবা। কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় কঠোর এই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ মাসেই বাংলাদেশে ব্যাপক পরিসরে টিকাদান শুরু হচ্ছে

জুলাই থেকে বাংলাদেশে ব্যাপক পরিসরে টিকাদান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, টিকা সংগ্রহ করতে যতো টাকা দরকার, সরকার তা দেবে। টিকা নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_5

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে চীনের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনলাইন বুলেটিনে এই তথ্য জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের ডা. শামসুল হক জানান, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, ২৫০ বেড হাসপাতাল ছাড়াও চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতাল এবং সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি চলছে।

সিনোফার্মের ২০ লাখ ডোজ টিকা আসছে শিগগির

চীনের সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা ভ্যাকসিনের প্রথম চালান হিসেবে ২০ লাখ ডোজ টিকা শিগগির আসছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশে প্রথম চালানের টিকা সরবরাহের জন্য চীন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের উপ-প্রধান হুয়ালং ইয়ান। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সিনোফার্ম থেকে বাণিজ্যিকভাবে কেনা ভ্যাকসিন আনতে বেইজিং যাবে বাংলাদেশের বিমান।

ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশের স্বীকৃতি পেল চীন

চীনকে ম্যালেরিয়ামুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গ্রেব্রিয়েসুস এ সাফল্যের জন্য চীনকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এটি খুব সহজ কাজ ছিল না। কয়েক দশকের কঠোর ও সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টার মাধ্যমে চীন এ সাফল্য অর্জন করেছে। - তানজিদ/রহমান - তানজিদ/রহমান

 

## ভুলের ভূবনে বাস

ভালো কোলেস্টেরল, মন্দ কোলেস্টেরল

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_6

কোলেস্টেরল একটি বহুল আলোচিত শারীরিক উপাদান। কোলেস্টেরল নিয়ে এমন সব তথ্য আমাদের চারপাশে রয়েছে যে, যে কেউ এটা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে পারেন। কোলেস্টেরল দিয়ে দেহকোষ তৈরি হয়। আর কোলেস্টেরল তৈরি হয় যকৃত থেকে কিংবা প্রাণীজাত খাবার যেমন মাংস ও পূর্ণ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য থেকে। কিছু গ্রীষ্মমণ্ডলীয় তেল যেমন পাম ও নারকেল তেলও লিভারকে অধিক পরিমাণে কোলেস্টেরল উৎপন্ন করতে সহায়তা করতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা দূর করার প্রয়াসে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বা সিডিসি এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেছে। জানিয়ে দিচ্ছি সে সব তথ্য।

ভুল ধারণা: সব কোলেস্টেরলই শরীরের জন্য খারাপ

সঠিক তথ্য: মানুষের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হলো যে কোনও ধরনের কোলেস্টেরলই শরীরের জন্য খারাপ। কিন্তু আসলে তা নয়। এমন কয়েক প্রকারের কোলেস্টেরল রয়েছে, যা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হরমোন তৈরি ও কোষ তৈরির মতো কাজ করার জন্য দেহে কোলেস্টেরল প্রয়োজন। লাইপোপ্রোটিন নামক এক ধরনের প্রোটিনে ভর করে রক্তের মাধ্যমে কোলেস্টেরল শরীরে চলাচল করে। পুরো দেহে কোলেস্টেরল বহন করে দুই ধরনের লাইপোপ্রোটিন। কম ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল-কে সাধারণত ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল হিসেবে অভিহিত করা হয়, রক্তে যার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি। রক্তে উচ্চ-মাত্রার এলডিএল কোলেস্টেরল থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।  অন্যদিকে উচ্চ ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল-কে ‘ভাল’ কোলেস্টেরল হিসেবে অভিহিত করা হয়, যা যকৃতে খারাপ কোলেস্টেরল বয়ে নিয়ে যায় এবং যকৃত সেটাকে শরীর থেকে বের করে দেয়। উচ্চ-মাত্রার এইচডিএল কোলেস্টেরল হৃদরোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।

যখন শরীরে খুব বেশি এলডিএল কোলেস্টেরল থাকে, তখন সেটা ধমনীর দেওয়ালে জমা হতে পারে। এই কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকে প্ল্যাক বা ধমনীতে চর্বি জমাট হওয়া বলে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, ধমনীতে চর্বি জমাট হওয়ার ফলে এর ভিতরটা সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ধমনী সরু হয়ে যাওয়ায় হৃদযন্ত্র ও অন্য অঙ্গগুলোতে রক্ত প্রবাহ সীমাবদ্ধ এমনকি শেষ পর্যন্ত বন্ধও হয়ে যেতে পারে। যখন হৃদযন্ত্রে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, তখন তা অ্যানজিনা বা বুকে ব্যথা  কিংবা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

ভুল ধারণা: রক্তে উচ্চ-মাত্রায় কোলেস্টেরল থাকলে, তা শারীরিকভাবে বোঝা যায়

সঠিক তথ্য: উচ্চ কোলেস্টেরলের সাধারণত কোন লক্ষণ অথবা উপসর্গ থাকে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের শিকার হন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার যে ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় কোলেস্টেরল রয়েছে তা জানতে পারবেন না। সে কারণে কমপক্ষে প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর অন্তর কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করার প্রয়োজন।   

ভুল ধারণা: কোলেস্টেরলযুক্ত খাদ্য গ্রহণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না

সঠিক তথ্য: কেউ কেউ মনে করেন, বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরলযুক্ত খাদ্য খেলেও শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে না। এটি একটি ভুল ধারণা। উচ্চ-মাত্রার কোলেস্টেরলযুক্ত খাবারে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে। কম স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া সবচেয়ে ভাল। লাল মাংস অর্থাৎ গরু, মোষ, ভেড়া ও ছাগলের মাংস এবং মাখন ও পনিরজাতীয় খাবারে উচ্চমাত্রায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 

ভুল ধারণা: শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না

সঠিক তথ্য: কোলেস্টেরলের মাত্রাকে একটি স্বাস্থ্যকর সীমার মধ্যে রাখার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। প্রতি ৪ থেকে ৬ বছর অন্তর কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিকিত্সক বললে আরও কম সময় অন্তর পরীক্ষা করানো উচিৎ। আপনার যদি উচ্চ-কোলেস্টেরলের পারিবারিক ইতিহাস থাকে, তবে আপনার উচিৎ আরও ঘন ঘন পরীক্ষা করানো। যে সব খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকে, সেগুলো খাওয়া সীমাবদ্ধ করে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ওই ধরনের খাবারের পরিবর্তে উচ্চ-ফাইবার এবং আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ উচিৎ। শারীরিকভাবে সক্রিয় থেকেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রতি সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট পরিমিত শারীরিক কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তাহলে তা ছেড়ে দিলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে। আর আপনি যদি ধূমপান না করেন, তবে এটা কখনও শুরু করবেন না। কিভাবে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং ওষুধ এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য করতে পারে কিনা, সে সম্পর্কে জানার জন্য চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।

ভুল ধারণা: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে স্ট্যাটিন বা অন্য ওষুধ সেবনের দরকার নেই

সঠিক তথ্য: স্বাস্থ্যকর খাবার নির্বাচন এবং শারীরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে অনেকে তাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হতে পারেন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে ‘স্ট্যাটিন’-জাতীয় ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস বা হৃদরোগে ভুগছেন কিংবা যাদের শরীরে খুব উচ্চ-মাত্রায় এলডিএল কোলেস্টেরল রয়েছে। তবে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে কেবলমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ি পর্ব-২৪_fororder_7

আজ আমরা কথা বলেছি ফুসফুসের ক্যান্সার নিয়ে। ফুসফুসের ক্যানসার সবচেয়ে মারাত্মক ক্যানসারগুলোর একটি। ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর প্রতি পাঁচটির মধ্যে একটি হয় ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে। মধ্য বয়স্ক ও বয়স্কদের মধ্যে এ রোগের হার সবচেয়ে বেশি। ধূমপায়ীরা এবং ধূমপান দ্বারা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত যারা, তারাই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। গোড়ার দিকে ফুসফুসের ক্যান্সারের তেমন কোনও লক্ষণ প্রকাশ পায় না। সাধারণত রোগের প্রকোপ বাড়লে লক্ষণ ও উপসর্গ প্রকাশ পায়। প্রাথমিক স্তরে এটি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ না করলে পরবর্তী সময়ে এটি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণ, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান। ডাক্তার আতিকুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক।

 

‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।