ইয়াং খুন ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়ার বাও থৌ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চীনের মূল-ভূভাগের একজন চাইনিজ পপসংগীত শিল্পী, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং সংগীত প্রযোজক। ১৯৮৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর তিনি শ্রমিক হিসেবে বাওগাং গ্রুপে যোগ দেন। ১৯৮৯ সালে তিনি কোম্পানির ‘মে মাসের ফুল’ শীর্ষক সংগীত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন। ১৯৯১ সালে তিনি ইনার মঙ্গোলিয়া সশস্ত্র পুলিশ শিল্প দলে যোগ দেন। তখন থেকে তিনি ঘন ঘন বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শুরুর দিকে তিনি সামরিক ব্যান্ডে স্যাক্সফোন বাজাতেন। পরে তিনি বার বা নাইটক্লাবে গান পরিবেশন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ইনার মঙ্গোলিয়া থেকে বেইজিংয়ে স্থানান্তরিত হন। স্থায়ী চাকরি ও আয় না-থাকার কারণে তখন তাঁকে বার বার বাসা পরিবর্তন করতে হতো। তিনি ৫০ বারেরও বেশি বাসা পরিবর্তন করে রেকর্ড গড়েন। আচ্ছা বন্ধুরা, ইয়াং খুনের গল্প আমরা পরে আরো জানবো। এখন আমি আপনাদের তাঁর একটি গান শোনাতে চাচ্ছি, কেমন? গানের নাম ‘আমার সঙ্গে বাসায় চলে এসো’।
১৯৯৪ সালে ইয়াং খুন একটি টিভি নাটকের জন্য থিম সং গেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শোবিজে প্রবেশ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তাঁর আসল একক অ্যালবাম ‘কোনো ব্যাপার না’ সম্পন্ন করেন। কিন্তু জীবিকার তাগিদে তিনি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীতের সংস্করণ বিক্রি করে দেন। তাই তিনি কয়েক বছর গানটি আর ব্যবহার করতে পারেন নি। পাঁচ-ছয় বার বিক্রয়ের পর ২০০২ সালে তিনি আবার গানটি গাওয়ার সুযোগ পান। অবশেষে ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে তিনি ১০টি গানের সেই অ্যালবাম প্রকাশ করেন। আচ্ছা বন্ধুরা, এতো বেশি বার বিক্রি হওয়া গানটি কেমন? তা জানতে, এখন আমরা একসঙ্গে সেই গানটি শুনবো।
‘সেই দিন’ গানটি ইয়াং খুনের ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত একটি অ্যালবামের শিরোনাম সংগীত। ইয়াং খুন বারে গান গাওয়ার সময় একজন গায়িকার সঙ্গে দেখা হয়। বন্ধুদের সাহায্যে দু’জন পরিচিত হন। কিন্তু কয়েক মাস পর তাঁরা আর যোগাযোগ রাখেন নি। ইয়াং খুন খুব রোমান্টিক মনের মানুষ। সুতরাং তিনি একদিন ফুল নিয়ে ওই গায়িকার বাসার সামনে চলে আসেন। কিন্তু মেয়েটি তাঁর সঙ্গে দেখা করে নি। ইয়াং খুন তাঁর প্রতিদানহীন ভালবাসার কবর রচনা করতে ‘সেই দিন’ গানটি সৃষ্টি করেন। খুব দুঃখের বিষয়। কিন্তু সে কারণে গানটি সৃষ্টি হয়েছে, তাই না? তাহলে বন্ধুরা, আমি এখন সে গানটি আপনাদের শোনাবো, কেমন?
‘ঝগড়াটে’ ইয়াং খুনের ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত একটি অ্যালবাম। অ্যালবামে মোট ১০টি গান অন্তর্ভূক্ত হয়। ২০০৮ সালের জানুয়ারি মাসে ইয়াং খুন এ অ্যালবাম দিয়ে চীনের মূল-ভূভাগে একটি পুরষ্কারে বার্ষিক গায়ক পুরষ্কার জিতেন। অ্যালবামের শিরোনাম সংগীতের মিউজিক ভিডিও তৈরি হয়। তাতে তুষারক্ষেত্র, তৃণভূমি ও পতিত জমির প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায়। এটা সাধারণ সমৃদ্ধ নগরের দৃশ্যের চেয়ে অনেক অসাধারণ। আচ্ছা, তাহলে ইয়াং খুনের গানের মাধ্যমে আমরাও সে প্রাকৃতিক দৃশ্য কল্পনা করি, কেমন?
‘খালি শহর’ ইয়াং খুনের একটি গান। গানটি তাঁর ২০০৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত ‘ইয়াং খুন’ নামের অ্যালবামে অন্তর্ভূক্ত হয়। গানটি ইয়াং খুনের নিজের চরিত্র এবং তাঁর হৃদয়ের জীবনের শুরু দিকে ফিরে যাবার অনুভূতির প্রতিফলন। পুরুষরা কল্পনা ও বাস্তবতার মধ্যে যাতায়াত করে। খুব কঠিন সময় কাটানোর পর জীবনের শিকড়ে ফিরে যাবার মূল্য বুঝে। অনেক কিছু অতিক্রমের পর হয়তো আরো বেশি জানতে পারে, তাইনা?
বন্ধুরা, এখন ইয়াং খুনের অন্য আরেকটি গান শুনুন। গানের নাম ‘চাঁদ আমার হৃদয়ের প্রতীক’। চীনারা প্রায়শই চাঁদ নিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করে। তাহলে বন্ধুরা, আমরা এবার একসঙ্গে গানটি শুনবো। চাঁদ কীভাবে ভালোবাসার প্রতিনিধিত্ব করে তা অনুভব করার চেষ্টা করবো ।
বন্ধুরা, গান শুনতে শুনতে বিদায়ের সময় চলে এসেছে। তাহলে ইয়াং খুনের ‘দরিদ্র তবে রোম্যান্টিক’ গানের মাধ্যমে আজকের ‘তোমার জন্য গান’ অনুষ্ঠানটি শেষ করছি। (প্রেমা/এনাম)