চিং ছিউ শহরের বড় হওয়া একজন আধুনিক সুন্দরী নারী । বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পের জন্য তার টিমের সাথে সি পিং গ্রামে যান তিনি। ছিউ সেখানে চীন বিপ্লবের ঐহিত্য সম্পর্কে গবেষণার জন্য বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ শুরু করেন- যা প্রকাশ পাবে ভবিষ্যতের পাঠ্য বইয়ে ।
লাও সান একটি ভৌগোলিক জরীপ দলের সদস্য হিসেবে এ গ্রামে আসেন। লাও সানকে, তার দলের সবাই খুব পছন্দ করে কারণ হাস্য-রসে সবাইকে মাতিয়ে রাখেন সুদর্শন এই যুবা।
সি পিং গ্রামেই পরিচয় হয় দুজনের। প্রথম দেখাতেই লাও সান ভালবেসে ফেলেন ছিউকে। চঞ্চল লাও সান দেরি না করে প্রপোজ করেন ছিউকে। কিন্তু ছিউ প্রত্যাখ্যান করেন সে প্রস্তাব। লেখাপড়া শেষ করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বিয়ে করবেন না তিনি।
কিন্তু লাও সান দমবার পাত্র নন। কথা দেন- প্রয়োজনে সারাজীবন ছিউর জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি। অবশেষে একদিন অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় লাও সানের। চিং ছিউয়ের মন গলে। তিনিও ভালোবাসেন লাও সানকে।
কিন্তু ঘটলো এক অভাবিত বিপত্তি। রক্তস্বল্পতাজনিত ভয়ানক এক রোগে আক্রান্ত হন লাও সান। তিনি কি সুস্থ হয়ে তার ভালোবাসার মানুষের সাথে শুরু করতে পারবেন নতুন জীবন! লাও সান ও চিং ছিউয়ের প্রেমের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল- তা জানতে হলে আপনাকে দেখতে হবে পুরো সিনেমাটি।
চীনের বিখ্যাত লেখক আই মির আন্ডার দি হথর্ন ট্রি (Under the Hawthorn Tree) নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমাটি।
জাপানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক কাওরি সৌজি এই সিনেমা নিয়ে জাপান টাইমসে বলেন, এটি এমন একটি সিনেমা যা আপনার হৃদয়কে অশ্রুসিক্ত করবে। অনেক চলচ্চিত্রবোদ্ধার মতে এই সিনেমা ‘ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মল একটি প্রেমের গল্প’।
এই সিনেমার জন্য চীনের বিখ্যাত অভিনেত্রী চৌ তংউ ৫ম এশিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
আপনি যদি রোমান্টিক প্রেমের সিনেমা পছন্দ করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ভাল পছন্দ হতে পারে ছং ইমৌ পরিচালিত এই সিনেমাটি।
হোসনে মোবারক সৌরভ