রোববারের আলাপন-প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার উন্নয়নে বিশেষ অনুষ্ঠান
2021-06-05 01:15:03

আকাশ: সুপ্রিয় শ্রোতা, সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানে। আপনাদের আন্তরিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রোববারের আলাপন’। আপনাদের সঙ্গে আছি এনাম এবং আকাশ।

বন্ধুরা, সম্প্রতি বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার উন্নয়নে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের কমিটি প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার চেতনা প্রচার, ও প্রতিবন্ধীদের সাহায্য করে এমন প্রযুক্তি প্রয়োগে অনেক কাজ করে আসছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২২ সালের বেইজিং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমস আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের খেলাধুলার উন্নয়ন অনেক দূর এগিয়ে যাবে। 

এনাম: এবারের অনুষ্ঠানে ১৯৯২ সালে গ্রীষ্মকালীন প্যারালিম্পিক গেমসের স্বর্ণজয়ী লিউ উ খুন কীভাবে তিনি ৬ বার বিশ্ব রেকর্ড ভেঙ্গেছিলেন, সে গল্প তুলে ধরেন। 

পিয়ং চাং শীতকালীন প্যারালিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড় লিউ সি থোং অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। 

তিনি জানান, “আমি প্রথম স্কিইং করার সময় কীভাবে করেছিলাম, তা আমি নিজেও বলতে পারব না। এরপর কঠোর প্রশিক্ষণের পর আমি বুঝতে পারি যে, আমি তা নিয়ন্ত্রন করতে পারি। স্কিইং করার সময় স্থিতিশীল ও নিরাপদ বোধ করি। খেলাধুলা সত্যি মানুষকে শক্তিশালী, আত্ববিশ্বাসী ও গর্বিত করে তুলে। বিশেষ করে, বিদেশে পদক জয় করার সময়, গর্বের অনুভূতি অনেক বেড়ে যায়। খেলাধুলা মানুষকে শক্তিশালী হওয়ার অনুভূতি দিতে পারে”। 

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের সাংগঠনিক কমিটির খেলোয়াড় কমিটির চেয়ারম্যান ইয়াং ইয়াং জানান, তিনি আশা করেন, এবারের শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের জন্য দেশের খেলাধুলা স্থাপনা আরো বাধামুক্ত এবং সুবিধাজনক হবে। 

তিনি বলেন, “আমার পরবর্তী প্রস্তাব হবে আমাদের খেলাধুলা স্থাপনা, এবং সব সরকারি স্থাপনা বাধামুক্ত করা উচিত। বাধামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা শুধু আমাদের প্রতিবন্ধী বন্ধুদের জন্য নয়, বরং আমাদের প্রবীণদের জন্যও প্রয়োজন। আমাদের শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের স্থাপনা ও স্টেডিয়ামে বাধামুক্ত পরিবেশ রয়েছে। এখন দেশের সব খেলাধুলা স্থাপনায় এটি করা উচিত।” 

চীনের প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক গেমসের স্বর্ণজয়ী ইয়াং ইয়াং জানান, তিনি নিজে অনেক প্রতিবন্ধী খেলাধুলায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। যেমন, হুইলচেয়ার হকি ও বাস্কেটবল, সিটিং বলিবল ইত্যাদি। 

তিনি বলেন, “আসলে আমি অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে অনেক আনন্দ পেয়েছি। আমাদের তাঁদের জন্য এ ধরনের সুযোগসুবিধা দেওয়া উচিত। তা করলে আমাদের সমাজে শুধু স্থাপনা বা যন্ত্রপাতির খাত বাধামুক্ত হবে, তা নয়, বরং আমাদের মনও বাধামুক্ত হবে। ফলে সবাই একত্রিত ও সংঘবদ্ধ হতে পারবে।”

আকাশ: এনাম ভাই, আমি ২০১০ সালে কুয়াং চৌ এশিয়া গেমস ও প্রতিবন্ধী গেমসে সাক্ষাতকার নিয়েছি। তখন প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের চেতনা আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। আপনি কী বলেন ভাই?