জুন ২১: আজ (সোমবার) বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, চীনের একাধিক কর্মকর্তা ‘হাইনান অবাধ বাণিজ্যিক বন্দরবিষয়ক আইন’ ব্যাখা করেন। এর মাধ্যমে বিশ্ব একটি স্পষ্ট সংকেত পেয়েছে। সংকেতটি হচ্ছে: চীন উন্মুক্তকরণ আরও সম্প্রসারণ করবে এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়নকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
চীনের শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে হাইনানে অবাধ বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল চীনের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের আরেকটি উদ্যোগ। এখনও মহামারী শেষ হয়নি এবং বিশ্বায়নের পথে অনেক বাঁধাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও, চীন পরিকল্পনা অনুসারে স্থিতিশীলভাবে সংশ্লিস্ট কাজ অব্যাহতভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২০২০ সালের পয়লা জুন ‘হাইনান অবাধ বাণিজ্যিক বন্দর নির্মাণ পরিকল্পনা’ প্রকাশিত হয়। তখন থেকেই হাইনান অবাধ বাণিজ্যিক বন্দরের নির্মাণকাজ সার্বিকভাবে শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত এ কাজে অনেক সাফল্য অর্জিত হয়। সংশ্লিষ্ট উপাত্ত অনুসারে, ২০২০ সালে হাইনান প্রদেশের মোট পণ্য আমদানি ও রফতানি ছিল ৯৩৫১ কোটি ইউয়ান।
‘আইনের শাসন হচ্ছে সবচেয়ে সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিবেশ’। হাইনান অবাধ বাণিজ্যিক বন্দর আইন চালু হওয়ার পর, এখানকার বাণিজ্যিক পরিবেশ উন্নত হবে, বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের আস্থা ও বিশ্বাস জোরদার হবে। তারা এখন দীর্ঘমেয়াদে হাইনান থাকতে চায়।
আইনের শাসনের ভিত্তিতে হাইনান অবাধ বাণিজ্যিক বন্দরের নির্মাণকাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে বিশ্ববাসী আবার দেখছে যে, চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা কখনও বন্ধ হয়নি ও ভবিষ্যতেও হবে না। চীন ভবিষ্যতে বিদেশিদের জন্য আরও উন্মুক্ত হবে। আর চীনের উন্মুক্তকরণ থেকে বিশ্ব হবে লাভবান। (আকাশ/আলিম/রুবি)