জুন ২২: ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্তের পর থেকেই জাপান সরকার এ দাবি করে আসছে যে, বর্জ্যপানি শোধন করেই সাগরে ফেলা হবে এবং এটি নিরাপদ। কিন্তু গত ২০ জুন জাপানের তথমাধ্যমে এসংক্রান্ত আসল পরিস্থিতি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়েছে।
এনএইচকে জানিয়েছে, টোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কম্পানি হোল্ডিংস (টিইপিসিও) রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে এমন প্রযুক্তির সরবরাহ চেয়েছে, যে-প্রযুক্তি ব্যবহার করে পারমাণবিক বর্জ্যপানি পরিশোধন করা সম্ভব। স্বাভাবিকভাবেই এ খবর ছিল অনেকের জন্যই আত্কে ওঠার মতো। কোনো কোনো নেটিজেন প্রশ্ন করেছেন: ‘জাপানের সরকারের হাতে পারমাণবিক বর্জ্যপানি পরিশোধনের যথাযথ প্রযুক্তি যদি না-ই থাকে, তাহলে তারা ফুকুশিমার বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার সাহস কোথায় পায়?!’
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাপান পারমাণবিক বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই, প্রতিবেশী দেশসমূহ তথা গোটা বিশ্বের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। বিভিন্ন দেশ থেকে এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানানোও শুরু হয়। কিন্তু জাপানের সরকার মিথ্যাচার চালিয়ে বিশ্ববাসীকে ধোকা দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। এমনকি, কতিপয় জাপানি রাজনীতিবিদ এমনও কথাও বলেন যে, এ পানি নাকি খেলেও সমস্যা হবে না! প্রশ্ন হচ্ছে: তাহলে তারা সে পানি পান না-করে সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল কেন?
জাপান আগ্রাসনের জন্য কুখ্যাত। অতীতে জাপানি আগ্রাসনের ফলে অনেক দেশ মানবিক দুর্যোগের শিকার হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত জাপানি রাজনীতিবিদরা আন্তরিকভাবে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেননি। আজ জাপান একতরফাভাবে পারমাণবিক বর্জ্যপানি সাগরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন বিশ্বের জন্য, বিশ্ববাসীর জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। আন্তর্জাতিক সমাজ জাপানি সরকারকে যা ইচ্ছা তা করার সুযোগ দিতে পারে না। (আকাশ/আলিম/রুবি)