সংবাদ পর্যালোচনা চীন-সিইইসি বনজ সম্পদ সহযোগিতা সম্মেলনে ‘বেইজিং ঘোষণা’ গৃহিত
2021-06-03 11:44:35

সংবাদ পর্যালোচনা চীন-সিইইসি বনজ সম্পদ সহযোগিতা সম্মেলনে ‘বেইজিং ঘোষণা’ গৃহিত_fororder_0603yang1-2

জুন ৩:  চলতি বছর হচ্ছে চীনের সঙ্গে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ১৬টি ইউরোপীয় দেশের (সিইইসি) সবুজ উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষাসংক্রান্ত সহযোগিতা বর্ষ। এ উপলক্ষ্যে চীন-সিইইসি তৃতীয় বনজ সম্পদ সহযোগিতা সম্মেলন গতকাল (বুধবার) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে ‘বেইজিং ঘোষণা’ গৃহিত হয়েছে।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা একমত হয়েছেন যে, ‘বেইজিং ঘোষণা’ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর মধ্যে সবুজ উন্নয়ন খাতে সহযোগিতার নতুন চালিকাশক্তিতে পরিণত হবে এবং তা ‘প্যারিস চুক্তি’-র লক্ষ্য এবং জাতিসংঘের ‘এজেন্ডা ২০৩০’ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চীন-সিইইসি সহযোগিতা ব্যবস্থা ২০১২ সালে কার্যকর হওয়ার পর এর আওতা অনেক সম্প্রসারিত হয়েছে। চীনের সঙ্গে সিইইসি-র বাণিজ্য ৮৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে বনজ সম্পদ সহযোগিতা একটি অপরিহার্য অংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দু’পক্ষের মধ্যে বনজ সম্পদের বাণিজ্যিক বিনিময় ১৩৭ কোটি থেকে ২৪০ কোটি মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২০.৫ শতাংশ। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় দু’পক্ষ বনজ সম্পদ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

চীনের জাতীয় বন ও তৃণভূমি ব্যুরোর পরিচালক কুয়ান চি হোং এবারের সম্মেলনে বলেন, “জৈব অর্থনীতির উন্নয়ন এবং সবুজ, কম কার্বন, ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা হলো টেকসই উন্নয়নের নির্দিষ্ট উপায় এবং আন্তর্জাতিক সমাজের অভিন্ন প্রত্যাশা। চীন ইউরোপের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক।”

একই দিনে চীন, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিসংবাদ পর্যালোচনা চীন-সিইইসি বনজ সম্পদ সহযোগিতা সম্মেলনে ‘বেইজিং ঘোষণা’ গৃহিত_fororder_0603yang1য়া, গ্রিস ইত্যাদি দেশের বন-ব্যবস্থাপনা বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অস্ট্রিয়া ও ইইউ পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিল। সম্মেলনে ‘বেইজিং ঘোষণা’ গৃহীত হয়। ঘোষণায় বলা হয়, দু’পক্ষ বন ও জৈব-অর্থনীতি উন্নয়ন খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করবে। দু’পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ‘জাতিসংঘ বন কৌশলগত পরিকল্পনা, ২০১৭-২০৩০’-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে অবদান রাখতে ইচ্ছুক বলেও জানায়।

 

অংশগ্রহণকারী দেশগুলো যেসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একমত হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে: যৌথ গবেষণা; নতুন পণ্যের নব্যতাপ্রবর্তন ও গবেষণা; বনজ পণ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ; বন-সংক্রান্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত বিনিময়; শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতা; টেকসই ও বহুমুখী বনজ পণ্য পরিচালনা; জৈবসম্পদ; কাগজ উত্পাদন; এবং বনভ্রমণ।

চীন-সিইইসি বনজ সহযোগিতা ব্যবস্থার উদ্যোক্তাদেশ স্লোভেনিয়ার কৃষি, বন ও খাদ্যমন্ত্রী জোয়ে পডগোরিক বলেন, “দু’পক্ষের এ সহযোগিতাব্যবস্থা বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে মত বিনিময় ও সহযোগিতার মঞ্চ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে বনজ সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সংলাপের মতো আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করা সম্ভব হবে।” (ইয়াং/আলিম/ছাই)