জুলাই ১: তুর্কি দেশপ্রমিক পার্টির চেয়ারম্যান দোগু পেরিন্স চীনা সংস্কৃতির অনুরাগী। গত শতাব্দীর ৭০-এর দশক থেকে তিনি বেশ কয়েকবার চীন সফর করেন। চীনে সর্বাধিক পরিচিত তুর্কিদের মধ্যে অন্যতম তিনি। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)-র শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-কে সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কার দেন। সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চীনের জনগণকে বিশ্বখ্যাত কৃতিত্ব অর্জনের পথে নেতৃত্ব দিয়েছে। আর এ সাফল্যের অন্যতম মূল কারণ সিপিসি’র জনসংশ্লিষ্টতা।
সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার পর বিগত ১০০ বছরের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে, এ পার্টির নেতৃত্বে চীনা জনগণ সমাজতান্ত্রিক যাত্রায় ক্রমাগত নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করেছে। তিনি বলেন,
“চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সবচেয়ে বড় সাফল্য গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা এবং একটি নতুন বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা। জনগণের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা হ'ল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দুর্দান্ত সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।”
তিনি বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি তার প্রতিষ্ঠার শুরুন দিকেই চীনকে মুক্ত করেছে, একটি নতুন চীন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং চীনা জনগণকে সাফল্যের পথে নেতৃত্ব দিয়েছে। নতুন শতাব্দীতে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চীনকে হতদারিদ্র্যমুক্ত হতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুর্দান্ত ও অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছে। এক শ বছরে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পৃথিবীতে একের পর এক অলৌকিক ঘটনার জন্ম দিয়েছে এবং একটি দুর্দান্ত মহাকাব্য রচনা করেছে। তিনি বলেন
“চীনা কমিউনিস্ট পার্টি না হলে নয়াচীন হতো না; আবার চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সমাজতান্ত্রিক পথ ছাড়া নতুন যুগের চীনকেও আমরা পেতাম না।”
তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব আজও শান্ত নয় এবং এখনও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদ বিশ্বের শান্তি ও বিকাশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় সিপিসি’র নেতৃত্বে চীন বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে বর্তমান লড়াইয়ে চীনের সাফল্য বিশ্ববাসীর জন্য একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এই সম্পর্কে তিনি বলেন
“কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চীন বিশ্ববাসীর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তিও চীন।”
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীন উইন-উইন সহযোগিতার একটি উন্মুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি পেশ করেছে এবং সাধারণভাবে সবার উন্নয়নের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলতে চাইছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতার সপক্ষের একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠছে চীন। তিনি বলেন
“চীন কেবল যে নিজের সমৃদ্ধির পক্ষে, তা নয়; চীন নিজের সাফল্যের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে একযোগে উন্নয়নের পথে হাঁটতে ইচ্ছুক। তাই, চীনের অস্তিত্ব, চীনে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতাসীন দলের ভূমিকা এবং চীনের সমাজতান্ত্রিক পথে অবিচল থাকা বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতাকে এগিয়ে নেওয়ার নিশ্চয়তাস্বরূপ।” (ওয়াং হাইমান/আলিম/ছাই)