জুন ২৫: গতকাল (বৃহস্পতিবার) চীনের সরকার ‘মানবাধিকারকে সম্মান করা ও রক্ষায় সিপিসির মহান অর্জন’ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখতে পারে বিগত ১০০ বছরে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সিপিসির অধ্যবসায়, প্রতিজ্ঞা ও অবিরত প্রচেষ্টা। তা ছাড়া, এতে বোঝা যায় যে, চীনের ক্ষমতাসীন দল হচ্ছে দেশের মানবাধিকার উন্নয়নের মূল কারণ।
শ্বেতপত্রে বলা হয়, সিপিসির সদস্যদের মিশন হচ্ছে দেশের জনগণের সুখী জীবন ও চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন। সিপিসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবসময় জনগণকে শীর্ষ স্থানে রেখে আসছে; জনগণের সুখী জীবনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে; মানুষের সার্বিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট আছে; জনগণের অর্জনবোধ, সুখবোধ ও নিরাপত্তবোধ জোরদার করে আসছে। সিপিসি চীনা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানবাধিকার উন্নয়নের পথ খুঁজে পেয়েছে।
‘মানবাধিকারকে সম্মান ও রক্ষা করা’ শুধু সিপিসির সংবিধানে লেখা আছে, তা নয়; বরং দেশের সংবিধানেও তা অন্তর্ভুক্ত আছে। এটি চীনে দেশ-প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। চীনের বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নের কৌশল ও পরিকল্পনায়, দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হিসেবে, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নকে রাখা হয়েছে।
চীনে ‘মানবাধিকার’ একটি বিমূর্ত রাজনৈতিক শব্দ নয়। প্রতিজন চীনা তাদের জীবনে মানবাধিকারের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারেন। দারিদ্র্যবিমোচনকে এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা যায়। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ সালের শেষ দিক পর্যন্ত, সিপিসির নেতৃত্বে, চীনের প্রায় ৯ কোটি ৯০ লাখ হতদরিদ্র গ্রামবাসী দারিদ্র্যমুক্ত হয়। একে দারিদ্র্যবিমোচন খাতে একটি বিশ্ব রেকর্ড হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিপিসি তথা চীন বিশ্বাস করে যে, দারিদ্র্যমুক্তি হচ্ছে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার।
১০০ বছর ধরে, নিজের বাস্তব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে, সিপিসি নিজেকে একটি শান্তি ও অগ্রগতিবান্ধব রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রমাণ করেছে। এ পার্টি বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নেও রাখছে ইতিবাচক ভূমিকা। সিপিসি চীনের পরিস্থিতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মানবাধিকার উন্নয়নের পথ সৃষ্টিতে সফল হয়েছে। বস্তুত, মানবাধিকারকে সম্মান করতে বা রক্ষা করতে চাইলে, নিজ দেশের আসল পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিতে হবে, নিজের পথে চলতে হবে। (আকাশ/আলিম/রুবি)