চীনের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ইয়ে শু হুয়া’র রোম্যান্টিক জ্যোতির্বিদ্যা
2021-06-28 18:19:31

সম্প্রতি চীনের শাংহাই মহানগরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উত্সব আয়োজিত হয়। এ উত্সবে চীনা বিজ্ঞানীদের শ্রদ্ধা জানানোর চল রয়েছে। চলতি বছর চীনের প্রথম নারী জ্যোতির্বিদ্যা মহাপরিচালক, ৯৪ বছর বয়সের চীনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি একাডেমির শিক্ষাবিদ ইয়ে শু হুয়াকে উত্সবে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তিনি বিখ্যাত অভিনেত্রীর মতো সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেন। এ সম্পর্কে শিক্ষাবিদ ইয়ে বলেন, “আমার জীবনে প্রথমবারের মতো লালগালিচায় হেঁটেছি। কিন্তু এখানে অনেক যুবক বন্ধুর সাথে দেখা হওয়া বেশি আনন্দের ব্যাপার। যতদিন বাঁচবো, চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে আরও অবদান রাখতে চাই।”

১৯৫১ সালের ১৯ নভেম্বর ম্যাডাম ইয়ে শু হুয়া শাংহাই অবজারভেটরি কার্যালয়ে যোগ দেন। এরপর টানা ৭০ বছর ধরে তিনি মনোযোগ দিয়ে জ্যোতির্বিদ্যা নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। মহাশূন্যের একটি ছোট গ্রহ তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। চীনের জ্যোতির্বিদ্যাসংক্রান্ত জিওডাইনামিক্স বিষয়ের স্থপতিদের অন্যতম হিসেবে তিনি সর্বপ্রথম চীনের শাংহাই শহরে ৬৫ মিটার ব্যসের রেডিও-টেলিস্কোপ নির্মাণ করেন এবং চীনকে বিশ্বের বৃহত্তম এসকেএ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেন। এসকেএ মানে টেলিস্কোপ অ্যারে, সাথে সাথে এসকেএ তথ্যকেন্দ্রও নির্মিত হয়েছে।

চীনের প্রবীণ শিক্ষাবিদ ইয়ে শু হুয়া’র রোম্যান্টিক জ্যোতির্বিদ্যা_fororder_ysh

ম্যাডাম ইয়ে তার কর্মজীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে চীনের সময়ব্যবস্থা নির্ধারণ করা। অবজারভেটরি কার্যালয়ে যোগ দেওয়ার দিনের কথা ৭০ বছর পরও তার স্পষ্ট মনে আছে। অতীতে এ অবজারভেটরির নাম স্যুচিয়াহুই পর্যবেক্ষণকেন্দ্র ছিল, যা ১৮৪৪ সালে ফরাসি ধর্মপ্রচারকের উদ্যোগে নির্মিত হয়। তখন থেকেই এটি জ্যোতির্বিদ্যা ও সময় জানানোর কাজে লাগছে। ম্যাডাম ইয়ে অবজারভেটরির কার্যালয়ে আসলে তার প্রথম কাজ হয় নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করা। সেই ভিত্তিতে সময়ের মানদন্ড প্রকাশ করে স্থানীয় অবজারভেটরির কার্যালয়। পরে টানা তিন মাসের পর্যবেক্ষণ ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট মাপের ভুল ঠিক করে আন্তর্জাতিক সময় ব্যুরোর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হতো, যাতে বিশ্বের সময় হিসাবে সহযোগিতায় অংশ নেওয়া যায়।

সময় মাপা একটি বিরক্তিকর এবং সূক্ষ্ম কাজ। পর্যবেক্ষক কর্মীকে মনোযোগ দিয়ে নক্ষত্র দেখতে হবে এবং সাথে সাথে বিস্তারিত রেকর্ডও রাখতে হবে। এ কাজের জন্য মেরিডিয়ান নামের একটি যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়। সে যন্ত্রের সাইজ অনেক বড়। তাই এটা ব্যবহার করা ম্যাডাম ইয়ে’র জন্য অতি কঠিন ব্যাপার ছিল। তার শরীরের উচ্চতা যথেষ্ঠ নয়। তাই তিনি কাঠের উপর দাঁড়িয়ে পর্যবেক্ষণ কাজ করতেন। প্রতিদিনের পর্যবেক্ষণ-কাজ একদম মজার ব্যাপার নয়। একবার আন্তর্জাতিক সময় ব্যুরো ইমেইল পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করে যে, কেন শাংহাইয়ের সময়সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রতিমাসে পরিবর্তন হয়? তাদের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার আগে ম্যাডাম ইয়ে মনোযোগ দিয়ে হিসাব করেন। ভালো করে খেয়াল করার পর দেখলেন একটি ক্ষুদ্র সংশোধন মান হিসাব করা হয় না। বিষয়টা গত ২০ বছরেও  কেউ খেয়াল করেনি। ম্যাডাম ইয়ে কিন্তু সমস্যাটি ঠিকই খুঁজে পান!

আসলে সঠিকভাবে সময় হিসাব করা প্রতিটি দেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর সময়ের সঠিক হিসাব অত্যন্ত জরুরি হয়ে ওঠে। বিশেষ করে সমীক্ষা এবং ম্যাপিং বিভাগের জন্য। সেই সময় দেশের তিন ভাগের এক ভাগ বিস্তারিতভাবে মাপা হয়নি। মাপের মানদন্ড এক না হওয়ায় বিভিন্ন প্রদেশের ম্যাপ সংযুক্ত করাও সম্ভব হচ্ছিল না।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার সময় তত্কালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় মানদন্ড ব্যবহার করেছে। তবে চীন ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়েই বিশাল দেশ। এত দূরের একটি দেশের সময় মানদন্ডের সংকেত গ্রহণ করা অসুবিধাজনক। তাই চীনের নিজের সময় মানদন্ড ঠিক করা অতি জরুরি ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। চীন সরকারের সহায়তায় স্যুচিয়াহুই অবজারভেটরি কার্যালয় সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি কেনে; নতুন প্রযুক্তিকর্মীদের নিয়োগ দেয় এবং এভাবে তখন দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।

১৯৫৫ সালে একটি কর্ম-অধিবেশনে সমীক্ষা ও মানচিত্র বিভাগের কর্মীরা সোভিয়েত ইউনিয়ন আর শাংহাইয়ের সময় সঠিকতার তুলনা করে। তারা দেখে সোভিয়েত ইউনিয়নের তথ্য আরো ভালো। তখন সমীক্ষা ও মানচিত্র বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তি বলেন, ‘তোমাদের পরিমাপকৃত তথ্য ব্যবহার করলে গবেষণার কাজেও ব্যাপক ভুল থাকবে।’ এ কথা শুনে ম্যাডাম ইয়ে অনেক দুঃখ পান; লজ্জিত হন। তখন থেকে তিনি পরিমাপ কাজে আরও বেশি মনোযোগ দিতে শুরু করেন। সেই সময় থেকে তিনি সহকর্মীদের সাথে দিনরাত সময় সংগ্রহ ও পরিমাপের মানদন্ড ঠিক করতে থাকেন এবং ব্যাপক উন্নতি করেন। ফলে স্যুচিয়াহুই অবজারভেটরি কার্যালয়ের সময় সঠিকতা অনেক ভালো হয়।

১৯৫৭ সালে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির কর্মসম্মেলন শাংহাইয়ে আয়োজিত হয়। তখন স্যুচিয়াহুই অবজারভেটরি কার্যালয়ের বিপিভি সময় মানদন্ডের সঠিকতা দেশের বিমান, জাহাজ ও খনিজ সম্পদসহ বিভিন্ন পেশাগত সমীক্ষা এবং ম্যাপিংয়ের চাহিদা মেটাতে সক্ষম ছিল। তবে মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলে নতুন সময় সংগ্রহকেন্দ্র নির্মাণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তখন।

১৯৫৮ সালে ৩২ বছর বয়সের ম্যাডাম ইয়ে চীনের সময়ব্যবস্থা গঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় চীনের সময় পরিমাপকেন্দ্রের সংখ্যা আন্তর্জাতিক সময় ব্যুরো আর সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যবস্থার সাথে ব্যবধান অনেক বেশি ছিল। তাই অন্যান্য পদ্ধতিতে এ ব্যবধান কমিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করতে হবে। চীনের ৫টি অবজারভেটরির যৌথ সহযোগিতায় ১৯৬৫ সালে শাংহাই অবজারভেটরির ‘সময় পরিমাপ মানদন্ড’ চীনের রাষ্ট্রীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। যাচাই কমিটি মনে করে চীনের বহুমুখী সময় মানদন্ডের সঠিকতা আন্তর্জাতিক উন্নত মানের সাথে তুলনীয়। ১৯৬৬ সালের শুরুতে চীনের বিশ্ব সময় মানদন্ড সারাদেশে ব্যবহার করা শুরু হয়, যা ‘বেইজিং সময়’ বলে পরিচিত।

অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে ম্যাডাম ইয়ে মুগ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘শুরুর দিকে বুঝতে পারতাম না কেন আমাদের নিজস্ব সময় মানদন্ড নিয়ে গবেষণা করতে হবে। তবে দীর্ঘকাল ধরে এ কাজ করার পর বুঝতে পেরেছি, তা কতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় ব্যাপার। এমন একটি কাজ মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম, এমন কাজ করার মাধ্যমে নিজের শখ ও আগ্রহ তৈরি হয়। নিজের কাজের তাত্পর্য খুঁজে পাওয়া, কয়েক দশক ধরে একই কাজ করা—দেশের উন্নয়নে এটা আমাদের অবদান।’

২০০৭ সালে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির ভিএলবিআই ওয়েবসাইট চীনের মহাশূন্য পর্যবেক্ষণ সিস্টেমের একটি শাখায় পরিণত হয়। চীনাদের মহাশূন্য অনুসন্ধান যাত্রায় এ সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা আছে। চলতি বছরের ১৫ই মে চীনের প্রথম মঙ্গল অনুসন্ধানযান ‘থিয়ান ওয়ে ১’ সাফল্যের সঙ্গে মঙ্গলে অবতরণ করে। চীনের মহাশূন্য অনুসন্ধানকাজের সঙ্গে ভিএলবিআই নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

আসলে ভিএলবিআইয়ের সম্পূর্ণ নাম ইংরেজিতে very long baseline interferometry। সহজ ভাষায় বললে, বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত টেলিস্কোপ যুক্ত করে সুপার টেলিস্কোপ সৃষ্টি করে পর্যবেক্ষণকাজ করা।

চীনের ভিএলবিআই শাখাব্যবস্থা বেইজিং, শাংহাই, ইয়ুননান, সিনচিয়াংসহ কয়েকটি অবজারভেটরির তথ্যকেন্দ্রের ডেটা সংগ্রহ করে গঠিত হয়। এ পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক নিয়ে গঠিত টেলিস্কোপের রেজোলিউশন ৩০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যালিবারসমৃদ্ধ বড় সাইজের রেডিও টেলিস্কোপের সমান। চীন বিশ্বের সর্বপ্রথম দেশ হিসেবে ভিএলবিআই প্রযুক্তি দিয়ে মহাশূন্য পর্যবেক্ষণ ও মনিটর কাজ করেছে।

ম্যাডাম ইয়ে শু হুয়া চীনের ভিএলবিআই প্রযুক্তি উন্নয়নের অন্যতম কারিগর। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ৩০ বছরের মধ্যে তিনি চীনের ভিএলবিআই প্রকল্পের নির্মাণকাজে প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণার অর্থের জন্য আবেদন, দেশি-বিদেশি সহযোগিতা, এবং প্রকল্পের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও দক্ষ ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।

৩০ বছরের প্রচেষ্টা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সেটি ছিল আমার দায়িত্ব। শাংহাইয়ের অবজারভেটরির সময় পরিমাপকাজ ছাড়া নতুন গবেষণাকাজে ভুমিকা পালন করতে চেষ্টা করতে হয়েছে আমাদের। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যার দ্রুত উন্নয়ন হয়েছে। তাই ঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে পরিমাপকাজ করা আর চলছিল না।’

বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে ম্যাডাম ইয়ে খেয়াল করেন যে, কেবল নতুন পর্যবেক্ষণ-প্রযুক্তির মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞান খাতে নতুন উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ভিএলবিআই প্রযুক্তির সঠিকতা সবচেয়ে ভালো। তাই অ্যাস্ট্রোফিজিক্স ও জ্যোতির্বিদ্যা উভয় ক্ষেত্রেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। তবে ৩০ বছর আগে ভিএলবিআই প্রযুক্তি নতুন গবেষণার বিষয় ছিল। তখন ২৫ মিটার ক্যালিবারের টেলিস্কোপ নির্মাণ করা প্রয়োজন হয়। কিন্তু এটি নির্মাণ করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। তাই দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবে ম্যাডাম ইয়ে এ লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে কোনো আপোস করেননি। তিনি নানান জায়গায় বিজ্ঞান-গবেষণার জন্য বাজেট চেয়ে আবেদন করেন এবং অবশেষে ভিএলবিআই প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল হন।

অনেকে ম্যাডাম ইয়ে’র অধ্যবসায়ের কারণ বুঝতে পারেন না। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার সব প্রচেষ্টার লক্ষ্য ছিল দেশের উন্নয়ন। তাই সম্ভাব্য সকল পদ্ধতিতে লক্ষ্য পূরণে কাজ করেছি।’ পরে ম্যাডাম ইয়ে’র নিরলস প্রচেষ্টায় শাংহাইতে ৬৫ মিটার রেডিও টেলিস্কোপ নির্মিত হয়। ফলে চীনের ভিএলবিআইয়ের সংবেদনশীলতা আরো বাড়ে।

শুধু চীনের জ্যোতির্বিদ্যাসংক্রান্ত জিওডাইনামিক্স গবেষণাকাজ নয়, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট গবেষণায়ও অংশ নেন ম্যাডাম ইয়ে। ১৯৯৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সেমিনারে অংশ নেন। সেখানে জ্যোতির্বিদ্যাসংক্রান্ত জিওডাইনামিক্স গবেষণা প্রকল্প সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। তিনি ধৈর্য সহকারে সেসব প্রশ্নের উত্তর দেন। পরে তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছ থেকে গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ পান। চীনের প্রথম বিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা সহযোগিতা পরিকল্পনায় নেতৃত্বের ভুমিকা পালন করেন তিনি।

ম্যাডাম ইয়ে’র অফিসে একটি শ্লোগান দেখা যায়। আর সেটি হলো: প্রত্যেকে ভালভাবে নিজের কাজ করলেই সেটি হবে অতি মূল্যবান অবদান। এ শ্লোগান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন লোকের অবস্থা ভিন্ন। তবে প্রত্যেকের কাজ নিয়েই গঠিত দেশের কাজ। তাই প্রত্যেকে ভালভাবে কাজ করলে সমাজের দ্রুত উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এতে আমাদের দেশ আরো শক্তিশালী হবে।’

নিয়মিত বিজ্ঞান গবেষণাকাজ ছাড়া তিনি যুবকদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এ সম্পর্কে ম্যাডাম ইয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। যুবকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, কারণ তারা হবে দেশের ভবিষ্যত।’

২০২১ সালের গ্রীষ্মকালে ম্যাডাম ইয়ে’র প্রচেষ্টায় শাংহাইয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞান যাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হবে, যা স্থানীয় বাচ্চাদের জন্য হবে জ্যোতির্বিদ্যার সঙ্গে পরিচয় ও প্রশিক্ষণের মঞ্চ।

ম্যাডাম ইয়ে’র দৃষ্টিতে জ্যোতির্বিদ্যা অতি রোমান্টিক ব্যাপার। মহাকাশের সামনে মানুষ যেন ধানের শীষের মতো ছোট্ট। তাই মানুষের উচিত স্বল্পকালের এই জীবনে তাত্পর্যপূর্ণ কাজ করা।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)