জুন ১৭: আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৯টার দিকে চীনের শেনচৌ-১২ মনুষ্যবাহী নভোযান মহাকাশে উত্ক্ষেপণ করা হয়। নির্ধারিত সময় পর, তিন জন মহাকাশচারীসহ নভোযানটি মহাকাশে নির্ধারিত কক্ষপথে পৌঁছায়। বিকেল ৩টার দিকে নভোযানটি মহাকাশকেন্দ্রের মূল অংশ থিয়ানহ্য-র সঙ্গে সফলভাবে সংযুক্ত হয়। আগামী তিন মাস চীনের তিন জন মহাকাশচারী মহাকাশে অবস্থান করবেন ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন।
এবারের মিশন চীনের মহাকাশকেন্দ্র নির্মাণের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের জ্যোতির্বিজ্ঞানী জনাথন ম্যাকডোয়েল বলেছেন, এবারের মিশনে চীনা মহাকাশচারীদের কাজ হলো ‘মহাকাশে তাদের নতুন বাড়ি নির্মাণ করা এবং ভবিষ্যতে তা অন্যদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা’। তাদের প্রস্তুতিমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে: কক্ষপথে মহাকাশচারীদের দীর্ঘকাল বসবাস করার সম্ভাবনা পরীক্ষা করা, নভোযানের বাইরে যাওয়া, এবং এক্সট্রাভেহিকুলার অপারেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ আঞ্জাম দেওয়া।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চীন ২০২২ সালে মহাকাশকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করবে। এরপর মহাকাশকেন্দ্র দেশি-বিদেশি নভোচারীদের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হবে।
মহাকাশ মানবজাতির অভিন্ন সম্পদ। চীন মহাকাশগবেষণায় নিজে উন্নতি করার পাশাপাশি, মহাকাশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে আগ্রহী। এর জন্য চীন যথেষ্ট প্রস্তুতিও নিচ্ছে। চীন ইতোমধ্যেই রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের মহাকাশ অন্বেষণ সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
চীনের লক্ষ্য হচ্ছে মানবজাতির কল্যাণের জন্য মহাকাশকেন্দ্রকে ব্যবহার করা এবং শান্তিপূর্ণভাবে মহাকাশ-গবেষণা চালিয়ে যাওয়া। চীন বরাবরই মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের পক্ষপাতি। (ইয়াং/আলিম/ছাই)