বন্ধুরা, শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণীরা জাতি ও দেশের ভবিষ্যত্। তারা শ্রেষ্ঠ ও উচ্চ শিক্ষা পেলে দেশের উন্নয়নে তা কাজে লাগে। শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, নৈতিকতার চর্চাও ছোটবেলা থেকে শুরু করতে হয়। সম্প্রতি চীনের দু’জন শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত বিজ্ঞানী ‘হাইব্রিড ধানের জনক’ ডক্টর ইউয়ান লুং পিং এবং হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন ডাক্তার উ মেং ছাও কয়েক দিনের ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের মৃত্যুতে সারা চীনে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে অনলাইনে তাঁদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। আর নেটিজেনদের মধ্যে অনেক যুবক ও শিশু-কিশোরও রয়েছেন, যারা শোক প্রকাশ করেছেন।
গত সপ্তাহে চীনের ইয়ুথ পত্রিকার জরিপ কেন্দ্র ১৬৩০ জন তরুণ-তরুণী ও ছাত্র-ছাত্রীর ওপর জরিপ চালায়। জরিপ অনুসারে, ডক্টর ইউয়ান ও ডাক্তার উ’র কাহিনী শুনে ৮১.৪ শতাংশ চীনা তরুণ-তরুণী উত্সাহ পেয়েছে। তারা বড় হয়ে তাদের মতো বিজ্ঞানী হতে চায়। ৯৫.২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী ডক্টর ইউয়ানসহ বিভিন্ন সেরা বিজ্ঞানীকে নিজের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করে। যুবক-যুবতীরা মনে করে, চীনা বিজ্ঞানীরা মাতৃভূমিকে ভালোবাসেন, জনগণের সেবা করেন, সাহস ও পরিশ্রমের সাথে গবেষণাকাজ করেন এবং নিজেদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালান। এমন চরিত্র ছাত্রছাত্রীদের দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ। জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৬৩০ জনের প্রায় সবাই ডক্টর ইয়ান এবং ডাক্তার উ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। তাদের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ১৪.১ শতাংশ। কেউ কেউ পুষ্পমাল্য পাঠিয়েছেন। অনেকে আবার অনলাইনে শোক প্রকাশ করেছেন।
চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরের মেয়ে হুয়াং শু ইয়াও বলে, ‘২২ মে যখন উইচ্যাটে ডক্টর ইউয়ান লুং পিংয়ের মৃত্যুর খবর শুনি, তখন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। কারণ, আমাদের কাছে হাইব্রিড ধানের জনক ইউয়ান লুং পিং সুপরিচিত ব্যক্তি, আমাদের পাঠ্যপুস্তকে তাঁর গল্প আছে। ছোটবেলা থেকে তাঁর গল্প শুনে বড় হয়েছি। নিয়মিত টেলিভিশনের খবরে জনাব ইউয়ানের ছবি দেখতাম। তিনি গবেষকদল নিয়ে সমুদ্রের পানিতে ধান চাষের সম্ভাবনা যাচাই করছিলেন। ২২ মে থেকে চীনের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ডক্টর ইউয়ান লুং পিং এবং ডাক্তার উ মেং ছাও’র ওপর বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে থাকে। এসব দেখে বোঝা যায়, চীনারা তাঁদের কতো ভালোবাসে। আমি মনে করি তাঁরা অতি পবিত্র ও আশ্চর্যজনক সেরা ব্যক্তি।’
গবেষক সুন চাও লিন জনাব ইউয়ান ও ডাক্তার উ’র মৃত্যুর খবর শুনে অনেক কষ্ট পান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘একজন সুপরিচিত ও সম্মানিত বিজ্ঞানী হঠাত্ চলে গেছেন, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের ব্যাপার। আমিও গবেষক হিসেবে কাজ করি। এখন আরও বেশি পরিশ্রম করার মাধ্যমে এ দুই সেরা শিক্ষাবিদকে স্মরণ করতে পারি।’
হাইব্রিড ধানের জনক ডক্টর ইউয়ান লুং পিংয়ের গল্প শুনে ৮১.৪ শতাংশ ছাত্রছাত্রী বড় হয়ে বিজ্ঞানী হতে চায়। ৩০ বছর বয়সের মাস্টার্স শিক্ষার্থী তু সুং থাওয়ের জন্মস্থান হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরে। তবে অন্য শহরে পড়াশোনা করছেন তিনি। তিনি জনাব ইউয়ানের বিদায়ী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে না-পেরে হতাশ। তার দৃষ্টিতে যেন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হারিয়ে গেছে। জনাব ইউয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে আরও পরিশ্রমের সাথে পড়াশোনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন। তিনি ডক্টর ইউয়ানের মতো দেশের উন্নয়নে নিজের অবদান রাখতে চান।
জনাব ইউয়ান লুং পিং সবসময় বলতেন, ‘মানুষ যেন বীজের মতো, ভালো ও শ্রেষ্ঠ বীজ হতে হবে।’ এ কথা অনেক তরুণ ছাত্রছাত্রীর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। নতুন প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীরা জনাব ইউয়ানের স্বপ্ন ও চেতনা অনুসরণ করে অবদান রাখার চেষ্টা করবে, এমনটা আশা করা যায়।
গবেষক সু চাও লিন বলেন, ‘আমি এখন বিজ্ঞান গবেষণার সাথে জড়িত। তবে, একজন বিজ্ঞানী হতে চাইলে আরও অনেক পথ হাঁটতে হবে। জনাব ইউয়ানকে মডেল হিসেবে নিয়ে বিজ্ঞান গবেষণায় আরও বেশি সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করবো।’
অনেক বছর আগে সংবাদদাতা জনাব ইউয়ান লুং পিংয়ের কাছে সফলতার টিপস্ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি উত্তরে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো টিপস্ নেই, তবে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সাফল্যের জন্য জ্ঞান, ঘাম, অনুপ্রেরণা, ও সুযোগ চাই।’ জনাব ইউয়ানের কথা স্মরণ করে মেয়ে হুয়াং শু ইয়াও বলেন, ‘আমাদের মেধাবী মানুষের অভাব নেই, বরং ধাপে ধাপে ও পরিশ্রম করে সামনে এগুনোর লোকের অভাব। তাই আরও মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে হবে। শুধু নিজের জন্য বাঁচলে হবে না।’
মাস্টার্স শিক্ষার্থী তু সোং থাও বলেন, ইন্টারনেট যুবক-যুবতীদের জ্ঞান অর্জনের ব্যাপক সুবিধা দিয়েছে, তবে নিজেদের নিলরস প্রচেষ্টা ও পরিশ্রম হবে সাফল্যের ভিত্তি।
কেউ কেউ বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট সেলিব্রেটিদের যুগ, যুবকরা শুধু সুপার স্টার হতে চায়। তবে এ জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে যে, যুবকদের মডেল কোনো চলচ্চিত্র বা ইন্টারনেট সেলিব্রেটি নয়, বরং দেশের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখা শিক্ষাবিদরা!
হাইব্রিড ধানের জনক ইউয়ান তাঁর মাকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, যখন ধান পাকবে, তখন তিনি মাকে দেখতে যাবেন। মেয়ে হুয়াং শু ইয়াও এ কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জনাব ইউয়ান মহান বিজ্ঞানী হলেও মায়ের ছেলে। আমাদের মতোই জীবন কাটাতেন।’
চীনের হেপাটোবিলিয়ারি সার্জন ডাক্তার জনাব উ মেং ছাওয়ের গল্পও অনেককে মুগ্ধ করেছে। মৃত্যুবরণের দুই-তিন বছর আগে তিনি প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনটি অপারেশন করতেন। তাঁর জীবনে অসংখ্য হোপাটোবিলিয়ারি রোগীর জীবন বাঁচিয়েছেন তিনি।
চীনা ছাত্র-ছাত্রীদের মনে গবেষকের কাজ অতি সম্মানজনক। তারা মনে করে, বিজ্ঞানসম্মত গবেষণায় বাস্তবতাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব। ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আসল সত্য জানা যায়। জনাব ইউয়ানের মতো বিজ্ঞানীরা সবসময় সত্য খুঁজে বেড়াতেন এবং সেই সত্যকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে সচেষ্ট থাকতেন। মাতৃভূমিকে ভালোবাসা, জনগণের সেবা করা, সাহসের সাথে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠা—ইত্যাদি হচ্ছে বিজ্ঞানীদের বৈশিষ্ট্য।
গ্রামাঞ্চলের শিশুদের বই পড়ার সুযোগ দিতে হবে
শিশুদের বড় হওয়ার পথে বই যেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মতো। বাই বাচ্চাদের চরিত্র গঠনে ভূমিকা রাখে, তাদের জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছিলেন, ‘শিশুদের মন সবসময় তাজা থাকে। তারা সব ধরনের সুন্দর জিনিস গ্রহণে প্রস্তুত থাকে।’ কেবল শিশু-কিশোর-যুবকদের বই পড়ার মান উন্নত করে চীনা জাতির সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হতে পারে। তাই গ্রামাঞ্চলের শিশুদের যথেষ্ট বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
আসলে চীনের শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যবধান রয়েছে। তাই গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের বই পড়ার দিকে মনোযোগ দিয়েছে চীন সরকার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চীনা নাগরিকদের বই পড়ার বিষয়টি টানা ৮ বারের মতো চীনের সরকারি কার্যবিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের বই পড়ার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ২০২১ সালে চীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রামাঞ্চলে পিতামাতাদের সাথে না-থাকা বাচ্চারা এবং শহরে কর্মরত গ্রামবাসীদের বাচ্চাদের বই পড়ার চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে।
চীনের গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের বই পড়ার মৌলিক পরিস্থিতি জানার জন্য, ২০২০ সাল থেকে সারা চীনের চিয়াংসু, শানতুং, চেচিয়াং ও শাংহাইসহ বিভিন্ন প্রদেশ ও মহানগরের গ্রামাঞ্চলের প্রিস্কুল ও প্রাথমিক স্কুলের বাচ্চাদের ওপর জরিপ চালানো হয়। জরিপ থেকে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের বই পড়ার অবস্থা ব্যাপক উন্নত হয়েছে,তবে কিছু কিছু এলাকায় দুর্বলতা রয়ে গেছে।
বিভিন্ন এলাকার গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২০ সালে চীনের দারিদ্র্যবিমোচন কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হয়। গ্রামাঞ্চলের পরিবারগুলোর বার্ষিক আয় ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে বাচ্চাদের বই পড়ার সুযোগও স্পষ্টভাবেই বেড়েছে। ২০১৮ সালে চীনের মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলের দরিদ্র এলাকায় ৭৪ শতাংশ শিশু এক বছরের মধ্যে বই পড়তো ১০টির কম। তবে এবারের জরিপে বাসায় ১০টির বেশি বই আছে এমন পরিবারের সংখ্যা ৫৬.১৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাড়িতে ৫০টির বেশি বই আছে এমন পরিবার ২২.৮৭ শতাংশ। এখন গ্রামাঞ্চলের ৯০ শতাংশেরও বেশি পিতামাতা চান তাদের বাচ্চারা পাঠ্যপুস্তকের বাইরের বইও পড়ুক। জরিপ থেকে জানা গেছে, ৯১.২৯ শতাংশ পিতামাতার বাচ্চাদের জন্য বই কেনার আগ্রহ রয়েছে। বিভিন্ন বইয়ের মধ্যে দেশি-বিদেশি শ্রেষ্ঠ শিশু সাহিত্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন তুলে ধরা ছবিসহ বইও বেশ জনপ্রিয়। তা ছাড়া, অডিওসহ বইও অনেক পিতামাতার কাছে পছন্দের।
গ্রামাঞ্চলের স্কুলের শিক্ষকরাও বাচ্চাদের বই পড়তে পরামর্শ দেন। নিয়মিতভাবে বাচ্চাদের সামনে ভালো বইয়ের পরিচয় তুলে ধরেন; ভালো বইয়ের নামতালিকা প্রদান করেন; পরিবারের সদস্যদের সাথে বই পড়াকে উত্সাহ দেন। এখন স্কুলের ক্লাস শেষ করে অন্য বই পড়া বাচ্চার সংখ্যা ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বই পড়া বেড়েছে, পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটেছে। তবে এক্ষেত্রে সমস্যাও রয়ে গেছে। যেমন, গ্রামাঞ্চলের পরিবারে বাচ্চার সংখ্যা শহরের চেয়ে বেশি। গ্রামের পিতামাতা যখন বই কেনেন, তখন বইয়ের দামের ওপর গুরুত্ব দেন। ৪২.১৩ শতাংশ পিতামাতা মনে করেন, ১০ থেকে ২০ ইউয়ানের মধ্যে বই গ্রহণযোগ্য, দামী হলে কেনার আগ্রহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
গ্রামাঞ্চলের গ্রন্থাগার যথেষ্ঠ নয়। ক্লাস আর পরিবার ছাড়া অন্যান্য জায়গায় বই পড়ার সুযোগ গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য খুবই কম। স্কুলের গ্রন্থাগারে বড়দের জন্য বই বেশি। গ্রামাঞ্চলে পারিবারিক গ্রন্থাগারের সংখ্যাও খুবই কম। পিতামাতারা কাজের জন্য ব্যস্ত থাকেন, বাচ্চাদের সাথে বই পড়ার সুযোগও খুবই কম। মাত্র ১২.৬২ শতাংশ পিতামাতা নিয়মিত বাচ্চাদের সাথে বই পড়েন।
জরিপের ফল বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের জন্য যথেষ্ঠ বই সহজলভ্য করতে হবে, সেখানে যথেষ্ঠ গ্রন্থাগার নির্মাণ করতে হবে, বাচ্চাদের জন্য আরো বেশি উপযোগী বই ছাপাতে হবে। লেখদের উত্সাহিত করে আরো বেশি সুন্দর এবং সস্তা ও ভালো মানের বই ছাপাতে হবে।
পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের বই সুপারিশ করার দক্ষতা উন্নত করতে হবে। শিক্ষকদের যোগ্যতা বাড়লে বাচ্চাদের জন্য সুবিধা। গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের শহরে প্রশিক্ষণ দেওয়া বা শহরের শিক্ষকরা গ্রামাঞ্চলের শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সহায়তা দেওয়াও খুবই কার্যকর পদ্ধতি।
বিশেষ জ্ঞরা আরও বলেন, পরিবারে স্বাস্থ্যকর বই পড়ার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বই পড়াকে জীবনের অংশে পরিণত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে বাচ্চাদের সাথে বই পড়া পিতামাতার অভ্যাসে পরিণত করা উচিত।
মোদ্দাকথা, গ্রামাঞ্চলের বাচ্চাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ ও সুযোগ বাড়াতে সরকার, স্কুল, পরিবারসহ বিভিন্ন মহলের যৌথ প্রয়াস প্রয়োজন। কেবল বই পড়ার মাধ্যমে আরও বেশি জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। এতে শিশুদের ভবিষ্যতও আরও সুন্দর হতে পারে।
সুপ্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়, আজকের বিদ্যাবার্তা এখানে শেষ হয়ে এলো। আমাদের অনুষ্ঠান যারা মিস করেছেন, তারা আমাদের ওয়েবসাইটে তা শুনতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা www.bengali.cri.cn,ফেসবুকে CRIbangla মাধ্যমে চীন ও বিশ্ব সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে পারেন। তাহলে এবার বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে,যাইচিয়ান। (সুবর্ণা/আলিম/মুক্তা)