অন্ধ শিক্ষার্থীদের স্নাতক-মৌসুম
2021-06-21 18:18:46

জুলাই মাস আসছে। প্রতিবছর এ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্নাতক-মৌসুম। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আজকের আসরে আমরা চীনের চিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানচিং শহরের বিশেষ প্রশিক্ষণ নর্মাল একাডেমি’র তিন জন অন্ধ ছাত্রীর স্নাতক হবার গল্প বলবো।

চীনের চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে অবস্থিত বিশেষ প্রশিক্ষণ নর্মাল একাডেমি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান। একাডেমির শিক্ষাভবন গাঢ় লাল রঙয়ের, ভবনের পাশের ছোট পুকুরে গোলাপি রঙয়ের শাপলা ও পদ্ম ফুটেছে। একাডেমির তিন জন ছাত্রী এ গরমে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করবে। এরা হচ্ছে: চৌ ওয়েন ছিং, উ ই ফান এবং উ সিয়াও। তিন জন একই ক্লাসে লেখাপড়া করে, একই হোস্টেল-রুমে থাকে। তাঁরা স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একই ক্লাসে অংশ নিয়েও পরীক্ষায় ভালো করেছে।

মেয়ে চৌ ওয়েন ছিং বেইজিংয়ের রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম অন্ধ ছাত্রী। মেয়ে উ ই ফান আইইএলটিএস (IELTS) পরীক্ষা পাস করে কয়েকটি ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপত্র পেয়েছে। তবে মেয়ে উ সিয়াওয়ের ভাগ্য বাকি দু’জনের মতো ভালো নয়। সে চীনে শিক্ষকতার সুযোগ পেয়েছে। তবে, সে স্বাভাবিক শারীরিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে না। সে অন্ধদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

স্নাতক হওয়ার আগে শুধু থিসিস পরীক্ষা বাকি আছে। তাই অন্ধ ছাত্রীরা মাসের শেষ সময়টা বেশ আরামে কাটাচ্ছে। চীনের ছাংছুন প্রদেশের অন্ধ ছেলে শাও লেই তাদের সঙ্গে দেখা করতে নানচিংতে এসেছে। তিন মেয়ের মধ্যে চৌ ওয়েন ছিং’র অবস্থা একটু ভালো। তার চোখের দৃষ্টিশক্তি এখনও সামান্য কিছুটা রয়েছে। তাই সে সবার জন্য পথ-নির্দেশকের কাজ করে। চার অন্ধ ছাত্রছাত্রী স্কুলে একসঙ্গে পাশের একটি হটপট রেস্তোরাঁয় যায়। সেখানে অন্ধ ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিতই যায়। রেস্তোরাঁর পরিসেবকরা তাদের সেবা দেয়। হটপট রেস্তোরাঁয় অনেক লোক।  ছেলে-মেয়েরা সেখানে ভবিষ্যতের গল্প করে।

মাস্টার্সে ভর্তির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মেয়ে চৌ জানায়, ভর্তির আবেদনের আগে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে সে ভালোভাবে পরামর্শ করেছে। অবশেষে অন্ধদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। পরীক্ষায় সে বেশ ভালোও করেছে। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগও পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

মেয়ে উ ছেলে শাও লেই’র কাছে নানচিং শহরের একটি জাদুঘরের ‘অবাধ ব্যবস্থাপনা’-র পরিচয় তুলে ধরে। ব্রিটেনে লেখাপড়ার মাধ্যমে স্বাভাবিক ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিজের ব্যবধান আরও কমিয়ে আনার স্বপ্ন দেখে মেয়ে উ।

আসলে অন্ধ ছাত্রছাত্রীরা স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু চায় না। তারা বরং সমান যোগ্যতা নিয়ে তাদের সঙ্গে সহাবস্থান করতে চেষ্টা করে। এ সম্পর্কে মেয়ে উ সিয়াও একটি গল্প বলে। একদিন সে ট্যাক্সিতে বসে চালকের সাথে কথাবার্তা বলছিল। চালক বুঝতে পারেনি যে, সে অন্ধ। এক পর্যায়ে চালক বলে, প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক হওয়ার পর স্বাভাবিক ছাত্রছাত্রীদের তুলনায় সহজে চাকরি পেতে পারে। এ কথার প্রতিবাদ জানায় মেয়ে উ। সে বলে, প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীরাও পরিশ্রম করে চাকরির সুযোগ অর্জন করে। তখন চালক ভালো করে তাকিয়ে দেখে যে উ অন্ধ। তখন চালক তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।

মেয়ে উ আরও বলে, ‘চালকের কথা শুনে খারাপ লেগেছে। আমরা অন্ধ হলেও, নিজেদের যত্ন নিতে পারি। বিশেষ করে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পর আমরা আরও বেশি সুযোগ পেতে পারি।’

এ সম্পর্কে মেয়ে উ ই ফান বলেন, ‘আগে আমরা স্নাতক হওয়ার পর শুধু মাসাজ পার্লারসহ গুটিকতক ক্ষেত্রে চাকরি পেতাম। তবে এখন দিন বদলেছে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে অন্ধরা এখন ডাক্তারও হতে পারে।’ তার কথা অসত্য নয়। ছাত্র শাও লেই ছাংছুন বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে লেখাপড়া করে। তার মেজর আকুপাংকচার। এ মেজরের অন্ধ ছাত্রছাত্রীরা পেশাদার ডাক্তার হতে চাইলে ‘অন্ধ ডাক্তার’ সনদ পেতে পারে।

মেয়ে চৌ ওয়েন ছিং নিজের চোখের সমস্যাসম্পর্কিত ছোটবেলার গল্প শেয়ার করে। ১৯৯৮ সালের শীতকালে মেয়ে চৌ’র মা দুই মাসের মেয়ে চৌ-কে নিয়ে বেইজিংয়ের হাসপাতালে আসেন। তখন ডাক্তার বলেন, মেয়ে চৌ’র চোখ জন্মগত অপটিক এট্রোফি (Congenital optic atrophy)-তে আক্রান্ত হয়েছে। তার মা এ কথা শুনে অনেক হতাশ হন। কারণ, চৌ’র বাবা ও মায়ের পরিবারে কারুর চোখের সমস্যা নেই। জন্মের পরপরও চৌ’র চোখ স্বাভাবিক ছিল। তবে জন্মের ২০ দিনের মাথায় চোখে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। তখন চৌ’র চোখের সামনে কোনো জিনিস রাখলে সে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাতো না। তখন কেউ কেউ বলে, এ মেয়ের চোখ আর ভালো হবে না।

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে মেয়ে চৌ বলে, ‘তখন বেইজিংয়ে যাওয়া-আসা করতাম শুধু হাসপাতালে চোখ দেখানোর জন্য। বাড়িতেও প্রতিদিন চোখের চিকিত্সার কাজ চলত।’ কিন্তু ধীরে ধীরে তার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। এ সম্পর্কে চৌ’র বাবা বলেন, যখন তাঁর মেয়ের বয়স ৩/৪ বছর, তখন দৃষ্টিশক্তি সবচেয়ে ভালো ছিল। তখন মেয়ে নিজেই সাইকেল চালাতে পারত। কিন্তু বড় হওয়ার পর চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেক দুর্বল হয়ে যায়। বেইজিংয়ে তার চিকিত্সার জন্য লম্বা সময় ব্যয় করা হয়। পরে বেইজিং থেকে জন্মস্থানে ফিরে গিয়ে আবার ঐতিহ্যিক আকুপাংকচার চিকিত্সা চলে। তখন মেয়ে চৌ সুই ফোটানোর ব্যথা সহ্য করেছে। ২০০৬ সালে ৮ বছর বয়সী চৌ স্যুচৌ শহরের বিশেষ প্রশিক্ষণ স্কুলে ভর্তি হয়। দুই বছর পর নানচিং অন্ধ শিক্ষার্থীদের স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হয় সে। সেই স্কুলের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। ১৯২৭ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্ধ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলটির দক্ষতা অনেক। মেয়ে চৌ ওয়েন ছিং খুবই মেধাবী ছাত্রী। স্কুলে কাগজ কাটাসহ বিভিন্ন শিল্পকর্ম তৈরি শিখেছে সে; কাঁচি দিয়ে বাদর, বাঘ ও ফুলসহ বিভিন্ন জটিল ডিজাইন করতে সক্ষম সে। তার বাবা-মায়ের জন্য এটা সান্ত্বনার ব্যাপার।

মেয়ে উ ই ফান ২০০৮ সালে নানচিং অন্ধ শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি হয়। তার জন্মস্থান চ্যচিয়াং প্রদেশের চেনচিয়াং শহরে। জন্মগতভাবেই সে অ্যাম্বিওলোপিয়া। ৮ বছর বয়সে অন্যান্য বাচ্চার তুলনায় তার চোখের অবস্থা একটু দুর্বল ছিল। তবে প্রাথমিক স্কুলের প্রথম শ্রেণীতেই তার চোখের রেটিনার সমস্যা দেখা দেয়। তখন স্বাভাবিক স্কুল ত্যাগ করে সে। অন্ধ শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তির সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর।

২০১৪ সালে দু’জন মাধ্যমিক স্কুল থেকে স্নাতক হয়। তখন তাদের সমানে দুটি অপশন ছিল। নানচিং অন্ধ শিক্ষার্থীদের স্কুলের কোনো উচ্চ বিদ্যালয় শাখা নেই। যদি তারা নানচিংয়ে থেকে পড়াশুনা করে, তাহলে কারিগরি মাসাজ স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। দু’মেয়ে পড়াশোনায় ভালো এবং তারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনেক আগ্রহী। পরে দু’জন একসাথে ছিংতাও অন্ধ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করে। এ স্কুল ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং সেই সময় চীনে অন্ধ ছাত্রছাত্রীদের জন্য একমাত্র উচ্চবিদ্যালয়।

২০১৫ সাল থেকে চীনের কাওখাও পরীক্ষায় অন্ধ ছাত্রছাত্রীরাও অংশগ্রহণের সুযোগ পেতে শুরু করে। ২০১৭ সালে মেয়ে চৌ আর উ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়। তখন তারা নানচিং প্রতিবন্ধী নর্মাল একাডেমির ওপর নজর রাখতে শুরু করে। সেই সময় একাডেমিতে মনোবিজ্ঞান মেজর চালু হয়। এ সম্পর্কে মেয়ে চৌ বলে, তখন তুমুল প্রতিযোগিতা ছিল। ২০ জনেরও বেশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র চৌ আর উ ভর্তির সুযোগ পায়। ২০১৭ সালে চীনের ৬ জন অন্ধ ছাত্রছাত্রী ‘কাওখাও’ পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে মেয়ে উ সিয়াও অনেক ভালো করে এবং নানচিং প্রতিবন্ধী নর্মাল একাডেমিতেও ভর্তির সুযোগ পায়।

ছোটবেলা থেকে মেয়ে উ সিয়াও-র চোখের দৃষ্টি দুর্বল। ১০ বছর বয়সে দুটি চোখ পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায় তার। তখন থেকে অন্ধ ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে পড়ছে সে। এ সম্পর্কে নানচিং প্রতিবন্ধী নর্মাল একাডেমির শিক্ষক ইয়াং লি চেন বলেন, তাদের স্কুল চীনের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের প্রতিষ্ঠান। বহু বছর ধরে অন্ধ ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করে আসছে। তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা আছে এখানে। তাদের জন্য বিশেষ বই ছাপানোর বিশেষ যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। প্রতিবছর একাডেমিতে ১ থেকে ৩ জন মেধাবী অন্ধ শিক্ষার্থী স্বাভাবিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ পায়। এভাবে তারা স্বাভাবিক ছাত্রছাত্রীদের সমান শিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।

আসলে এই তিনটি মেয়েকে সাফল্য পেতে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। মেয়ে চৌ ওয়েন ছিং রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সে ভর্তির জন্য বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছে। তার জন্য বিশেষ পরীক্ষাপত্র তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন সে সাড়ে ছয়টায় জেগে উঠে রাত ১১টা পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে।  ইংরেজি পরীক্ষাপত্রের সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তার লাগে ৮ ঘন্টা। অথচ পরীক্ষার সময় সে পায় মাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টা। তাই সময়মতো পরীক্ষার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে তাকে অনেক অনুশীলন করতে হয়েছে।

মেয়ে উ ই ফানের আইইএলটিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়াও সহজ কাজ ছিল না। কয়েকবারের ব্যর্থতার পর সে অবশেষে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে।

নানচিং শহরে এই তিনটি অন্ধ মেয়ের মতো আরও অনেকে বসবাস করেন। যেমন, মাসাজকর্মী শেন ইয়ুং হাও। তিনিও জন্ম থেকেই চোখের সমস্যায় ভুগছেন। পরে মাসাজ বিভাগ থেকে স্নাতক হন তিনি। তবে ডাক্তারের যোগ্যতাপত্র না-থাকায় তাকে মাসাজ পার্লার চালু করতে হয়। ঐতিহ্যিক চীনা চিকিত্সাবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করায় তিনি মাসাজ, আকুপাংকচার ও চীনা ভেষজ ওষুধ ব্যবহারে দক্ষ। দুই বছর পর তিনি নিজের ব্যবসা চালু করেন। তার ব্যবসাকেন্দ্রে এখন ৫ জন কর্মী রয়েছেন, যারা সবাই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

২০১৮ সালে নানচিং চীনা ভেষজ ওষুধ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্ধ শিক্ষার্থীদের একাডেমির মধ্যে সহযোগিতাব্যবস্থা চালু হয়। তখন থেকে অন্ধ ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়।

কয়েক জন অন্ধ ছাত্র-ছাত্রীর সাথে কথা বলার পর তাদের মনের অনুভূতি আরও স্পষ্টভাবে জানা গেছে। মেয়ে উ বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে অন্যদের তুলনায় বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আসছি। ভবিষ্যতে স্বাভাবিক মানুষ ও প্রতিবন্ধীদের ব্যবধান কমিয়ে দেওয়ার জন্য আমার প্রয়াস থাকবে।’ তিনি একা ব্রিটেনে পড়াশোনা করবেন। তার পিতামাতা স্বাভাবিকভাবেই এতে অনেক উদ্বিগ্ন। তবে মেয়ে উ ব্রিটেনে যেতে ভীষণ আগ্রহী। তিনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে তার জীবনকে আরও সুন্দর করতে চান।

সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)