হাবিবুর রহমান অভি, ঢাকা, জুন ১৭:
করোনা ও লকডাউনের কারণে এবার অনলাইনে জমে উঠেছে আমের বেচাকেনা। ভালো লাভ হওয়ায় মৌসুমি এ ব্যবসায় ঝুঁকেছেন শিক্ষিত-বেকার তরুণরাও। অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় আম সরবরাহ করছেন তারা।
ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন আফজাল হোসেন। করোনায় কাজ হারিয়ে বাধ্য হয়েই রাজধানী ছেড়েছেন। ফিরেছেন নিজ জেলা রাজশাহীতে। বেশ কিছুদিন বসে থাকার পর বেছে নিয়েছেন মৌসুমী ফলের ব্যবসা। হিমসাগর, ল্যাংড়া, আম্রপালিসহ রসালো স্বাদের বাহারি সব আমের জন্য বিখ্যাত এই জেলা। গ্রাম থেকেই অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশব্যাপী আম পৌঁছে দেয়ার কাজ করছেন আফজাল।
ছবি: আফজাল হোসেন
আফজাল হোসেন জানান, তার মতো বেশ কয়েকজন যুবক আম ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন। ফেসবুকে পেজ খুলে আম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপলোড করছেন তারা। সবাই বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
অগ্রিম পেমেন্ট অথবা ক্যাশ অন ডেলিভারি ব্যবস্থাপনায় আম পৌঁছে যাচ্ছে ভোক্তাদের কাছে। এক মৌসুমে কেমন লাভ হয় জানতে চেয়েছিলাম আম ব্যবসায়ী মাহমুদ আরিফ ও দেলোয়ার হোসেনের কাছে। তারা জানান, এক মণে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। তবে এজন্য বেশ পরিশ্রম করতে হয় তাদের।
এ ব্যবসায় কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে । কুরিয়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত পণ্যের চাপে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আমের ক্যারেট। আবার পরিবহণে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় তৈরি হয় বাড়তি সমস্যা।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ বলছে, অনলাইনের মাধ্যমে এখন প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও সরাসরি আমের ব্যবসা করতে পারছেন কৃষকরা।