দেহঘড়ি পর্ব-২৩
2021-06-25 18:45:04

‘দেহঘড়ি’র এ পর্বে রয়েছে স্বাস্থ্যখাতের একটি প্রতিবেদন, স্বাস্থ্য বুলেটিন, প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনা ‘ভালো থাকার আছে উপায়’ এবং সাক্ষাৎকারভিত্তিক আয়োজন ‘আপনার ডাক্তার’ ।

 

## প্রতিবেদন

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটোই বাড়ছে। প্রতি সপ্তাহে আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য ভারতের ডেলটা ভাইরাসকে দায়ী করেন স্বাস্থ্যবিদরা। সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সবাইকে টিকার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu1

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২২ জুন থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে আশপাশের ৭ জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়। চলছে না গণ-পরিবহন, কঠোর অবস্থানে আছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে পরিস্থতির উন্নতি কোনও নেই; বরং বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ, মৃত্যু ও শনাক্তের হার।

গেল এপ্রিল মাসে দেশে প্রায়দিনই ৯০ জনের বেশি মানুষ মারা যায়। একদিনে শতাধিক মৃত্যুও দেখেছে দেশবাসী। মে মাসে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে আসলেও জুনের মাঝামাঝি এসে আবারও আগের অবস্থায় চলে যায় করোনা সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই।

হঠাৎ করে সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী ভারতের ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট। করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেয়া না গেলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভারতের মতো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা জানান তিনি।

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shangwu10

ছবি: অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ, ভাইরাস বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরামর্শক অধ্যাপক মুশতাক হোসেন জানান, বিভিন্ন জেলায় আরোপ করা নিয়ন্ত্রণ বাস্তবায়ন করা গেলে সংক্রমণ কমে আসবে। প্রতিদিন যারা নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের আইসোলেশনে রাখার বিষয়টিকে সবোর্চ্চ গুরত্ব দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

 

 

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu11

ছবি: অধ্যাপক মুশতাক হোসেন, পরামর্শক, আইইডিসিআর

 

সবাইকে টিকার আওতায় আনার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করারও তাগিদ দেন বিশেষজ্ঞরা। - হাবিবুর রহমান অভি/রহমান

 

##হেল্‌থ বুলেটিন

দেশের সবাইকে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া হবে: শেখ হাসিনা

দেশের সব মানুষকে বিনামূল্যে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার আন্তর্জাতিক নিরপত্তা সংক্রান্ত নবম মস্কো সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ সব কথা বলেন তিনি। এসময় বাংলাদেশের টিকা উৎপাদন সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব সম্পদ্রায়কে সহায়তা করার আশাবাদও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

করোনা টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৯৪ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

করোনা ভাইরাসের টিকা কিনতে বাংলাদেশের জন্য ৯৪ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক - এডিবি। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ হবে ৭ হাজার ৯৪৫ কোটি টাকা। করোনা টিকা কেনায় এটিই বাংলাদেশের পাওয়া সবচেয়ে বড় ঋণ সহায়তা। টিকা কিনতে এডিবির কাছে ৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে গত নভেম্বরে চিঠি দেয় বাংলাদেশ। তবে প্রত্যাশার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ঋণ পাওয়া গেছে।

ঢাকায় ৭১ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি

দেহঘড়ি পর্ব-২৩

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ৭১ শতাংশ এবং বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ - আইসিডিডিআর,বি। গত মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,  ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি এ পাঁচ মাসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বস্তি ও এ সংলগ্ন এলাকায় ৩ হাজার ২২০ জনের মধ্যে একটি গবেষণা চালানো হয়।

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়েছে

জুন ২১, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৯ লাখেরও বেশি মানুষের। অপরদিকে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটিরও বেশি মানুষ। আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স এই তথ্য জানিয়েছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বের সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত দেশগুলোর তালিকায় আরও একধাপ এগিয়ে বর্তমানে ৩১ নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দুই ও তিনে রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও ব্রাজিল।

চীনে ১০০ কোটি টিকা দেয়ার রেকর্ড

করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে চীন। প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ১০০ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করেছে দেশটি। গত দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এ তথ্য জানায়। চীনে দেওয়া টিকা সারা বিশ্বে প্রয়োগকৃত টিকার ৪০ শতাংশ। বিশ্বে এখন পর্যন্ত ২৫০ কোটি টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এ বছরের মার্চে বিনা মূল্যে টিকা প্রয়োগ শুরু করে চীন। চীনে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। চলতি বছর টিকা দেওয়ার উপযুক্ত ৭০ শতাংশ চীনা নাগরিককে টিকা দিতে চাইছে দেশটি।

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu3বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদেরও টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়েছেন এমন দুজন চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার। এদের একজন কেটি চেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। চেন বলেন, চীনের  সিনোফার্ম টিকা নেওয়ার দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরেছেন তিনি।

আরেকজন চীনা নাগরিক স্কাই। তিনি জানান, টিকা নেওয়ার পর কিছুটা ক্লান্তি অনুভব হয়েছে তার। একদিন বিশ্রাম নিয়ে কাজে ফিরেছেন তিনি। যারা সামনে টিকা নেবেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন স্কাই। - তানজিদ/রহমান

 

 

 

 

 

 

 

 

 

##

বাংলাদেশে টিকা নিয়ে ভালো আছেন চীনারা

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu4

 

বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদেরও টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নিয়েছেন এমন দুজন চীনা নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছে চীন আন্তর্জাতিক বেতার। এদের একজন ২৯ বছর বয়সী কেটি চেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। চেন বলেন, চীনের সিনোফার্ম টিকা নেওয়ার দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরেছেন তিনি।

কেটি চেন বলছিলেন, 'গেল ২৯ মে বাংলাদেশের একটি হসপিটালে আমি টিকা নিয়েছি। টিকা নেয়ার পর কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া অনুভব করিনি। দ্রুতই কাজে ফিরেছি। তবে টিকা নেয়ার পরও বাইরে বের হলেই আমি এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।‘

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu5

ছবি: কেটি চেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিক

 

আরেকজন চীনা নাগরিক স্কাই। তিনি জানান, টিকা নেওয়ার পর কিছুটা ক্লান্তি অনুভব হয়েছে তার। একদিন বিশ্রাম নিয়ে কাজে ফিরেছেন তিনি। যারা সামনে টিকা নেবেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন স্কাই।

তিনি বলেন, ‘যারা টিকা নেবেন তাদের জন্য তিনটি পরামর্শ, টিকা নেয়ার আগে শরীরের বিশ্রাম প্রয়োজন। তাই কয়েকদিন আগে থেকেই পর্যাপ্ত ঘুমাবেন । টিকা নেয়ার পর বেশি করে পানি পান করুন। এসময় ভারী কোনো কাজ না করে সম্ভব হলে ২ দিন বিশ্রাম নিন।'

অভি/রহমান

 

 

## ভালো থাকার আছে উপায়

দূর করুন ইউরিক অ্যাসিডের জ্বালা

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu6

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এক জটিল সমস্যা। এটা বেড়ে গেলে স্ফটিক আকারে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে জমতে থাকে। এর ফলে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে পাথর জমার মতো সমস্যা হতে পারে; এমনকি কিডনি অকেজোও হয়ে যেতে পারে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হল পূর্ণবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে ৩.৪–৮ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এবং পূর্ণবয়স্ক মহিলার ক্ষেত্রে: ২.৪–৬.০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার।

পিউরিনের বিপাকীয় বিভাজন থেকে ইউরিক অ্যাসিড সৃষ্টি হয়। মূলত পিউরিনসমৃদ্ধ খাদ্য থেকে দেহের যকৃতে ইউরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয়ে রক্তে মিশে যায় এবং রক্তের মাধ্যমে বাহিত হয়ে কিডনিতে পৌছায়। কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে এটি দেহ থেকে বের করে দেয়। যখন কিডনি অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দিতে পারে না তখন জটিলতা সৃষ্টি হয়। রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তাকে হাইপার ইউরেসিমিয়া বলে।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হলো পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং যেসব খাবার অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে সেগুলো খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। এর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাও দরকারী। আসুন আগে জেনে নেই বর্জনীয় খাদ্যগুলো:

মাংস: যেসব খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় রেড মিট বা লাল মাংস তাদের অন্যতম। লাল মাংসের মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস, খাসির মাংস, ভেড়ার মাংস, মহিষের মাংস ও হরিণের মাংসের। এছাড়া সাদা মাংস যেমন মুরগীর মাংসেও ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকে তবে লাল মাংসের তুলনায় কম। সুতরাং যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেশি তারা লাল মাংস একদম পরিহার করুন এবং সাদা মাংস পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।

অর্গান মিট: লাল মাংসের মতো অর্গান মিট যেমন মগজ, যকৃত, কলিজা, জিহবা, কিডনি ও ভুঁড়িতে ইউরিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। দেহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন এগুলো।

পাখির মাংস: মুরগি, হাঁস, কবুতর, কোয়েল পাখি বা অন্যান্য পাখির মাংসের মতো সাদা মাংসে উচ্চ মাত্রায় পিউরিন থাকে। ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এগুলোও বাদ দিতে হবে খাদ্যতালিকা থেকে।

পিচ্ছিল সবজি: ঢ্যাঁড়স, কচুর লতি, কচুর মুখী, পুঁইশাকের মতো সবজিও রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। তাই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা ঠিক রাখতে এগুলো বাদ দিতে হবে। এছাড়া ফুলকপি, মাশরুম, পালংশাক, শিম, মটরশুঁটি, বেগুনও খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অথবা অল্প পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে।    

সামুদ্রিক মাছ: যেকোনো ধরনের মাছে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। তবে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি,  কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক, মাছের ডিম ইত্যাদিতে এ পরিমাণ আরও বেশি। সেকারণে রক্তে ইউরিক  অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তি থাকলে এসব খাবার একেবারেই বাদ দেওয়া উচিৎ।

ইস্ট দিয়ে তৈরি খাবার: যেসব খাবার তৈরিতে ইস্ট ব্যবহার করা হয় যেমন পাউরুটি, নান রুটি, বিয়ার ইত্যাদি রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ানোর জন্য দায়ী। তাই ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবশ্যই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এগুলো। সব ধরনের ডাল ও ডালের তৈরি খাবার যেমন পিঁয়াজু, বেগুনি, ফুচকা, চটপটি, খিচুরি এসবও পরিহার করতে হবে।

মিষ্টি ফল: ফ্রুক্টোজ বেশি এমন ফল রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ার জন্য দায়ী। সেকারণে খেজুর, আতা, বেদানা, কাঁঠাল, আঙুর, নাশপাতি, পীচ, আম, তাল, চেরী ও কিউই ফল খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

বেভারেজ ও মিষ্টি খাবার: পেপসি ও কোকের মতো কোমল পানীয় এবং অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন কেক, মিষ্টি, ফলের রস, মধু, গুড় এবং চিনি ও গুড়ের তৈরি খাবারের কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে। ফলে বাদ দিন এসব খাবার।

বাদাম, বীচি জাতীয় খাবার: ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাদ দিতে হবে শিমের বীচি, কাঁঠালের বীচি এবং বিভিন্ন ধরনের বাদামও। - রহমান

 

## আপনার ডাক্তার

দেহঘড়ি পর্ব-২৩_fororder_shengwu7

আজ আমরা কথা বলেছি ডিম্বাশয়ের চকলেট সিস্ট নিয়ে। চকলেট সিস্ট একরনের এন্ডোমেট্রিয়াল সিস্ট। এটা দেখতে চকলেটের মতো হয় বলে এর নামকরণ হয়েছে চকলেট সিস্ট। মাসিকের সময় জরায়ুর বাইরের এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যুগুলো ছিঁড়ে যায়। এ সময় অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয়। এই রক্ত ডিম্বাশয়ের ভেতরে জমে সিস্ট বা পুঁজকোষ তৈরি হয়। ৩০-৪৫ বছর বয়সী নারীদের এই সিস্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি। তবে কম বয়সী মেয়েদেরও এটা হতে পারে। এ ছাড়া যাঁদের সন্তান হয়নি বা বন্ধ্যাত্ব রয়েছে কিংবা যাদের প্রথম সন্তান নিতে দেরি হয়েছে, তাঁদেরও এ সমস্যা হতে পারে। বংশগতভাবেও সমস্যাটি হতে পারে। চকলেট সিস্ট হলে ধীরে ধীরে ডিম্বাশয়ের টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে অনেকের ক্ষেত্রেই গর্ভধারণে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়। এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেহানা আক্তার। ডাক্তার রেহানা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগের কনসাল্ট্যান্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক।

 

 ‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।