তুয়ান উ উত্সব ও চীনা সংস্কৃতি ধারণে প্রেসিডেন্ট সি’র নির্দেশনা
2021-06-15 17:01:54

তুয়ান উ উত্সব ও চীনা সংস্কৃতি ধারণে প্রেসিডেন্ট সি’র নির্দেশনা_fororder_src=http-%2F%2Fx0.ifengimg.com%2Fres%2F2020%2F1213012FDE6D0210BF0330A55088F18615AC1228_size140_w414_h275.png&refer=http-%2F%2Fx0.ifengimg

 আজ চীনের তুয়ান উ বা ড্রাগন নৌকা উত্সব।  তুয়ান উ উত্সব চীনের ঐতিহ্যবাহী উত্সবের অন্যতম। এটি বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থানলাভকারী চীনের প্রথম উত্সব। এ উত্সবের অনেক রীতিনীতি রয়েছে। চুন চি খাওয়া, লবনাক্ত ডিম খাওয়া এবং চীনে বাড়ীর সদর দরজার সামনে আই ছাও ও ছাও ফু নামে দুই ধরনের ভেষজ ওষুধের পাতা ঝুলানোর প্রথাও রয়েছে।

  দক্ষিণ চীনের ইয়াংসি নদী অববাহিকা অঞ্চলে ড্রাগন নৌকার প্রতিযোগিতাও তুয়ান উ উত্সবের একটি প্রধান আকর্ষন। সুদূর অতীত কাল থেকেই দেশটির উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত তুয়ান উ উত্সবের রীতিনীতি ভালোভাবে পালন করে আসছে চীনারা।

  তুয়ান উ উত্সবের মতো চীনে আরও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রয়েছে। যা চীনা জাতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বরাবরই চীনের  ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ধারণ এবং সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করে আসছেন।  তিনি নানা ইভেন্টে এ বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

 কয়েক দিন আগে তার সদ্যসমাপ্ত চীনের ছিং হাই প্রদেশ পরিদর্শনের সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তিব্বতী কার্পেট শিল্প দেখতে যান। সি চিন পিং তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিব্বতি কার্পেট ২০০৬ সালে দেশের প্রথম অবৈষয়িক ঐতিহ্যিক তালিকায় স্থান পেয়েছে।

২০০৯ সালের আগস্ট মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কান সু প্রদেশের তুয়ান হুয়াং মো কাও গুহা পরিদর্শন করেন। তখন তিনি তুয়ান হুয়াং একাডেমীর সকল কর্মীদের সঙ্গে আলোচনাসভায় বসেন। এ সময় তিনি বলেন, চীনের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও অবৈষয়িক উত্তরাধিকার সংস্কৃতি ধারণ ও সম্প্রসারণে সমর্থন জোরদার করতে হবে, সংখ্যালঘু জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং চীনা জাতির যৌথ কমিউনিটির চেতনা শক্তিশালী করতে হবে। 

২০১৪ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি  সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর ১৩তম অধিবেশনে সি চিন পিং ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্প্রসারণ সম্পর্কে বলেন,  ‘সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ লালন ও সম্প্রসারণ করতে গেলে চীনের সুষ্ঠু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ভিত্তি হিসেবে গণ্য করতে হবে। ঐতিহ্য ও মুল ভিত্তি বাদ দিলে, নিজের দেহ থেকে আত্মা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। চীনে যে গভীর ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে, তা হচ্ছে বিশ্ব সংস্কৃতির তরঙ্গে চীনা জাতির অস্তিত্বের মুল ভিত্তি।

 গত ৪ মে, বেইজিং বিশ্ববিদ্যারয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক সভায় সি চিন পিং বলেন, চীনের সুষ্ঠু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি চীন জাতির জিনে পরিণত হয়েছে, যা চীনা জণগণের হৃদয়ে খোদাই করা হয়েছে। তা চীনাদের চিন্তাধারা ও আচ্চরণের পদ্ধতিকে প্রভাবিত করছে।

 সংস্কৃতি একটি দেশ ও জাতির আত্মা। সংস্কৃতি শক্তিশালী হলে রাষ্ট্র শক্তিশালী হবে। প্রতিটি দেশে নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি রয়েছে। একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারলে সমঝোতা বাড়বে এবং সংঘাত কমবে। আমি তুয়ান উ উত্সবের সমৃদ্ধ রীতিনীতি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাই সুষ্ঠু ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি সম্প্রসারণের চিন্তাভাবনা জোরদার করবে এবং একে অপরের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে বল প্রত্যাশা করি।  

(রুবি/এনাম/শিশির)