চীনের পাশাপাশি বৈশ্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সিপিসি
2021-06-28 18:03:20

জুন ২৮: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি প্রতিষ্ঠার ১০০তম বার্ষিকী উদযাপান উপলক্ষে সিপিসি প্রতিষ্ঠার ১০০তম বার্ষিকী উদযাপান বিষয়ক প্রেস কেন্দ্র গতকাল(রোববার) প্রথম সংবাদ সংম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে সিপিসির ইতিহাস ও দলিল গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান ছু ছিং সান বলেন, সিপিসি শুধু চীনা জাতির ভবিষ্যত ও ভাগ্য পরিবর্তন করেছে তা নয়, বরং বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রবণতা ও পরিস্থিতিকেও পরিবর্তন করেছে। তা মানব জাতির সমস্যাসমূহ সমাধানের জন্য চীনা মেধা ও পদ্ধতি প্রদান করেছে। 

এ দিন তিনি বলেন, ১৯২১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত, সিপিসি একশ’ বছরের উজ্জল পথ-পরিক্রমা অতিক্রম করেছে। গত একশ’ বছরে চীনা জাতির প্রতি সিপিসির অবদান সম্পর্কে ছু ছিং সান “চারটি গভীর পরিবর্তন” ব্যাখ্যা করেছেন। 

তিনি বলেন, সিপিসি আধুনিক ইতিহাসে চীনের দুর্বল ও দারিদ্র ভাগ্যকে সবল করেছে।  চীনা জনগণকে নিপীড়ন থেকে রক্ষা, এবং শোষণ ও দাসত্ব থেকে মুক্ত করেছে। চীনা জাতির ভবিষ্যত ও ভাগ্যকে পরিবর্তন করেছে। পাশাপাশি, সিপিসি বৈশ্বিক উন্নয়নের প্রবণতা ও পরিস্থিতিকেও পরিবর্তন করেছে। তা হচ্ছে সিপিসির বিশ্বের জন্য মহান অবদান। 

তিনি বলেন,  “সিপিসি বরাবরই স্বাধীনতা বজায় রেখে নিজ হাতে তার উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন করে আসছে। উন্নয়নশীল দেশসমূহের স্বার্থকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে চলছে। সব দেশকে সমান মনে করে আসছে সিপিসি, সেটি বড়, ছোট, দুর্বল, সবল যাই হোক না কেনো। সবাইকে সমান মর্যাদা দিয়ে আসছে।পাশাপাশি, সিপিসি উপনিবেশবাদ, আধিপত্যবাদ, ও ক্ষমতার রাজনীতির দৃঢ় বিরোধিতা করে। আমি মনে করি, সিপিসি বৈশ্বিক সমাজতন্ত্রের প্রতি মহান অবদান রেখে চলছে। তাই চীনা বৈশিষ্টের সমাজতন্ত্র বৈশ্বিক সমাজতন্ত্রের মূলধারায় পরিণত হয়েছে। তা মানব জাতির সমস্যা সমাধানের জন্য চীনা মেধা ও চীনা পদ্ধতি প্রদান করেছে বা করছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত, সিপিসির সদস্য সংখ্যা ছিল নয় কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার। 

সিপিসির ইতিহাস ও দলিল গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় গবেষনা বিভাগের পরিচলক চাং সু পিং বলেন, সিপিসি মাত্র ৫০ জনের মতো সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। বর্তমানে এটি সারা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মার্কসবাদী ক্ষমতাসীন দলে পরিণত হয়েছে। 

তিনি বলেন, “বিপ্লবী যুদ্ধের যুগে, অনেক সিপিসি সদস্যরা সাহসের সাথে তাঁদের জীবন উত্সর্গ করেছেন। বৈশ্বিক ইতিহাসে কোন দলই তাদের দেশ ও জাতির জন্য এতো বেশি ত্যাগ শিকার করেনি। শান্তিপূর্ণ গঠনমূলক যুগে, সিপিসি সদস্যরা সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠনের জন্য, কঠোর পরিশ্রম করে আসছেন, সবাই মন দিয়ে জনগণের সেবা করে চলছেন। ২০২০ সালের শুরু থেকে, করোনা মহামারী প্রতিরোধের কঠোর সংগ্রামে, সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে ও আহ্বানে, সিপিসি সদস্যারা সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করে আসছেন।নিজেদের বাস্তব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে একটার পর একটা সফলতার মডেল সৃষ্টি করে চলছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যা সমাধানের চেতনা তাঁরা প্রচার করে আসছেন। ”

জুন ২৮ , ২০২১
চায়না মিডিয়া গ্রুপ(সিএমজি) থেকে আকাশ