জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ- চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ: ইতালীয় মার্কসবাদী নেতা
2021-06-21 14:55:47

 

জুন ২১: গত ১৯ জুন ইতালির একবিংশ শতাব্দীর মার্কস রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমিতির উদ্যোগে ‘শততম বার্ষিকী, নতুন সময়পর্ব’ শীর্ষক অনলাইন ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) প্রতিষ্ঠার ১০০ বছরে সিপিসি’র নেতৃত্বে চীন যে বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন অংশগ্রহণকারী ইতালির মার্কসবাদী রাজনৈতিক দলের নেতারা। পাশাপাশি, মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলার ধারণার মূল্যায়ন করেন তাঁরা। আজকের সংবাদ পর্যালোচনায় আমি এ বিষয়ে আলোচনা করবো।

 

ইতালির কমিউনিস্ট পার্টি, দ্য কমিউনিস্ট রিফাউন্ডেশন পার্টি, দ্য কমিউনিস্ট পার্টিসহ মার্ক্সবাদী দলের প্রধান নেতৃবৃন্দ, ইতালিতে চীনা রাষ্ট্রদূত লি চুন হুয়া এবং চীনা একাডেমির মার্কসবাদ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট কুংইুন অনলাইনে এ ফোরামে যোগ দেন। ফোরামে বিগত ১০০ বছরে সিপিসি’র নেতৃত্বে চীন জনগণের উজ্জ্বল সাফল্য অর্জন এবং সর্বদা নিজস্বতা বজায় রাখার বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা হয়েছে। দ্য কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রিজো মনে করেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে জনগণের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা। এ সম্পর্ক তিনি বলেন,

 

‘সিপিসি একটি বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং দেশ পরিচালনা জোরদার করেছে। এর পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হল- জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা। পার্টি যদি জনগণের সঙ্গে সংযুক্ত না হয়, তাহলে এটি সফলতা অর্জন করতে পারবে না’। অনুসন্ধান ও বাস্তবসম্মত প্রক্রিয়ায় চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সিপিসি। এর বিকাশ হচ্ছে ও তা পরিপক্ব হচ্ছে। ইতালির কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলবোরেসি বলেন, চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র হচ্ছে সিপিসি’র সদস্যদের সমাজতন্ত্রের চেতনা বজায় রাখার চমত্কার উদাহরণ। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

 

 

‘আমরা মনে করি, চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুরোপুরি মার্কসবাদী চিন্তার কাঠামোর মধ্যে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা অর্জন করেছে। আমরা যা দেখেছি, তা একেবারে নতুন অনুশীলন, সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের ধারাবাহিক কার্যকর পদক্ষেপ এটি। যা সিপিসি’র বৈশ্বিক সমাজতন্ত্রের ব্রতে বিশাল সমর্থন যুগিয়েছে।’

 

বর্তমান বিশ্বে অভূতপূর্ব বিশাল পরিবর্তন হচ্ছে। এর অস্থিতিশীলতা উল্লেখযোগ্য। মানবজাতি অনেক যৌথ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। আলবোরেসি মনে করেন, সিপিসি’র নেতৃত্বে চীন সবসময় বিশ্ব শান্তি ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায়  গুরুত্বপূর্ণ শক্তি বলে মনে করা হয়। চীন মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলার ধারণা উত্থাপন করেছে- তার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,

 

‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবজাতির অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি গড়ে তোলা একটি সঠিক কাজ। চীন বাস্তবসম্মতভাবে এ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন ‘এক অঞ্চল, এক পথ’সহ গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এগিয়ে নিচ্ছে চীন। বাস্তবতা থেকে বোঝা যায় যে, মানবজাতি মূলত অভিন্ন স্বার্থের কমিউনিটি। সবার স্বার্থই সংযুক্ত হয়। কোভিড-১৯ মহামারী একটি উদাহরণ। বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাতে উন্মুক্ত ও সুসংহত চেতনা প্রদর্শন করেছে চীন। আমাদের শান্তি, উন্নয়ন এবং পরিবেশসহ বিভিন্ন বিষয়ে ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জ ও কঠিন বিষয় সামনে আসছে। তাই পুরানো ধারণা ও নীতিমালা পরিবর্তন করা দরকার’।

(ওয়াং হাইমান/তৌহিদ/ছাই)