হাবিবুর রহমান অভি, ঢাকা: কম পুঁজি, উচ্চ ফলন আর অধিক লাভ। এভাবেই দেশের উত্তরপুবের জেলাগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লটকন চাষ। এতে বড় পরিবর্তন এসেছে এসব অঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, দেশব্যাপী অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ এই ফলের চাষ ছড়িয়ে দিতে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
এক সময়ের বুনো ফল লটকন। এখন কয়েকটি জেলার কৃষকের প্রধান ফসল। আয়ের অবলম্বন।
পুষ্টিগুনে ভরপুর টক-মিষ্টি স্বাদের এ ফলের কদর বেড়েছে দেশজুড়ে। তাই অল্প জমিতে কম পুঁজি নিয়েই অনেকে শুরু করেছেন লটকন চাষ। কথা হয় নরসিংদীর লটকন চাষী মোহাম্মদ রুবেল মিয়ার সঙ্গে। চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে তিনি জানান, বুনো ফল হওয়ায় এর পরিচর্যায় তেমন কোন খরচ নেই। চলতি বছরে মৌসুম শুরুর দিকেই সাড়ে ৭ লাখ টাকা উপার্জন করেছেন তিনি।
ছবি: মোহাম্মদ রুবেল মিয়া, লটকন চাষী।
বলা যায়, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক চিত্র পাল্টে দিয়েছে এক সময়ের অপ্রচলিত ফল লটকন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজার ধরতে পারায় এ ফলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ায় দিনে দিনে সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ে উঠছে এখানকার লটকন চাষিদের। ঘুঁচে যাচ্ছে বেকারত্বের গ্লানিও।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নরসিংদিতে এবার ১৬১০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। অধিদফতরের উপ পরিচালক শোভন কুমার ধর চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, ভালো মানের লটকন ফলনে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।