চীনের উইগুর স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াংয়ের মুসলিম নারীরা কিভাবে নিজেদের জীবনকে বদলে ফেলছেন সে বিষয়ে উরুমছিতে সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে কয়েকজন নারী তুলে ধরেন তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এমনি একজন উইগুর মুসলিম নারী ফাতিগুল হুসান। ফাতিগুল হুসান উইগুর নারীদের উপর নির্যাতনের পশ্চিমা গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে বললেন তিনি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বর্তমানে স্বনির্ভর ও স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তিনি সেলাই শিখেছেন। চায়নিজ ভাষা শিখেছেন। সেখান থেকে গ্র্যাজুয়েট হয়ে তিনি একটি সুপার মার্কেট দেন। গ্রামের অন্য নারীদেরও তিনি সেলাই ও অন্য বৃত্তিমূলক কাজের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
ফাতিগুল বলেন, ‘বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমাদের বিনামূল্যে খাবার এবং পরিচ্ছন্ন ডরমিটরিতে থাকার ব্যবস্থা আছে। আমরা সেখানে সেলাই শিখেছি।’
ফাতিগুল সিনচিয়াংয়ের কাশগড়ের বাসিন্দা। তিনি মুসলিম নারীদের উপর নির্যাতনের গুজবকে অস্বীকার করেন। তিনি জানান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নারীদের উপর কোনো নির্যাতন হয় না। বরং তারা বিভিন্ন হাতের কাজ শিখে স্বনির্ভর হতে পারছেন। ২০১৯ সালের শেষে তিনি এই কেন্দ্র থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে বের হয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান খোলেন। একটি ইউটিলিটি শপ (সুপার মার্কেট) এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
ফাতিগুল আরও বলেন, ‘আমি একটি সুপার মার্কেট খুলেছি। গ্রামের অন্য নারীদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। বর্তমানে আমি মাসে তিন হাজার ইউয়ানের বেশি রোজগার করি।’
সংবাদ সম্মেলনে উইগুর নারীদের বিষয়ে পশ্চিমের মিথ্যা গুজব রটনার নিন্দা জানান সিনচিয়াং আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র এলিজান এনায়েত। তিনি বরং উইগুর নারীদের স্বনির্ভর হওয়াকে স্বাগত জানান।
শান্তা মারিয়া