কানাডার আদিবাসীদের ওপর নির্যাতনের সার্বিক তদন্ত হওয়া দরকার: সিআরআই সম্পাদকীয়
2021-06-23 20:35:39

জুন ২৩: জেনিভায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে নিযুক্ত চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি গতকাল (মঙ্গলবার) জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭তম অধিবেশনে কানাডাকে সবধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি চীন, রাশিয়া, বেলারুশ, উত্তর কোরিয়া, ইরান, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা, শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে এক যৌথ বক্তব্যে এ তাগিদ দেন।

 

যৌথ বক্তব্যে তিনি কানাডার আদিবাসীদের ওপর নির্যাতনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, অতীতে কানাডার আদিবাসীদের ভূমি দখল করা হয়েছে, তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস করা হয়েছে। অথচ এখন কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ কতিপয় দেশকে সাথে নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্ববাসী এটা ভালো করেই জানে যে, তারা নিজেদেরকে ‘মানবাধিকারের রক্ষক’ হিসেবে দাবী করলেও, নিজেরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে ও করছে। এসব দেশ চীনের বিরুদ্ধে এমন সব মিথ্যা অভিযোগ আনছে, যেসব অভিযোগ আসলে তাদের ক্ষেত্রে সত্য। 


কানাডার একটি সত্য সম্প্রতি বিশ্বকে চরমভাবে নাড়া দিয়েছে। দেশটির একটি বোর্ডিং স্কুলের ক্যাম্পাস থেকে ২১৫টি আদিবাসী শিশুর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সব শিশুর মৃত্যুর কোনো রেকর্ড নেই। এরা কীভাবে মারা গেল, কে তাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করে গণকবর দিল, তা একটা রহস্য বটে। 


এই মর্মান্তিক তথ্যের প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কানাডার বর্তমান সরকারের উচিত এসব শিশুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সার্বিকভাবে তদন্ত করে দেখা। 
বস্তুত, এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সমাজের ন্যায়সঙ্গত দাবী। কানাডার আদিবাসীদের ওপর যে নির্যাতন হয়েছে, তা সার্বিকভাবেই তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্তের পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে নিতে হবে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সেক্ষেত্রে হত্যাকাণ্ডের শিকার ন্যায়বিচার পাবে। (আকাশ/আলিম/রুবি)