জুন ৪: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন আজ (শুক্রবার) এক বিবৃতে হংকংয়ের মানবাধিকার অবস্থাকে নাজুক বলে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। তিনি চীনের জনগণের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। তার এহেন মন্তব্য একেবারে হাস্যকর বলে সিআরআইয়ের এক সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারীতে ইতোমধ্যে ছয় লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। মিস্টার ব্লিঙ্কেন কি তা দেখতে পাননি? কেন আপনি মার্কিন জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করছেন না? হংকং হচ্ছে চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল, তার মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন রাজনীতিকদের হস্তক্ষেপের অধিকার নেই।
মানবাধিকারের অবস্থা কেমন, তা কেবল স্থানীয় অধিবাসীরা বলতে পারেন। ১৯৯৭ সালে হংকং মাতৃভূমির কোলে ফিরে আসার পর, আইন অনুসারে হংকংবাসীদের মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। বিশেষ করে গত বছর হংকংয়ে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি হওয়ার পর থেকে সেখানে সামাজিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার হয়েছে, এবং হংকংবাসীদের মুখে আবার হাসি ফিরে এসেছে। এ বছর হংকংয়ের নির্বাচনী ব্যবস্থারও উন্নয়ন হয়েছে। এতে “দেশপ্রেমিকদের হংকং প্রশাসন” নিশ্চিত হয়। হংকংবাসীদের অধিকার ও স্বাধীনতা আরো সুষ্ঠুভাবে রক্ষা পায়।
নিজ দেশের জনগণের দুরবস্থাকে অবহেলা করেন মিস্টার ব্লিঙ্কেনসহ মার্কিন রাজনীতিবিদরা। কিন্তু চীনের হংকংয়ের মানবাধিকারের উপর “নজর রাখেন”। তাতে প্রমাণিত হয় যে, তারা মানবাধিকারের জন্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের আধিপাত্যবাদের জন্য মরিয়া।
হংকং বিষয় হচ্ছে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। মার্কিন রাজনীতিকদের সেখানে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই। মিস্টার ব্লিঙ্কেন, আপনি মার্কিন জনগণের পাশে দাঁড়ান। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে নিজদের সমস্যা সমাধান করার তাগিদ দিয়েছে সিআরআইয়ের সম্পাদীয়।
(আকাশ/এনাম/লিলি)